করোনায় পুলিশের ৬০ সদস্য আক্রান্ত

Share on Facebook

করোনা সংক্রমণের ঠেকাতে সাহসী ভূমিকায় রয়েছেন পুলিশ। চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে খাদ্য সহায়তা সব কিছুতেই এগিয়ে আসছেন তারা। কিন্তু এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বাহিনীটির ষাট জন পুলিশ সদস্য। কেরন্টাইনে আছেন প্রায় সাড়ে ৬’শ। সদর দপ্তরের হিসেবে আক্রান্তের সংখ্যা ৪০।
এদেকে পুলিশের এ মুহূর্তে সামাজিক দূরুত্ব নিশ্চিতের ঘোণষা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনা।
২৭ জন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত। ১১ জন গোপালগঞ্জে, ৬ জন নারায়ণগঞ্জে, ৫ জন গাজীপুর মহানগর পুলিশে, ২ জন কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নরসিংদী, পুলিশ টিঅ্যান্ডআইএম, এপিবিএন ময়মনসিংহ, নৌ–পুলিশ ইউনিট ও অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সদস্যরা আক্রান্ত বেশি হয়েছেন।
গতকাল শনিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের আইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, ‘যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের পুলিশের স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোতে আইইডিসিআরের নিয়ম অনুসরণ করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে। একই সঙ্গে বলবো, এই সময় পুলিশ মানুষের পাশে যেভাবে দাঁড়িয়েছে, তা প্রশংসাযোগ্য। কিন্তু তাদেরও সাবধান থাকতে হবে। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে পুলিশকে আরও নিরাপদ রাখতে নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’

পুলিশ আক্রান্ত হতে পারে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশকে এখন রাস্তায় থাকতে হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব, ত্রাণ বিতরণ, মরা মানুষকে দাফন সবইতো পুলিশ করছে।’

পুলিশের এক হিসাব বলছে, শনিবার পর্যন্ত সারাদেশে প্রায় ৬০ জনের মতো পুলিশ সদস্য কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। ২৭ জন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত। এ ছাড়া সংক্রমণের ঝুঁকিতে আছেন এমন ছয় শতাধিক পুলিশ সদস্যকে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে (সঙ্গনিরোধ) পাঠানো হয়েছে।
২৭ জন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত। ১১ জন গোপালগঞ্জে, ৬ জন নারায়ণগঞ্জে, ৫ জন গাজীপুর মহানগর পুলিশে, ২ জন কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নরসিংদী, পুলিশ টিঅ্যান্ডআইএম, এপিবিএন ময়মনসিংহ, নৌ–পুলিশ ইউনিট ও অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সদস্যরা আক্রান্ত বেশি হয়েছেন। এ ছাড়া ৬৩৩ জন পুলিশ সদস্যকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১৪৩ জন। আর কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৮৫ জন।

মতিঝিলের এক পুলিশ সদস্য বলেন, ‘আমরা সারাক্ষণ রাস্তায় থাকি। কিন্তু কোন পিপিই নাই। এটি থাকলে হয়তো আক্রান্ত আরও কম হতো। মূলত মাস্ক আর হ্যান্ড সেনিটাইজারের ওপর আছি। ’

পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র বরছে, সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে এমন পুলিশ সদস্যদের আলাদা করা হচ্ছে। ডেমরার অস্থায়ী পুলিশ লাইন্সে ১০০টি বিছানার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজারবাগ মেহমানখানা এবং মিরপুর মেহমানখানায়ও কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনের ব্যবস্থা আছে।

Leave a Reply