সারোগেসির মাধ্যমে মাতৃত্বের স্বাদ পেলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া!

Share on Facebook

চিকিৎসাবিজ্ঞান রকেটের গতিতে উপরে উঠে এসেছে। এমনই একটি উন্নতির নাম হল সারোগেসি (Surrogacy)। এখন বহু সেলিব্রিটি সারোগেসির মাধ্যমে স্বাদ পাচ্ছেন মাতৃত্বের। কী এই পদ্ধতি? আসুন জানা যাক!

আমির খান- কিরণ রাও, শাহরুখ খান-গৌরী খান, তুষার কপূর, একতা কাপূর, করণ জোহার সহ বিভিন্ন সেলিব্রিটি (Celebrity) সারোগেসির মাধ্যমে পেয়েছেন অভিভাবকত্বের স্বাদ। এই তালিকায় নবতম সংযোজন হল নিক জোনাস এবং প্রিয়াঙ্কা চোপড়া (Priyanka Chopra)। সারোগেসির মাধ্যমে একটি ফুটফুটে একরত্তির জন্ম হয়েছে। তাই এই সেলেব দম্পতীকে অভিনন্দন জানাতে ব্যস্ত তাঁদের ফ্যানেরা। তবে অভিনন্দন জানালেও বহু মানুষের সারোগেসি বিষয়টি সম্পর্কে একটুকুও ধারণা নেই। তাই একবার এই আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির সবদিক সম্বন্ধে জেনে নেওয়া যাক!

সারোগেসি কী?
সারোগেসি হল একটি জনন প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রে কোনও দম্পতির সন্তান অন্য মহিলার গর্ভে পালিত হয়। তারপর নির্দিষ্ট সময়ে সন্তান ভূমিষ্ট হয়। যেই মহিলার গর্ভে সন্তান পালিত হচ্ছে তাঁকে সারোগেট মাদার বলা হয়। এই হল গোটা বিষয়টি।

কেন সারোগেসি?
এই প্রসঙ্গে বিশিষ্ট গাইনিকোলজিস্ট এবং আইভিএফ স্পেশালিস্ট ডা: দেবলীনা ব্রহ্ম বলেন, সারোগেসি হল গর্ভ (Womb) ধার নেওয়ার প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রে কোনও মহিলার গর্ভধারণ করতে সমস্যা হলে সারোগেসির পন্থা বেছে নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে সারোগেসির মূল কারণ গুলি হল-
১. মহিলার জরায়ু নেই।
২. জরায়ু ছোট হয়ে গিয়েছে।
৩. ক্যানসার আক্রান্ত।
৪. হাই সুগার।
৫. হাই প্রেশার।
৬. অন্য কোনও জটিল রোগ রয়েছে।
৭. মায়ের অনেকটা বয়স হয়ে গিয়েছে।
ইত্যাদি পরিস্থিতিতে সন্তান ধারণ করলে মায়ের এবং বাচ্চার শরীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই জটিলতা আঁচ করে নেওয়া যেতে পারে সারোগেসির পথ।

সারোগেসির ঝুঁকি
সারোগেসি থেকে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা খুবই কম। তবে তারপরও কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা অবশ্যই থাকে।
১. এক্ষেত্রে প্রতিবারেই যে সাফল্য আসবে এমন নয়।
২. সারোগেসির জন্য খুব কঠিন একটি প্রক্রিয়া মেনে চলতে হয়। এক্ষেত্রে আইভিএফ-এর মাধ্যমে গোটা প্রক্রিয়াটি চলে।

৩. একজন সারোগেট মাদার খুঁজে বের করতে হয় যিনি নিজের গর্ভে সন্তান ধারণ করবেন।

এছাড়াও এই গোটা পর্বে সারোগেট মা এবং দম্পতির মানসিক অবস্থার খুব খারাপ অবস্থা হতে পারে।

কী ভাবে এই প্রক্রিয়াটি চলে?
এক্ষেত্রে নিঃসন্তান দম্পতির ডিম্বাণু ও শুক্রাণু নিষিক্ত করা হয়। তারপর সেই ভ্রূণ সারোগেট মায়ের গর্ভে পৌঁছে দেওয়া হয়। এরপর নির্দিষ্ট সময় বাদে হয় সন্তানের জন্ম।

এক্ষেত্রে প্রেগন্যান্সির সময় বিভিন্ন টেস্টের মধ্য দিয়ে সবাইকে যেতে হয়। তারপরই একটি ফুটফুটে শিশু জন্ম নেয়।

ভারত প্রসঙ্গ
ডা: ব্রহ্ম বলেন, সারোগেসি খুবই প্রয়োজনীয় একটি প্রক্রিয়া। এই পদ্ধতির মাধ্যমে কিছু নিঃসন্তান দম্পতি অভিভাবক হওয়ার রাস্তা খুঁজে পান। তবে প্রয়োজন বাদেও অনেকে এই পদ্ধতির সাহায্য নেন। সেক্ষেত্রে টাকার বিনিময়ে হয় সারোগেসি। বিশেষত, সেলিব্রিটিরা এই পদ্ধতি ব্যবহার করেন। যদিও তাঁদের এই পদ্ধতি ব্যবহারের কোনও শারীরিক প্রয়োজনই নেই। তাই বর্তমানে সরকারের পক্ষ থেকে টাকার বিনিময়ে হওয়া কমর্শিয়াল সারোগেসি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply