ফেরিতে উভয়মুখী চাপ

Share on Facebook

মঙ্গলবার সকাল থেকেই বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করেছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌরুটে। ঝড়ো হাওয়ায় একঘণ্টা বন্ধ ছিল লঞ্চ ও স্পিডবোট। সকাল ১০টা থেকে ১১টা থেকে বন্ধ ছিল নৌযানগুলো। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুট হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের উভয়মুখী যাত্রীদের ভিড় এখনো রয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রী চাপ চোখে পড়ার মতো।

মঙ্গলবার বেলা বাড়ার সাথে সাথে কর্মস্থলমুখো যাত্রীদের চাপ বাড়তে শুরু করে। এদিকে এই রুটে ফেরি চলছে মাত্র ৭টি। বিকল্প চ্যানেলের ভাটিতে পালেরচর হয়ে ফেরিগুলো ধারনক্ষমতার চেয়ে কম যানবাহন নিয়ে কোনমতে চলছে। প্রতিবারের ন্যায় এ ঈদেও যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঘাট এলাকায় পুলিশ, র‌্যাব, ফায়ার সার্ভিস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পর্যাপ্ত আইনশৃংখলা বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে। বিআইডব্লিউটিএর একাধিক টিম ঘাটে অবস্থান করছে।

খুলনা থেকে ঢাকাগামী আবু তালেব বলেন, ছুটিতে পরিবারের সাথে ঈদ করতে বাড়ি গিয়েছিলাম। আজ ঢাকা ফিরছি। পথে বাসে তুলনামূলক ভাড়া একটু বেশিই নিয়েছে। আর লঞ্চ ঘাটে এসে বৃষ্টির জন্য আটকে পড়েছি।

ঢাকা থেকে বরিশালগামী হেলেনা বেগম বলেন, ঈদের সময় পথে অনেক ভিড় হবে ভেবে ঈদের পরে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। কিন্তু এখনো দেখছি বাড়ি ফেরার মানুষের ভিড় অনেক বেশি। কোথাও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা হচ্ছে না।

বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক শাহাদাত হোসেন বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে নৌযান চলাচল ১ ঘণ্টা বন্ধ ছিল। ঈদ শেষে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে ফেরা নিশ্চিত করতে ঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত আইন শৃংখলা বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে। প্রতিটি নৌযান ও যানবাহনে স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে আইন শৃংখলা বাহিনী কাজ করছে। কোন অবস্থাতেই লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী উঠতে দেয়া হবে না।

৫ thoughts on “ফেরিতে উভয়মুখী চাপ

Leave a Reply