বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এগারোটি সুপার ফুড

Share on Facebook

স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকা অনেক লম্বা। নানা মুনির নানান মত। কেউ বলেন ব্রকোলির মতো খাদ্যগুণ নেই অন্য কোনও সবজির, আবার কারও মতে আমাদের পালং শাকই বা কম কী? পালঙের যে বেজায় দম তা তো কমিক চরিত্র পপেই কবেই বুক ঠুকে জানিয়ে দিয়েছে। তবে এসবই প্রচলিত ধারণা। অবশেষে দীর্ঘ এক গবেষণার পর পুষ্টিবিদরা সিলমোহর দিল এমন এগারো খাদ্যে, যা একইসঙ্গে সুপারফুড এবং এক খাবারেই গোটা দিন সুস্থ রাখার গুণসম্পন্ন।

এক ঝলকে দেখে নিন এই খাবারের তালিকায় রয়েছে কোনগুলি…

১. স্যামন বা সুরমাই মাছ (Salmon) এই মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। শরীরকে একশ শতাংশ সক্রিয় রাখতে এই ফ্যাটি অ্যাসিড অত্যন্ত জরুরি। অনেক রোগ প্রতিরোধেও কার্যকরী এটি। হার্টের রোগ, ডিমেনশিয়া, মানসিক অবসাদ কমাতে কাজে আসে এই মাছ। এটি তৈরি করাও সহজ এবং খেতেও সুস্বাদু। এতে অনেক ভিটামিন, মিনারেল এবং প্রোটিন থাকে।

২. কালে (Kale) কালে এক ধরনের শাক। এটি দেখতে অনেকটা ব্রকোলির মতো। আলাদা করে এর কোনও বিশেষ নাম না থাকলেও, সুপারমার্কেটগুলিতে কালে নামেই আপনি পাবেন। অনেকেই একে পালং শাকের খাদ্যগুণের সঙ্গে মিলিয়ে দেন। তবে না, গবেষণা বলছে, কালে শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার এবং অ্যান্টঅক্সিডেন্ট থাকে। এই শাকে রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, কপার ও ম্যাঙ্গানিজ। এই শাক ক্যানসার প্রতিরোধ করে।

৩. সামুদ্রিক শৈবাল (Seaweed) সমুদ্রে শুধু উপকারী মাছ নয়, রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সবুদ শাক-সবজিও। এগুলির মধ্যে অত্যন্ত উপকারী হল সামুদ্রিক শৈবাল। সুশি তৈরির জন্য এই শৈবাল ব্যবহার করা হয়। এছাড়া খাবার পেঁচিয়ে রাখতেও ব্যবহার হয় এই শাক। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ থাকে।

৪. রসুন (Garlic) রসুনের মতো ছোট্ট ওই সবজির কিন্তু বিস্তর গুণাগুণ। শুধু রান্না সুস্বাদু করাই নয়, এর খাদ্যগুণও অসম্ভব বেশি। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, বিওয়ান এবং বিসিক্স থাকে। রসুনে ভরপুর রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ ও সেলেনিয়াম। রসুন ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে, উচ্চ রক্তচাপ কমায়।

৫. শেলফিশ (Shellfish) শেলফিশের তালিকায় রয়েছে অনেক কিছুই। তবে সবচেয়ে সহজলভ্য হল ঝিনুক, শামুক, ওয়েস্টার। এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন B12, জিঙ্ক থাকে। রয়েছে পটাশিয়াম, ভিটামিন c, সেলেনিয়াম ও আয়রন। সবচেয়ে পুষ্টিকর প্রাণির মধ্যে রয়েছে এই শেলফিশ।

বিমানের টিকেট বিক্রির বিজ্ঞাপন

৬. আলু (Potatoes) একটি আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, কপার ও ম্যাঙ্গানিজ। এতে রয়েছে ভিটামিন c ও ভিটামিন B। আলু খেতেও অত্যন্ত সুস্বাদু।

৭. মেটে (Liver) প্রাণির সমস্ত দেহাংশের মধ্যে সবচেয়ে পুষ্টিকর হল মেটে। এটি শরীরে মেটাবলিজম বাড়াতে কার্যকরী। এতে রয়েছে ভিটামিন B12, B5, B6, B2, A এবং কপার। রয়েছে আয়রন, ফসফরাস, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম। সপ্তাহে একবার মেটে খেয়ে শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি পূরণ করুন।

৮. সার্ডিন (Sardines) সার্ডিন একধরনের তৈলাক্ত মাছ। এই পুরো মাছটাই খেয়ে নেওয়া যায়। এতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে।

৯. ব্লুবেরি বা জাম (Blueberries) যদি ব্লুবেরি হাতের কাছে না পান তবে দেশি জামও খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। শরীরে রক্ত তৈরি করে। মস্তিষ্ককে সজাগ রাখতে সাহায্য করে এই জাম।

১০. ডিমের কুসুম (Egg Yolks) ডিমের কুসুমে কোলেস্টেরল থাকে। কিন্তু গবেষণা বলছে, এতে শরীরের ক্ষতির পরিমাণ নেই। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, প্রোটিন এবং মিনারেল থাকে। থাকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটও। ওজন কমাতে সাহায্য করে ডিমের কুসুম। এটি সহজলভ্য এবং খেতেও সুস্বাদু।

১১. ডার্ক চকোলেট (Dark Chocolate-Cocoa) প্রচুর পরিমাণে কোকোয়া দেওয়া ডার্ক চকোলেট শরীরের পক্ষে দারুণ উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, কপার ও ম্যাঙ্গানিজ থাকে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্টও। উচ্চ রক্তচাপ কমানোর পাশাপাশি এটি শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে। হার্টের রোগ কমাতেও সাহায্য করে ডার্ক চকোলেট।

Leave a Reply