পরিবারের মন জয় করার সহজ উপায়, সাবেকিয়ানায় তৈরি করুন ফিশ বিরিয়ানি!

Share on Facebook

আম বাঙালির কাছে বিরিয়ানি মানেই চিকেন কিংবা মটন। সঙ্গে একটা ইয়া বড় সাইজের আলু আর সিদ্ধ ডিম। এ হাত ও হাত ঘুরে সবজি কিংবা চিংড়ির বিরিয়ানিরও প্রচলন হয়ে গেছে। কিন্তু বাঙালি বাড়িতে মাছের কদর তো আর কোনোদিন কমবে না। আর এখনও প্রাচীনপন্থীরা মাংসের চেয়ে মাছ খেতেই বেশি ভালোবাসেন। তাই হয়তো তাঁদের অনেকেই বিরিয়ানির স্বাদ ঠিকমতো পাননি। তাঁদের কথা ভেবেই আজ মাছের বিরিয়ানির রেসিপির হদিশ দেওয়ার প্ল্যান হয়েছে।

 

মাছের বিরিয়ানিতে যদি ভেবে থাকেন মাছের আঁশটে গন্ধ থাকে তাহলে একদমই ভুল ধারণা। মাছের বিরিয়ানির স্বাদের কোনও তুলনাই হয় না। যাঁরা মাছ খেতে ভালোবাসেন তাঁরা তো হাপুস হুপুস করে মাছের বিরিয়ানি খাবেন। চিকেন বা মটনের গন্ধ হয়তো বিরিয়ানিতে থাকবে না। তবে মাছের নির্দিষ্ট গন্ধ বিরিয়ানির আবেশকে আরও বাড়িয়ে দেবে। জিভের স্বাদেও খানিকটা বদলে হবে।
এবার তাহলে আসল কাজ শুরু করা যায়। বিরিয়ানি তৈরি করতে হবে।

মাছের বিরিয়ানি
উপকরণ :
মাছ- ৭৫০ গ্রাম (কাতলা, ভেটকি, বড় রুই পছন্দমতো মাছ নিন, পিস গুলো বড় হতে হবে)
বাসমতি চাল- ৫০০ গ্রাম
দই- ১ কাপ
টোম্যাটো- ১টা বড়
পেঁয়াজ- ৪টি
কাঁচালঙ্কা- ৬টি
ধনে পাতা- ১ আঁটি
লেবুর রস- ১ চামচ
আদা রসুন বাটা- ২ চামচ
দারচিনি- ১টি স্টিক
এলাচ- ৪টি
লবঙ্গ- ৪টি

স্টার অ্যানাইস- ২টি
জায়ফল- ১টি
জয়িত্রী- ২টি পাতলা কোয়া
বিরিয়ানির মশলা
তেজপাতা
সাদা তেল
নুন
চিনি

প্রণালী :
স্টেপ ১
দই খুব ভালো করে ফেটিয়ে নিন। পেঁয়াজ ঝিরিঝিরি করে কেটে নিন। কাঁচালঙ্কা লম্বালম্বি চিড়ে নিন। ধনে পাতা মিহি করে কুঁচিয়ে নিন।
মাছের টুকরো খুব ভালো করে ধুয়ে নেবেন। এবার একটি পাত্রে অর্ধেক কাপ ফেটানো দই, লেবুর রস আর আদা রসুনের পেস্ট ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রনে মাছগুলি দিয়ে ম্যারিনেট করুন।

স্টেপ ২

বাসমতি চাল ভালো করে ধুয়ে কয়েক ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর জল ঝরিয়ে নিন ভালো করে। খেয়াল রাখবেন চালে জল যেন থেকে না থেকে যায়। এবার জলে সামান্য নুন মিশিয়ে তাতে চাল সিদ্ধ করুন। একে একে তাতে তেজপাতা, দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, জয়িত্রী, জায়ফল এবং স্টার অ্যানাইস দিয়ে দিন। খেয়াল রাখবেন চাল যেন আধসিদ্ধ হয়। চাইলে গোটা মশলাগুলি ভাত থেকে তুলে নিতে পারেন।

স্টেপ ৩
এবার একটি বড় পাত্রে তেল গরম করুন। তাতে ঝিরিঝির করে কাটা পেঁয়াজ দিয়ে দিন। সোনালি করে ভাজা হলে তাতে মেশান টোম্যাটো কুচি, বাকি অর্ধেক দই, নুন এবং চিনি। আলতো করে নাড়তে থাকুন। টোম্যাটো নরম হয়ে গেলে তাতে ম্যারিনেট করা মাছ, সামান্য বিরিয়ানির মশলা এবং কাঁচা লঙ্কা চেরা দিয়ে দিন। কষাতে থাকুন।

স্টেপ ৪
মাছ ভালো করে কষিয়ে রান্না হয়ে গেলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। মাছের ঝালটি আলাদা করে রেখে দিন। এবার একটি বড় ভারি পাত্র ঢিমে আঁচে গরম করুন। আধ সিদ্ধ ভাত পাত্রে ছড়িয়ে দিন। তার উপর গ্রেভি সুদ্ধ মাছ ছড়িয়ে দিন। উপরে ছড়িয়ে দিন ধনে পাতা। মাছের লেয়ারের উপর ফের ভাতের লেয়ার তৈরি করুন।

স্টেপ ৫
চালের উপর বাকি মাছটুকু লেয়ার করে দিন। উপরে ফের ছড়িয়ে দিন ধনে পাতা। এবার পাত্রটি ঢেকে দিয়ে এয়ার টাইট করে দিন। এয়ার টাইটের জন্য আটা মেখে ঢাকনার চারপাশে আটকে দিন। এবং উপরে শিলনোড়া বা জল ভর্তি বড় পাত্র চাপিয়ে দিন। মিনিট ১৫ পাত্রটিকে আগুনের আঁচে রেখে দিন।

স্টেপ ৬
সময়মতো পাত্র নামিয়ে সাবধানে ঢাকনা খুলে হালকা হাতে হাতা দিয়ে বিরিয়ানি মিশিয়ে নিন। গরম গরম বিরিয়ানি খান। এই স্বাদের তুলনা হয় না।

Leave a Reply