যাত্রাপথে বমি এড়াতে করণীয়

Share on Facebook

ভ্রমণপথে বমি করার অভ্যাস থাকায় অনেকে দূর পাল্লার ভ্রমণ থেকে নিজেকে বিরত রাখেন। আবার অনেক বয়স্ক মানুষ আছেন যারা গাড়ি পথে বমি করেন এতে করে আপনি যেমন বিব্রত অবস্থায় পরেন তেমনি বিব্রত হন আপনার সঙ্গী এবং আপনার আসে পাশের সিটে বসা মানুষজন। ভ্রমণে বমির অভ্যাস থাকতেই পারে তাই বলে কি আপনি দূরপাল্লার ভ্রমণ করবেন না ? অল্প কিছু নিয়ম মেনে চললেই আপনি এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন।

 

যানবাহনে বমির থেকে রক্ষা পেতে করণীয়- 

* ভ্রমণের সময় জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকলে সমস্যা কিছুটা কম হয়।

* এ সময় খোলা জানালা দিয়ে লম্বা লম্বা শ্বাস নিতে পারেন।

* বমি ভাব দূর করতে সবচেয়ে কার্যকরী ভেষজ ওষুধ আদা। আদা কুচি করে কেটে মুখে নিয়ে চিবুতে পারেন। এতে করে আপনার বমি ভাবটি দূর হয়ে যাবে। যারা আদার ঝাঁজ সহ্য করতে পারেন না, তারা একটু গরমপানিতে আদা সিদ্ধ রসটি মুখে নিয়ে কুলি করলে মুখ থেকে বমির বিচ্ছিরি গন্ধও দূর হয়ে যাবে।

* যখনই বমি ভাব দেখবেন তখনি মুখে এক টুকরা লবঙ্গ রেখে দিন। ধীরে ধীরে চিবুতে থাকুন দেখবেন আপনার মুখ থেকে বমিভাব চলে গিয়েছে।

* পুদিনাপাতা বমিভাব দূর করতে দারুণ কার্যকর। পুদিনার রস গ্যাস্ট্রিকজনিত বমিভাব দূর করতে বেশি কার্যকরী। তাই গ্যাস্ট্রিকজনিত বমিভাবে পুদিনা পাতা মুখে দিয়ে চিবুতে থাকুন।

* অনেকেই দারুচিনি চিবুতে পছন্দ করেন। দারুচিনি ভারী খাবারের পর খেলে হজমে খুব সাহায্য করে। তাই হজমের সমস্যাজনিত কারণে বমিভাব হলে খেতে পারেন এক টুকরা দারুচিনি।

* টক জাতীয় খাবারের ফলে শরীরের বমিভাব দূর হয়। লেবুর রসে রয়েছে সাইট্রিক এসিড যা বমিভাব দূর করতে বেশ কার্যকরী। কিন্তু গ্যাস্ট্রিকজনিত বমির ভাব হলে লেবু না খাওয়াই ভালো। তা ছাড়া বমি ভাব হলে লেবুপাতার গন্ধ উপকারে আসতে পারে। কারণ লেবুর পাতা শুকলে বমি বমি ভাব দূর হয়।

* ভ্রমণে যাদের বেশি সমস্যা হয় তারা গাড়িতে ওঠার আধঘন্টা আগে ডমপেরিডন জাতীয় ওষুধ খেয়ে নিতে পারেন।

* জানালার কাছে সিট নিন। জানালাটা খুলে দিন। খোলা বাতাসে মন-প্রাণ থাকবে চনমনে।

* গাড়িতে আড়াআড়ি বা যেদিকে গাড়ি চলছে সেদিক পেছন দিয়ে বসবেন না।

* যাত্রা শুরুর একটু আগে ভরপেট খাবেন না বা পান করবেন না।

* সুপারি বা শুধু পান কিংবা চুইংগাম চিবানোতেও উপকার পাওয়া যেতে পারে।

Leave a Reply