পর্যটন প্রতিমন্ত্রী : ২০২১ সালকে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করা হবে

Share on Facebook

স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে ২০২১ সালকে পর্যটন বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। শনিবার রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ও ভ্রমণ ম্যাগাজিনের যৌথ আয়োজনে ‘বাংলাদেশের পর্যটন : সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গতানুগতিক কাজের মাধ্যমে পর্যটনের সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। পর্যটনের দৃশ্যমান উন্নয়ন নিশ্চিতে এবং পর্যটন প্রতিযোগিতার বাজারে প্রবেশে সরকার কাজ করছে।

তিনি বলেন,যারা বেশি সেবা প্রদান করবেন তাদের দিকেই ঝুঁকবে পর্যটক।ফলে সেবার মান নিশ্চিত করতে পারলে পর্যটন বিকশিত হবে। এতোদিন নানা কারণে দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন পর্যটন শিল্পের বিকাশ নিশ্চিত করা হবে। সকল স্টেকহোল্ডারদের সুপারিশ শতভাগ বাস্তবায়ন করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আগামী বছরকে পর্যটনবর্ষ ঘোষণা করতে কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিপ্রাপ্তির পর এ ব্যাপারে বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পর্যটনের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

মাহবুব আলী বলেন, পর্যটন প্রতিযোগিতার বাজার, যে যত বেশি সেবা দেবে, তার দিকেই ঝুঁকবে পর্যটক। সেবার মান নিশ্চিত করতে পারলে আমাদের পর্যটনশিল্প বিকশিত হবে। আগে হয়নি বলে বর্তমানে হবে না, এটি কোনো কথা নয়। ইচ্ছা, উদ্যম ও পরিশ্রম থাকলে সব কিছু অর্জন করা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছা এবং কর্মে এ দেশ আজ সারাবিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং আমরা যদি পরিশ্রম করি এবং উদ্যমী হই- তবে পর্যটনে অবশ্যই দৃশ্যমান পরিবর্তন আনা সম্ভব।

তিনি বলেন, এতদিন নানা কারণে দেশের পর্যটনশিল্পের বিকাশ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন পর্যটনশিল্পের বিকাশ নিশ্চিত করা হবে। স্টেকহোল্ডারদের সুপারিশ শতভাগ বাস্তবায়ন করা হবে। আমরা আহসান মঞ্জিল, লালবাগ কেল্লা, ছোট কাটরা, জাতীয় সংসদ ভবনসহ সব ঐতিহাসিক ও পুরাতাত্ত্বিক স্থাপনা ব্র্যান্ডিং করব।

দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রভূত উন্নতি হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি জায়গায় প্রতিটি কোনে এখন পর্যটকরা নিরাপদে বিচরণ করতে পারছেন। ট্যুরিস্ট পুলিশ গঠন করায় দেশের প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। পর্যটক গেলে বের হতে পারবে না, এমন পরিস্থিতি আর নেই।

মাহবুব আলী বলেন, পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমাদের সম্ভাবনা ও ঘাটতির জায়গাগুলো তারা চিহ্নিত করবে। তারা আমাদের পরামর্শ দেবে পর্যটন উন্নয়নের জন্য, সেটা আমরা দ্রুত বাস্তবায়ন করব। আমাদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। মনে রাখতে হবে, বিদেশি পর্যটক আকৃষ্ট করতে সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে, তাদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে। শ্রদ্ধাবোধ ও সহনশীলতা ছাড়া পর্যটনের বিকাশ সম্ভব নয়। পর্যটন বিকাশের জন্য আমাদের জাতি হিসেবে পর্যটনবান্ধব হতে হবে।

ট্রাভেল ম্যাগাজিন ভ্রমণের সম্পাদক আবু সুফিয়ানের উপস্থাপনায় সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ, পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান রাম চন্দ্র দাস, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোকাব্বির হোসেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি মল্লিক ফখরুল ইসলাম, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান, গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নওয়াজিশ আলী খান প্রমুখ।

টুরিস্ট পুলিশ গঠন করায় দেশের প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত মূল্যবোধ কাজে লাগাতে পারলেই দেশ এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পর্যটনও এগিয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অর্জিত মূল্যবোধ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হবে। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া পর্যটন কর্পোরেশনকে পর্যটনের উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে ও উদ্যমী হতে হবে।

Leave a Reply