গলার সৌন্দর্য রক্ষায় করণীয়

Share on Facebook

বয়সের আগেই গলায় ভাঁজ পড়তে পারে। আর সেটা দেখতে মোটেই সুখকর নয়।

কারণ অধিকাংশ মানুষই মুখ, হাত ও পায়ের সৌন্দর্যের দিকে খেয়াল রাখলেও গলার ত্বকের দিকে খুব একটা মনোযোগ দেন না।

যত্নের কারণে মুখ ও হাত পায়ের ত্বকের বয়সের ছাপ কমান গেলেও গলার ভাঁজে তা ফুটে ওঠে।

রূপ বিশেষজ্ঞ ও ‘রেড বিউটি স্যালনের’ কর্ণধার আফরোজা পারভিন মুখ ও হাত পায়ের ত্বকের পাশাপাশি গলার ত্বকের যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, “গলার ভাঁজ ও বলিরেখা বয়সের ছাপ সুস্পষ্ট করে তোলে। তাই ভাঁজ পড়ার আগেই এর প্রতি নজর দেওয়া উচিত।”

গলায় বলিরেখা দেখা দেওয়ার অন্যতম কারণ হল গোসলের পরে তোয়ালে দিয়ে সঠিকভাবে পানি না মোছা।

পারভিন বলেন, “গোসলের পরে তোয়ালে দিয়ে বেশ জোর প্রয়োগ করে বা এলোমেলোভাবে গলার ত্বক মুছলে ক্ষুদ্র ভাঁজের সৃষ্টি হয় যা বলিরেখা বাড়ায়।”

তাই তোয়ালে দিয়ে হালকাভাবের গলার ত্বক মোছার পরামর্শ দেন, এই রূপবিশেষজ্ঞ।

গলার ত্বক ভালো রাখতে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল এর আর্দ্রতা রক্ষা করা। যে কোনো ঋতুতেই আর্দ্রতা রক্ষা করতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন।

সারাক্ষণ গলার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা সম্ভব হলে বলিরেখা ধীর করা সম্ভব বলে জানান, তিনি।

ময়েশ্চারাইজার কেবল ব্যবহার করলেই হবে না বরং তা ব্যবহার করতে হবে সঠিক উপায়ে।

এ সম্পর্কে তিনি বলেন, “ময়েশ্চারাইজার নিচ থেকে ওপরের দিকে এবং গোলাকারভাবে মালিশ করতে হবে।”

গলার ত্বকের বলিরেখা ও ভাঁজ কমানোর ঘরোয়া সমাধান হিসেবে কয়েকটি উপায় সম্পর্কে জানানো হল।

কাঠবাদাম তেল

এটা ভিটামিন ই সমৃদ্ধ যা সহজেই ত্বককে সতেজ ও প্রাণবন্ত করে এবং স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় ফলে গলার ভাঁজ দূর হয়।

টক দই

ত্বকে প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং মসৃণতা বাড়ায়। সপ্তাহে একবার এক টেবিল-চামচ টক দইয়ের সঙ্গে চার পাঁচ ফোঁটা জলপাইয়ের তেল মিশিয়ে ত্বকে মেখে হালকাভাবে মালিশ করুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

অ্যালো ভেরা

গলার ত্বকের বলিরেখা কমাতে অ্যালো ভেরা চমৎকার কাজ করে। অ্যালো ভেরার পাতা অথবা কিনতে পাওয়া যায় এমন জেল ত্বকে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপ্সুল মিশিয়ে ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। অ্যালো ভেরার মাস্ক ব্যবহার করে কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলতে হবে।

দুধ

দুধ ত্বকের ক্ষয় কমায় ও প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বজায় রাখে। দুই টেবিল-চামচ দুধ ও দুই টেবিল-চামচ মধু মিশিয়ে, হালকা গরম করে নিন। তাপমাত্রা সহনীয় হলে ব্রাশ দিয়ে গলায় ব্যবহার করে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

ফলের মাস্ক

কলা লৌহ ও চর্বি সমৃদ্ধ যা ত্বককে আর্দ্র রাখে। কমলা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এছাড়াও। যে কোনো মৌসুমি ফল ত্বকের জন্য উপকারী।

একটা কলা, অর্ধেকটা কমলা এবং দুই টেবিল-চামচ সাধারণ দই ব্লেন্ড করে প্যাক তৈরি করে নিন। প্যাকটি ত্বকে ব্যবহার করে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার নিয়মিত ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

Leave a Reply