টাইম ট্রাভেল বা সময় পরিভ্রমণ কি আসলে সম্ভব?

Share on Facebook

টাইম ট্রাভেল (Time Travel) বা সময় পরিভ্রমন চারটি মাধ্যমে সম্ভব। মাধ্যমগুলো হলো:-

1. ওয়ার্মহোল (Wormhole)
2. টিপলার সিলিন্ডার (Tipler Cylinder)
3. মহাকর্ষ (Gravity) ও 4. গতি (Speed)

এবার চলুন চারটি মাধ্যম সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে আসি।

1.ওয়ার্মহোল (Wormhole) :-

ওয়ার্মহোল হল তাত্ত্বিকভাবে মহাবিশ্বের যেকোনো দুটি স্থান-কালের (Space-time) মধ্যে সংযোগস্থল যা একটি টানেলের স্বরূপ।

[মহাবিশ্বের দৈর্ঘ্য প্রস্থ উচ্চতা ও সময় এ চারটি মাত্রা কে একত্রে স্থান-কাল বা Space-time বলে]

ওয়ার্মহোলের মাধ্যমে মহাবিশ্বের একটি স্থান থেকে অন্য একটি স্থানে কম সময়ের মাঝেই ভ্রমণ করা যায় কারণ এটি প্রায় কয়েক বিলিয়ন আলোকবর্ষের পার্থক্যে থাকা মহাবিশ্বের দুটি ভিন্ন ভিন্ন স্থান-কাল কে মাত্র কয়েক মিটারের একটি টানেলের মাধ্যমে সংযুক্ত করে দিতে পারে!! এর মাধ্যমে খুবই অল্প সময়ে কয়েক মিটার পথ পাড়ি দিয়ে অতীতে বা ভবিষ্যতে যাওয়া সম্ভব।

2. টিপলার সিলিন্ডার (Tipler Cylinder):-

টিপলার সিলিন্ডার বা টিপলার টাইম মেশিন একটি
হাইপোথেটিক্যাল থিয়োরি , যাতে বলা হচ্ছে একটি অতি দীর্ঘাকার চোঙ্গ যার অনুদৈর্ঘ্য অক্ষের (Longitudinal Axis) উপর প্রচণ্ড জোরে ঘূর্ণন করালে (100,000,000 / মিনিট) তার মধ্যে দিয়ে কোন বস্তু কে প্রবেশ করালে , বস্তুটির অতীতে যাবার সম্ভাবনা থাকে। তবে , টিপলার সিলিন্ডারের মাধ্যমে , শুধু মাত্র অতীতে যাওয়া যেতে পারে। বিজ্ঞানী ফ্রাঙ্ক টিপলার এই থিওরি প্রদান করেন।

3.মহাকর্ষ (Gravity):-

শক্তিশালী মহাকর্ষ বল সময়ের গতিকে ধীর করে দিতে পারে। শক্তিশালী মহাকর্ষের উৎস হিসেবে বলা যেতে পারে কৃষ্ণ গহ্বর (Black hole) কে। কৃষ্ণ গহ্বরের অত্যাধিক ভর ও ঘনত্বের কারণে এর মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র এতোটাই শক্তিশালী হয় যে এর ভেতর থেকে আলোক রশ্মি ও পর্যন্ত বের হতে পারে না। এই প্রবল মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের আশেপাশে কোনো স্পেসশিপ কে রাখা হলে স্পেসশিপের লোকেরা ভবিষ্যতে চলে যাবে। ধরুন, কৃষ্ণ গহ্বরের মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রে একটি স্পেসশিপ এক মাস অবস্থান করলো তারপর পৃথিবী তে ফিরে গিয়ে স্পেসশিপের লোকেরা দেখবে পৃথিবীতে বেশ কয়েক বছর পার হয়ে গেছে অর্থাৎ তারা ভবিষ্যতে চলে এসেছে।

4. গতি (Speed):-

আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব অনুসারে কোন বস্তুর গতি যত বেশি হবে তার ক্ষেত্রে সময় তত ধীরে চলবে। ধরুন, কোন একটি স্পেসশিপ যদি অনেক দ্রুত প্রায় আলোর গতির কাছাকাছি গতিতে চলে তাহলে স্পেসশিপ টি ভবিষ্যতে চলে যাবে। স্পেসশিপ টি অত্যাধিক দ্রুত চলার কারণে স্থির প্রসঙ্গ কাঠামোর তুলনায় স্পেসশিপের ক্ষেত্রে সময় অনেক ধীরে চলবে ফলে স্পেসশিপের লোকেরা ভবিষ্যতে চলে যাবে।

Leave a Reply