উহানের চিকিৎসা কর্মীদের রিলাক্সের জন্য থাকবে ৭ প্রমোদতরী

Share on Facebook

চীনের করোনাভাইরাস সংক্রমণের কেন্দ্রস্থল উহানে, চিকিৎসা কর্মীদের রিলাক্সে রাখার জন্য সাতটি প্রমোদতরীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। চীনের মূলভূখণ্ডের পর জাপানের উপকূলে কোয়ারেন্টিনে থাকা একটি প্রমোদতরীতেই নতুন করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি সংক্রমেণের ঘটনা ঘটলেও এ ব্যবস্থা করেছে দেশটির সরকার।

সাতটি প্রমোদতরীর প্রথমটি ‘ব্লু হোয়েল’ শুক্রবার নিকটবর্তী শহর ইচাং থেকে ইয়াংসি নদী ধরে উহানে উপস্থিত হয়েছে বলে শনিবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।এই সাতটি জাহাজ এক হাজার ৪৬৯টি বিছানার যোগান দেবে।

করোনাভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করতে পুরো দেশ থেকে হাজার হাজার চিকিৎসা কর্মীকে মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশ ও এর রাজধানী উহানে এনেছে চীনের কর্তৃপক্ষ। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর এই উহান শহরেই নতুন করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এখান থেকেই পুরো চীনজুড়ে ও বিশ্বের ২৯টি দেশ ও অঞ্চলে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসটি ছড়িয়েছে।

সিনহুয়া জানায়, এমনিতে এই প্রমোদতরীগুলো ইয়াংসি নদীর থ্রি গর্জেস এলাকার দৃশ্যাবলী উপভোগসহ পর্যটকদের নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, এই জাহাজগুলোর নিরাপদ খাবার ও উন্নতমানের থাকার জায়গা প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে লড়াইরত চিকিৎসা কর্মীদের উৎফুল্ল রাখবে।

গত সপ্তাহে চীনের এক ঊর্ধ্বতন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশটির এক হাজার ৭১৬ জন স্বাস্থ্য কর্মী নতুন করোনাভাইরাস জনিত রোগ কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে কয়েকজন মারা গেছেন।

নতুন করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার মধ্যে কয়েকটি প্রমোদতরী আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে। এর মধ্যে জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে নোঙর করে থাকা ডায়মন্ড প্রিন্সেস আছে মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে।কারণ চীনের বাইরে নতুন করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা এই জাহাজটিতেই ঘটেছে।

প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেস ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ইয়োকোহামা বন্দরে কোয়ারেন্টিন অবস্থায় আছে। জাহাজটির তিন হাজার ৭০০ যাত্রীর মধ্যে ৬৩০ জন কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণ শনাক্ত হয়নি জাহাজটির এমন পাঁচ শতাধিক যাত্রীকে গত বুধবার থেকে জাহাজ ছেড়ে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply