ঘুরে আসুন অপরূপ কাশ্মীর

Share on Facebook

কাশ্মীরের অসাধারণ কিছু
ছবি আছে, যা আপনাকে বাধ্য করবে কাশ্মীর ভ্রমণের প্ল্যান করতে এখনই! অপার সৌন্দর্‍্য্যের
জন্য এই ভূমি ভূস্বর্গ হিসেবে জগতখ্যাত। বছরের বিভিন্ন সময়ে এই ভূস্বর্গ ধারন করে ভিন্ন
ভিন রূপ। কাশ্মীরের বিভিন্ন রূপের কিছু স্থিরচিত্র নিয়ে করা হয়েছে আজকের
আর্টিকেলটি।

কবিদের দেশ-
“কখনো ঘরের ছাদে ঝলমল করা অগণিত চাঁদ গুণতে পারেনি কেউ
আর না পেরেছে গুণতে কখনো দেয়ালের আড়ালে লুকিয়ে থাকা হাজারো সূর্যকে”
কাবুল শহরের গৌরবকে লিখতে ইরানি কবি শামস তাবরীজি লিখেছিলেন ওপরের লাইন দু’টি। অবাক হই ভেবে, তবে কাশ্মীর সম্পর্কে কি লিখতেন তিনি! সম্ভবত লিখতেন আরও সুন্দর কিছুই। কেননা এই ছবির মতো অপরূপ সৌন্দর্য্যের রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরের সোনালী সূর্য ও উষ্ণ মানুষের গল্পগুলো সাধারন মানুষকেও করে তোলে কবি।

রহস্যে ঘেরা-
ঈশ্বরের নিজের ঘর হবার মতোই স্থান এই কাশ্মীর। শ্রীনগরের হযরতবল মাজারের সৌন্দর্য্য এমনই। বাস্তবের চাইতেও বেশি মনে হয় এই ছবিতে। ধর্মীয় আবহের চাইতে বেশি আকর্ষণ রয়েছে মাজারের ঐতিহাসিক কারনে। ১৭ শতকের ইতিহাসও জড়িয়ে আছে এখানে। বলাই বাহুল্য, এই স্থানটি চিরকালের জন্য সাক্ষী হয়ে থাকবে কাশ্মীরের বদলাতে থাকা ইতিহাসের।

কাশ্মীরের সাত হ্রদ-
অপরূপ সাত হ্রদের একটি রয়েছে এই ছবিতে। ট্রেকিংয়ের জন্য উপযুক্ত পরাবাস্তব সৌন্দর্য্যের এই স্থানটি। বন্যরূপের এই হ্রদগুলো ভরে থাকে ট্রেকার ও রাখালের ভীড়ে।

বিস্ময়কর উপত্যকা আরু-
পাহলগাম থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই উপত্যকায় জানাতে পারবেন ভীড় ও কোলাহলকে। এখানেই কোলহোয় স্থাপন করা হয়েছে হিমবাহের জন্য বেসক্যাম্প। কাশ্মীর সম্পর্কে আপনার স্বপ্নে দেখা তৃণভূমির দেখা আপনি পাবেন ঠিক এখানেই, আরু উপত্যকায়।

তুষারপাত-
কাশ্মীরের তুষারপাত দেখার মাঝে এমন আনন্দদায়ক কিছু, যা কখনো ভাষায় বলে বোঝানো যায় না। যদিও তুষারপাতের ফলে স্থানীয় কিংবা ঘুরতে আসা পর্যটক হিসেবে আপনার একটু কষ্ট হবে পারিপার্শ্বিক অবস্থান পরিষ্কারভাবে দেখতে, কিন্তু তুষারপাতের সময়ে গরম এককাপ কাহওয়া পান করবার সময়ে যেমন উষ্ণতা অনুভব করবেন আপনি, তার কোন তুলনা নেই অন্য কোন কিছুর সাথেই। ঘুমের অতলে হারিয়ে পাওয়া রূপকথার গল্পের মতোই একটি জায়গা এই কাশ্মীর।

কোলাহল ও উন্মাদ জনতা থেকে বহুদূরে-
জম্মু এবং কাশ্মীর ঘুরবার সময়ে ভুলে যান প্যাকেজ ট্যুর কিংবা অপরিচিত দলের সঙ্গী হবার কথা। একাকী ভ্রমণের জন্য যোগ্যতম স্থান এটি। বিলাসদায়ক হোটেল কিংবা সস্তা লজ অথবা স্থানীয় রাখালদের কোন কেবিন, যেভাবেই খুশী আপনি থাকেন না কেন, কোলাহল ও উন্মাদ জনতা থেকে দূরে থাকবেন অনেক তার নিশ্চয়তা শতভাগ।

স্বপ্নময় প্যাংগন হ্রদ-
ভারতের সবচাইতে মনোরম হ্রদ সম্ভবত এই প্যাংগন। লাদাখের এই প্যাংগন হ্রদে আপনার জন্য যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য অপেক্ষা করছে, তা ভাবতেও পারবেন না আপনি। প্রায় ৪,৩৫০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত প্যাংগন হ্রদটি পৃথিবীর সমুদ্রপৃষ্ঠের হ্রদ। প্যাংগনের নীলচে পানির নীচে তৈরী হয় অনেকগুলো শেড। পাথরে পাহাড়ে আচ্ছাদিত এই নীল পানির হ্রদ মুগ্ধ আপনাকে করবেই।

তুরটুক-
লাদাখ হিমালয়ের গভীরে অবস্থিত গ্রাম তুরটুক যেন নেমে এসেছে স্বর্গ থেকেই। এই জায়গার আরেক নাম অ্যাপ্রিকট ভিলেজ। অ্যাপ্রিকট উপজাত খাদ্য ও প্রসাধন সামগ্রীর জন্য বিখ্যাত হবার পাশাপাশি বুনো সৌন্দর্য্যের জন্যও এর তুলনা নেই কোন।

রঙের খেলা জাঁস্করে-
জম্মু এবং কাশ্মীর ভ্রমণের পরে আপনি যেমন এড়াতে পারেন না লাদাখকে, তেমনই লাদাখ ভ্রমণের সময়ে এড়াতে পারবেন না আপনি জাঁস্করকে। লাদাখের সবচাইতে কম পর্যটক ভ্রমণ করা স্থান এই জাঁস্কর।

Leave a Reply