পর্যটকদের জন্য খাগড়াছড়িতে নতুন রিসোর্ট ‘খাস্রাং’

Share on Facebook

খাগড়াছড়ি জেলার পর্যটনে এবারে যুক্ত হলো খাস্রাং রিসোর্ট অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট। সদর উপজেলার আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের পাশে গড়ে তোলা হয়েছে এটিকে। এতে রয়েছে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা ও মনোরম পরিবেশ। পর্যটকদের জন্য শিগগিরই খুলে দেওয়া হবে নতুন এই রিসোর্ট ও রেস্তোরাঁ। আলুটিলা সংলগ্ন হওয়ায় রিসোর্টে যাতায়াতে পর্যটকদের অসুবিধা হবে না কোন।

পর্যটন স্পটটি
দেখাশোনার দায়িত্বে আছেন কার্তিক ত্রিপুরা। তিনি জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা তার ১০ একর জায়গার ওপর গড়ে তুলেছেন খাস্রাং রিসোর্ট
অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট। এতে গোলঘর করা হয়েছে ৬টি। প্রতিটিতে বসার ব্যবস্থা রয়েছে গড়ে
৮-১০ জনের। এছাড়া আছে একটি হলরুম, যেখানে ১০০ জনের
সভা-সেমিনার ও অনুষ্ঠান করা যাবে।

রিসোর্টে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী পোশাক রাখা হবে। পর্যটকরা ভাড়ায় এগুলো পরে ছবি তোলার পাশাপাশি পরিচিত হতে পারবেন পাহাড়ি জনজীবনের সঙ্গেও।

খাস্রাং রেস্তোরাঁয়
ফাস্ট ফুডসহ সব ধরনের খাবার পাওয়া যাবে। এতে একসঙ্গে খেতে পারবেন ৬৬ জন। পর্যটকদের
রাতে থাকার জন্য তৈরি হচ্ছে একটি হোটেল। এখানে চাঁদের আলোয় জোনাকির উড়ে চলার দৃশ্য, পুরো শহর ও সর্পিল
নদীর চলা উপভোগ করা যাবে। শহরের দৃশ্য দেখার পাশাপাশি রাতে বিভিন্ন রঙ-বেরঙের আলো,
সীমান্ত এলাকার দৃশ্য চোখে পড়ে। এছাড়াও পর্যটকরা চাঁদের আলো উপভোগ
করতে পারবেন রাতে।

পর্যটকদের খাস্রাং ভ্রমণের আহ্বান জানিয়েছেন উদ্যোক্তা ও সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। তিনি বলেন, ‘পর্যটকদের চিত্তবিনোদনের জন্য নেওয়া হয়েছে এই উদ্যোগ। আমার আশা, খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্পটের পাশাপাশি খাস্রাং রিসোর্ট আলাদা মাত্রা যোগ করবে।’

খাগড়াছড়ি জেলা
প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন,
‘খাস্রাং শিশুদের জন্যও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। এখানে সোনামনিদের
বিনোদনের জন্য শিশুবান্ধব বিভিন্ন স্থাপনা রাখা হচ্ছে। ওরা খেলাধুলার পাশাপাশি
পুকুরে ডিঙিতে চড়তে পারবে।’

খাগড়াছড়ির পুলিশ
সুপার মো. আহমারউজ্জামানের আশা,
খাস্রাং পর্যটনে নতুন মাত্রা যোগ করবে। এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা
অনেক ভালো উল্লেখ করে তিনি জানান, পর্যটকদের জন্য এখন
ট্যুরিস্ট পুলিশ রয়েছে। যেকোনও সমস্যায় ট্যুরিস্ট পুলিশের সহযোগিতা নেওার আহ্বান
জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

Leave a Reply