পাবনা-৪ উপ নির্বাচন: রাত পোহালেই ভোট

Share on Facebook

মহামারীর মধ্যে —স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে’ পাবনা-৪ আসনের উপ নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীর অংশগ্রহণে শনিবার সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ব্যালট পেপারে টানা ভোট চলবে। রিটানিং অফিসার ও জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ জানান, সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভোট গ্রহণের সবপ্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে সব ভোটকেন্দ্র ব্যালট পেপার পৌঁছে দেওয়া হবে। এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিন জন প্রার্থী- আওয়ামী লীগের নুরুজ্জামান বিশ্বাস, বিএনপি হাবিবুর রহমান হাবিব এবং জাতীয় পাটির রেজাউল করিম। পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) উপজেলার দুটি পৌরসভা ১২টি ইউনিয়নের মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১২৯টি। মোট ভোটার ৩ লাখ ৮১ হাজার ১১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১,৯১,৬৯৭ জন আর নারী ভোটার ১,৮৯,৪১৫ জন।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনকে ঘিরে চার স্তুরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। অবাধ ও শান্তিপূর্ন নির্বাচনে ১১০০ পুলিশ সদস্য, ১৫৪৮ জন আনসার সদস্য ও দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে; দায়িত্বে থাকবেন ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের একাধিক টিম। শুক্রবার বিকেলে ভোট কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে ব্যালট বক্সসহ অন্যান্য নির্বাচনী উপকরণ। দুপুর ২টার পর নির্বাচনী কার্যালয় থেকে প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারি প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে এ সব মালামাল বুঝিয়ে দেওয়া হয়। নির্বাচনী মালামালের মধ্যে রয়েছে- ব্যালট বাক্স, অমোচনীয় কালি, সিল, কলমসহ অন্যান্য উপকরণ।

করোনাভাইরাস প্রকোপের মধ্যে স্বাস্থ্য বিধি মেনে আরও একটি উপ নির্বাচন হচ্ছে। রিটার্নিং অফিসার জানান, করোনাভাইরাসের কারণে ভোটের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের জন্য থাকবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থা। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার জন্য থাকবে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড গ্লাভস। সেই সঙ্গে ভোটারের লাইনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন রিটানিং অফিসার আব্দুল লতিফ শেখ ।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে সচেতনতা বাড়ায় তুলনামুলকভাবে ভোটার উপস্থিতিও বাড়তে পারে বলে মনে করেন এ কর্মকর্তা। সবশেষ গত জুলাইয়ে যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬৩.৫ শতাংশ। আর বগুড়া-১ আসনে ভোট দিয়েছে ৪৫.৫ শতাংশ ভোটার। দুটি আসনে গড় ভোটের হার ৫৫ শতাংশ।

গত ২ এপ্রিল সাংসদ শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর মৃত্যুতে পাবনা-৪ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। এরপর ৯০ দিনের মধ্যে উপ নির্বাচন করার কথা থাকলেও মহামারীর কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার মধ্যে ২৬ সেপ্টেম্বর পাবনা-৪ আসনের উপ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা ইতোমধ্যে বলেছেন, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় করোনাকালে নির্বাচন করছে আমাদের কমিশন। শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো বিশ্ব এখন এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এরপরও জীবন থেমে নেই। অনেক দেশ এর মধ্যেই নির্বাচন করছে, আবার অনেকেই করছে না। পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান সিইসি।

Leave a Reply