শাওন-শিলা এক হয়ে গ্রামীণফোনের কাছে ৩ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি

Share on Facebook

তারা ছিলেন বান্ধবী। দুজনে একসঙ্গে কিছু নাটকে অভিনয়ও করেছেন। তবে মেহের আফরোজ শাওনকে হুমায়ূন আহমেদ বিয়ে করার পর বন্ধুত্বে ফাটল ধরে শিলা আহমেদের। এরপর তাদের আর একসঙ্গে পাওয়া যায়নি কখনো।

অনুমতি ছাড়াই হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্টির বাণিজ্যিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে এক হলেন শাওন ও শিলা। তারা মেধাস্বত্ব আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে গ্রামীণফোনের কাছে ৩ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণও দাবি করেছেন।

অনুমতি ছাড়াই কিংবদন্তি লেখক হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয় চারটি চরিত্রকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করে মেধাস্বত্ব আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগে গ্রামীণফোনকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সেখানেই ৩ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে লেখক পরিবার।

প্রয়াত এই লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার হামিদুল মিজবাহ এ নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আইনজীবী হামিদুল মিজবাহ।

প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, কন্যা নোভা আহমেদ, শীলা আহমেদ, বিপাশা আহমেদ, পুত্র নূহাশ হুমায়ূন ও ভাই জাফর ইকবালের পক্ষে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

তাদের আইনজীবী বলেন, ‘আজ ২৭ জুলাই, মঙ্গলবার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে গ্রামীণফোনকে নোটিশ পাঠিয়েছি। এর আগে গত রোববার রাতেও ই-মেইল করেছিলাম।’

মেধাস্বত্ব আইন লঙ্ঘন করে গ্রামীণফোন যে চারটি চরিত্র অবলম্বনে যেসব প্রমোশনাল ভিডিও প্রচার করছে, তা তিনদিনের মধ্যে অপসারণ করতে বলা হয়েছে নোটিশে। সেই সঙ্গে মেধাস্বত্ব আইন লঙ্ঘনের জন্য ৩ কোটি ১৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ১৫ দিনের মধ্যে হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের সদস্যদের প্রদান করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

অন্যথায় গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলেও জানিয়েছেন নোটিশকারী আইনজীবী মিজবাহ।

জানা গেছে, মোবাইল ফোন কোম্পানি গ্রামীণফোন ২০২০-এর জুলাই মাসে ‘কেমন আছেন তারা’ শীর্ষক কয়েক পর্বের একটি ধারাবাহিক প্রোমোশনাল অনুষ্ঠান প্রচার করে। অনুষ্ঠানটির টাইটেল ছিল ‘গ্রামীণফোন নিবেদিত কেমন আছেন তারা’।

অনুষ্ঠানটি গ্রামীণফোনের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রচার করা হয় এবং তা ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে। এই অনুষ্ঠানে প্রয়াত লেখক হুমায়ূন আহমেদের রচিত চারটি জনপ্রিয় চরিত্র বাকের ভাই (কোথাও কেউ নেই), এলাচি বেগম (অয়োময়), সোবহান সাহেব (বহুব্রীহি) এবং তৈয়ব আলীকে (উড়ে যায় বক পক্ষী) ব্যবহার করা হয়।

এ জন্য গ্রামীণফোন হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের সদস্য বা উত্তরাধিকারীদের কাছ থেকে কোনো প্রকার অনুমতি বা লাইসেন্স নেয়নি। ফলে মেধাস্বত্ব আইন লঙ্ঘিত হয়েছে।

তাই গ্রামীণফোনকে নোটিশ পাঠিয়ে ক্ষতিপূরণ দাবির পাশাপাশি প্রমোশনাল ভিডিওগুলো সরানোর জন্য বলা হয়েছে৷

Leave a Reply