গুড়ের যতো গুণাগুণ

Share on Facebook

শীতকালে বাঙালির মুখে একটু গুড় পড়বে না , সেটা আবার হয় নাকি! কথায় বলে রশেবসে বাঙালি। ডিসেম্বর মাসের শুরু, কাঁপুনি দেওয়া ঠাণ্ডা না পরলেও মৃদু হিমেল হাওয়া আর দুপুরের মিঠে রোদ জানাচ্ছে শীত দোরগোড়ায়। এই সময় বাঙালির ঘরে ঘরে শেষ পাতে গুড় খাওয়ার রীতি আমাদের প্রায়শই চোখে পড়ে। গুড় যে শুধু স্বাদের জন্য খাওয়া হয় তা একেবারেই নয়, এটি পুষ্টিগুণেও ভরপুর। যেমন- ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদির রয়েছে। পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবাকর তাঁর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে শীতকালে গুড় খাবার কয়েকটি টিপস দিয়েছেন। জেনে নিন সেগুলি কী কী…

ঘি-এর সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেলে তা শরীরের পক্ষে খুবই কার্যকর। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতন জটিল সমস্যার হাত থেকে মুক্তি মেলে। আপনার শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। ত্বক, নখ, চুলকে আরও স্বাস্থ্যকর বানাতে গুড় এবং ঘি অনবদ্য। দুপুরে খাওয়ার পর এক টেবিল চামচ ঘি এর সঙ্গে অল্প গুড় মিশিয়ে খেলে সব থেকে বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়।

ধনে বীজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কোলিন এবং বিটা ক্যারোটিন থাকে। ২-৩ টি ধনে বীজের সঙ্গে যদি অল্প মাত্রায় গুড় মিশিয়ে খাওয়া হয় তাহলে শরীর থেকে রক্তপাত নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকে। এ ছাড়াও মেয়েদের মাসিক চলাকালীন পেটের ব্যথা কমাতে এর বিকল্প নেই।

দুপুরে কিংবা রাতে আহারের পর মৌরির সঙ্গে মিছরি মিশিয়ে খাওয়ার রীতি বাঙালীদের মধ্যে প্রায় দেখা যায়। কিন্তু মিছরি আদতে চিনি। তাই মিছরির বদলে গুড় মিশিয়ে খান। মুখের ভিতরের দুর্গন্ধ দূর হবে।

তিলের বীজে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন থাকে। তাই একে শক্তি উৎপাদন করার পাওয়ার হাউস বলা হয়। তিলের বীজের সঙ্গে অল্প গুড় মিশিয়ে খেলে শীতকালীন সর্দি, কাশি, অ্যালার্জিরর হাত থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়।তিলের বীজে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন থাকে। তাই একে শক্তি উৎপাদন করার পাওয়ার হাউস বলা হয়। তিলের বীজের সঙ্গে অল্প গুড় মিশিয়ে খেলে শীতকালীন সর্দি, কাশি, অ্যালার্জিরর হাত থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়।

গুড় এবং চিনাবাদাম চিক্কি শীতের আরও একটি জমজমাটি খাবার। চিনাবাদামে রয়েছে বায়োটিন, তামা, নিয়াসিন, ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন ই, থিয়ামিন, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম। চিনাবাদাম চিক্কি শীতকালে আপনার ঘন ঘন খিদে পাওয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে।

শীতকালে চুলকে অনেক বেশি প্রাণহীন, রুক্ষ ও শুষ্ক দেখায়। শীত পড়তে না পড়তেই চুলের আর্দ্রতা হারিয়ে যায়। এই মরসুমে চুলের উজ্জ্বলতা ও মোলায়েম ভাব বজায় রাখতে মেথি বীজের সঙ্গে অল্প গুড় মিশিয়ে সপ্তাহে ৩-৪ দিন খেতে পারেন। চুল ও ত্বক দুই ভাল থাকবে।

হলুদের উপকারিতা সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। অতীত থেকেই বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় হলুদের ব্যবহার আমাদের অজানা নয়। শরীরে ইমিউনিটি বাড়ানোর জন্য দুধের মধ্যে অল্প হলুদ ও গুড় মিশিয়ে খান। শীতের মরসুমে রাতে আহারের পর এক গ্লাস দুধ খাওয়া শরীরের পক্ষে ভাল।

শীতের সময় আদা চা আমরা হামেশাই খেয়ে থাকি। বাজারে শুকনো আদার পাউডার কিনতে পাওয়া যায়। আবার অনেকেই নিজের বাড়িতে আদা শুকিয়ে পাউডার করে নেন। এই পাউডার ও গুড় মিশিয়ে চাটনি বানালে তার স্বাদই আলাদা। সকালে গরম কচুরির সঙ্গে এই চাটনি সার্ভ করুন, এতে দিল খুশ ও শরীরের পুষ্টি মিলবে।

Leave a Reply