২০০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে আঘাত হানতে পারে মোখা।

Share on Facebook

আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য বলছে রোববার (১৪ মে) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে এটি কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

 

বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম বলছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ঘণ্টায় প্রায় ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার দমকা বা ঝড়ো বাতাসের প্রাবল্যতাসহ আঘাত হানতে পারে। তখন ঘূর্ণিঝড় শক্তির বাতাস প্রায় ২০০-২৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ জুড়ে বিস্তৃত থাকতে পারে।

সাইক্লোনের আঘাত হানার স্থানের কাছাকাছি সর্বাধিক গতিবেগ থাকতে পারে। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। একইসঙ্গে বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় অঞ্চলেও যথেষ্ট ঝড়ো বাতাসের আশঙ্কা রয়েছে। তাই চট্টগ্রাম বিভাগের সকল উপকূলীয় এলাকাসহ বরিশাল বিভাগের ভোলা ও পটুয়াখালী এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

এ অবস্থায় জান-মালের নিরাপত্তায় ১৪ তারিখ সকালের মধ্যে উপকূলের লোকদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

এদিকে ওয়েদার অবজারভেশন টিমের তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানলে টেকনাফ ও কক্সবাজার এলাকা ১৫ থেকে ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এছাড়া উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহও ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

তবে মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

 

Leave a Reply