তিন মাসে মালদ্বীপ থেকে ফেরত এলেন তিনশ’র অধিক পর্যটক

Share on Facebook

গত তিন মাসে মালদ্বীপ থেকে শতশত বাংলাদেশী পর্যটক ফেরত এলেন। কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের কারণে মালদ্বীপে ভ্রমণ ভিসা পাচ্ছেন না বাংলাদেশী পর্যটকরা। এছাড়া বাড়তি গুণতে হচ্ছে ডিটেনশনে থাকার রুমরেন্ট মানিসহ খাবারের আলাদা খরচ। ফলে বিদেশের মাটিতে ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে দেশের সুনাম।

পৃথিবীর নয়াবিরাম সৌন্দর্যমন্ডিত ভারত মহাসাগরের গভীর নীল জলরাশির বুকে বেড়ে ওঠা টুরিস্ট ডেসটিনেশন নামে পরিচিত দ্বীপ রাষ্ট্র মালদ্বীপ। প্রতিনিয়ত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে এ ডেশে ঘুরতে যান পর্যটকরা। তেমনি বাংলাদেশ থেকেও অনেকেই ঘুরতে যাচ্ছেন মালদ্বীপে। যদিও দেশটিতে বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য অন অ্যারাইভাল ভিসা দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। তবে সম্প্রতি অনেক বাংলাদেশি দেশটিতে গিয়ে ভ্রমণ ভিসা না পেয়ে হতাশ হচ্ছেন।

বাংলাদেশি লো প্রোফাইলিং টুরিস্ট এখানে এসে পালিয়ে যায় তাই মালদ্বীপের ইমিগ্রেশন খুবই কঠোরভাবে প্রোফাইলিং চেক-ইনের মাধ্যমে ভ্রমণ ভিসা দেওয়ার পদক্ষেপ অনুসরণ করে। এছাড়াও বাংলাদেশের পর্যটকদের ভিসা না পাওয়ার কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, বৈধ রিটার্ন টিকিট না থাকাসহ ঘুরতে যাওয়া, আসার তারিখ পর্যন্ত মালদ্বীপের রেজিস্টার্ড হোটেলে পেইড বুকিং কনফার্মেশন লেটার সংগ্রহের ঘাটতি থাকা এবং পর্যটকদের সঙ্গে খরচ বাবদ দৈনিক ২৫০-৩০০ ইউএসডি নগদ মুদ্রা সঙ্গে বহন করতে ব্যর্থ হওয়া।

বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএসএ বাংলা এয়ারলাইন্সের মালদ্বীপ স্টেশনে কর্মরত জাহিদুল ইসলাম বলেন, পাসপোর্টের প্রোফাইলিং বাড়ানোর জন্য মালদ্বীপ ভ্রমণে কিছু টুরিস্টদের উদ্দেশ্য থাকে, কারও আবার পাসপোর্টে প্রথম স্ত্রীর নাম থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয় স্ত্রীকে হানিমুনে নিয়ে এলেও অ্যাডিশনাল ডকুমেন্ট না থাকার কারণে ভিসা পেতে জটিলতা সৃষ্টি হয়।

দেশের সুনাম রক্ষার্থে বাংলাদেশী টুরিস্টদের প্রয়োজনীয় অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলগুলো সংশোধনের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে প্রত্যাশা প্রবাসীদের।

 

Leave a Reply