অবসাদ কাটাতে খাদ্য তালিকায় রাখুন…

Share on Facebook

সকালের ঘুম থেকে উঠেই ক্লান্তিভাব বা কাজের পরে ক্লান্তিভাব দূর করতে প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবার। ভারতের অনলাইন ভিত্তিক পুষ্টিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘নিউট্রিফোরভার্ভ’য়ের প্রধান পুষ্টিবিদ শিবানী শিক্রি বলেন, “সম্পূরক খাবারের মতই বেশ কিছু খাবার স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো যা অবসাদ কাটাতে সাহায্য করে। তাই বাজারের তালিকায় এই সকল উপাদান রাখা যেতে পারে।”

ফেমিনা ডটইন’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এরকম বেশ কয়েকটি খাবারের নামও জানান তিনি।

ভিটামিন সি: টক-জাতীয় ফল (লেবু, কমলা, আঙুর), কিউই, পালংশাক, লেটুস পাতা ও মরিচ ইত্যাদি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার।

প্রোটিন: ডিম প্রোটিইনের ভালো উৎস। এটা দেহের কোষ সুস্থ রাখে। লুটেইন ও জিক্সানথিন (ক্যারোটিনয়েড) দৃষ্টি শক্তি বাড়ায় ও বয়সের ছাপ ধীর করে। ডিম ছাড়াও ডাল ও মটর-জাতীয় খাবার থেকে প্রোটিন পাওয়া যায়।

লৌহ: গাঢ় সবুজ শাক, মটর, ডাল, টফু, শুকনা ফল ও ডার্ক চকলেট আয়রনের ভালো উৎস।

সেলেনিয়াম: সেলেনিয়াম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ উপাদান যা ক্লান্তিভাব, নির্ঘুমতা ও দুর্বলতা কমাতে ভূমিকা রাখে। দীর্ঘ মেয়াদী হৃদরোগ থেকেও সুস্থ রাখতে সহায়ক এই উপাদান। মটর, বাদাম ও ডিম সেলেনিয়ামের ভালো উৎস।

প্রোবায়োটিক্স: দইয়ে আছে ল্যাক্টিক অ্যাসিড ও প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ ব্যাক্টেরিয়া যা, প্রাকৃতিকভাবেই শরীরকে সুরক্ষিত রাখে। নরম পনির, ঠাণ্ডা শুকনো ইস্ট, পাতাবহুল সবজি, ছানা এবং সবুজ সবজি ইত্যাদি থেকে প্রোবায়োটিক পাওয়া যায়।

দুর্বলতা কমায় এমন কিছু খাবারের তালিকা দেন শিক্রি।

মধু: মধু খুব ভালো প্রভাবক। এটা শরীর ও মনের দুর্বলতা কাটাতে ও চাপ কমাতে সহায়তা করে। এটা খনিজ যেমন- ক্যালসিয়াম, লৌহ, সিলিকন, ফসফরাস এবং ভিটামিন, বিশেষত ভিটামিন বি’য়ের ভাল উৎস।

বিমানের টিকেট বিক্রির বিজ্ঞাপন

আদা: আদা ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ। দিনের শুরুতে আদা পানির সঙ্গে লেবুর রস যোগ করে পান করা উপকারী।

কোকোয়া-চকলেট: কোকোয়া পলিফেনল সমৃদ্ধ যা ব্যাক্টেরিয়া রোধে কাজ করে। এতে আছে ভিটামিন এ, বি সিক্স এবং সি। এগুলো সংক্রমণ দূর করতে কাজ করে।

কোকোয়াতে রয়েছে ভিটামিন ডি, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, কপার ও সেলেনিয়াম।

শিক্রি আরও বলেন, “এর ভালো ফলাফল পেতে কম পক্ষে ৭০ শতাংশ কোকোয়া সমৃদ্ধ চকোলেট নির্বাচন করুন। এতে সঠিক পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ। দৈনিক দুয়েক টুকরা ডার্ক চকলেট খাওয়া উপকারী। ”

কলা: ডোপামিন ও সেরোটোনিন সমৃদ্ধ যা স্নায়ুর কার্যকারিতা বাড়াতে ও চাপ কমাতে সহায়ক।

চিয়া বীজ: শক্তি যোগাতে চিয়া বীজ উপকারী। এটা ভিটামিন, খনিজ, প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও আঁশের ভালো উৎস। এই বীজ ভিজিয়ে রাখলে আকারে দশগুণ বড় হয় এবং অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখতে সহায়তা করে।

Leave a Reply