গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতে ওয়াকওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা

Share on Facebook

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের অপরূপ সবুচ গালিচায় ঢাকা গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত ভ্রমণকে পর্যটকদের জন্য স্বস্তিদায়ক করতে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে ও রিসোর্টের নকশা তৈরী করেছে সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রশাসন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসনের করা নকশা ইতোমধ্যে অর্থ বরাদ্দের জন্য কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে শীঘ্রই এই পর্যটন কেন্দ্রকে ঢেলে সাজানো হবে।

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘গুলিয়াখালী প্রকৃতির অপরূপ নিদর্শন। এটাকে পরিকল্পিতভাবে সাজানো গেলে বিপুল পর্যটকের সমাগম হবে। ইতোমধ্যে নকশা তৈরি করা হয়েছে। বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির কিছু ফান্ড আছে। সেগুলো ব্যবহারের সুযোগ আছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। আশা করছি ইতিবাচক খবর পাবো। মাস খানেকের মধ্যে কাজ শুরুর ইচ্ছে আছে।’

সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পরিবেশ ঠিক করে সৈকতের ওয়াকওয়ে, রিসোর্টসহ সকল স্থাপনার দৃষ্টিনন্দন নকশা করা হয়েছে। এছাড়া সৈকতের আবর্জনা পরিষ্কার রাখা, অপরিকল্পিত দোকানপাট পরিকল্পিত স্থানে সরিয়ে আনারও পরিকল্পনা রয়েছে। এখন নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন ও বরাদ্দের জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে যোগাযোগ করছে।’

পূর্বে পাহাড় আর পশ্চিমের বঙ্গোপসাগরের মোহনায় আবৃত সীতাকুণ্ড উপজেলার অপরূপ প্রাকৃতিক সৈতক গুলিয়াখালী। প্রাকৃতিকভাবে এক প্রকার সবুজ ঘাসের চাদর এই সৈকতকে অনন্য করে তুলেছে। একপাশে দিগন্তজোড়া সাগরের জলরাশি ও অন্যপাশে ঘন কেওড়া বন এই সৈকতকে অনিন্দ্য সুন্দর করে তুলেছে। চট্টগ্রাম সিটি গেট থেকে গুলিয়াখালী সৈকতের দূরত্ব ৩১ কিলোমিটার। আর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড সদর থেকে এর দূরত্ব ৬ কিলোমিটার।

২০১৪ সাল থেকে পর্যটকদের কাছে এই সৈকত জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও এতোদিন সেখানে কোনো অবকাঠামো ছিলো না। সম্প্রতি গুলিয়াখালী সৈকত পরিদর্শন শেষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামান সৈকতে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে, রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট, শৌচাগারসহ যাবতীয় স্থাপনা নির্মাণের উদ্যোগ নিতে বলেন স্থানীয় প্রশাসনকে। এর ধারাবাহিকতায় সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে সৈকতের উন্নয়নের জন্য নকশা তৈরি করেছে। এছাড়া সৈকতের নিরাপত্তার জন্য টুরিস্ট পুলিশের ইউনিট চালুসহ আরো কিছু উদ্যোগ নিচ্ছে উপজেলা প্রশাসন।

সীতাকুণ্ড উপজেলার এসিল্যান্ড আশরাফুল আলম জানান, বর্ষাকালে জোয়ারের সময় সৈকত ডুবে গেলে পর্যটকরা বেকায়দায় পড়েন। সব ঋতুতে পর্যটকেরা যেন সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন তেমনই একটি নকশা করা হয়েছে। নকশা অনুযায়ী বেড়িবাঁধ থেকে ইংরেজি ওয়াই আকৃতির ১০ফুট ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। এর দুই দিকে হবে রেস্তোরাঁ, রিসোর্টসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করা হবে।

 

Leave a Reply