সাও পাওলোর কার্ডোসো খুবই সুন্দর ও শান্ত দ্বীপ

Share on Facebook

দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম বৃহৎ দেশ ব্রাজিল। দেশটির সাও পাওলো প্রদেশের দক্ষিণ প্রান্তে ইলহা দো কার্ডোসো নামে কোলাহলমুক্ত শান্ত একটি দ্বীপ রয়েছে।

যারা কিছুদিনের জন্য ব্যস্ত জীবন থেকে পালাতে চান তাদের জন্য এ স্থানটি আদর্শতম একটি স্থান হতে পারে। এ দ্বীপে রাস্তাগুলো আধুনিকতার আদলে তৈরি হয়নি এখনও। এখানে কোনো গাড়ি চলাচল করে না। দ্বীপটিতে কোনো স্কুলবাস নেই। শিশুরা নৌকা করে স্কুলে যাতায়ত করে। সোলারের মাধ্যমে এ দ্বীপে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। তবে রাত সাড়ে এগারোটার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে।

অনেক পর্যটকই আজকাল ভিড় করছেন এ দ্বীপে ইলহা দো কার্ডোসো ব্রাজিলের সুরক্ষিত একটি এলাকা। এখানে যারা জন্ম নিয়েছেন শুধু তারাই এখানে থাকতে পারেন। অবশ্য স্থানীয় কারও সঙ্গে বিয়ে হলে তারাও এখানে থাকার অনুমতি পান।

এ দ্বীপে বর্তমানে অধিবাসীর সংখ্যা মাত্র ৪৮০ জন। তারা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। দেশটির অন্যান্য স্থানের তুলনায় এ দ্বীপের জীবনযাত্রা সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের।দ্বীপে ৩৩ হাজার একর জায়গা জুড়ে রয়েছে ম্যানগ্রোভ, সৈকত এবং রাষ্ট্রের সুরক্ষিত বন্য জীবন।

দ্বীপটিতে যাওয়া খুব সহজ নয়। দর্শনার্থীদের অবশ্যই এজন্য সাও পাওলো প্রদেশের দক্ষিণের শহর কানানিয়াতে যেতে হবে। তারপর ফেরিতে করে ওখানে পৌঁছতে হবে। কানানিয়া থেকে দ্বীপটিতে যেতে অন্তত তিন ঘণ্টা সময় লাগে। দ্বীপটিতে নেই আধুনিকতার ছোঁয়া
মুল বসতি থেকে এভাবে দূরে থাকতেই দ্বীপের বাসিন্দারা পছন্দ করেন। এখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে দৃঢ় সম্প্রীতি রয়েছে। পর্যটকদের জন্য দ্বীপে স্থানীয়দের উদ্যোগে অল্প কিছু রেস্তোরাঁ গড়ে উঠেছে। থাকার জন্যও আবাসনের ব্যবস্থা আছে এখানে।

যে কেউ দ্বীপটিতে ভ্রমণের জন্য যেতে পারেন। তবে এজন্য আগে থেকেই বুকিং দিতে হয়। কারণ এখানে পর্যটকদের জন্য থাকার স্থান খুবই সীমিত। আধুনিক জীবন থেকে পালাতে আজকাল অনেক পর্যটকই ওই দ্বীপটিতে ভিড় জমাচ্ছেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর ওই দ্বীপের বাসিন্দারা সাগর থেকে ধরা মাছ খান ও পর্যটকদের খাওয়ান। স্থানীয়রা নিজেদের লাগানো ফল, শাকসবজি, শস্য খেয়ে জীবনযাপন করেন।

Leave a Reply