সুইমিং পুলে স্মার্টফোন নিষিদ্ধ

Share on Facebook

বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তি ও পর্যটন এগিয়ে চলেছে সমান তালে। প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে পর্যটন সেবা ক্রয় বা বিক্রয় পদ্ধতি সহজ থেকে সহজতর হচ্ছে দিন দিন। কিন্তু কোথাও ভ্রমণে গেলে পর্যটক আবার যন্ত্র বা প্রযুক্তির মধ্যেই এমনভাবে ডুবে থাকছে যেনো ভ্রমণটা ঠিক ভ্রমণ হচ্ছে না। ভ্রমণ যদিবা হয়ও তাহলেও সেটা ঠিক উপভোগ্য হয়ে উঠছে না। এমন একটা ধারণা থেকে ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের আয়ানা রিসোর্ট এন্ড স্পা “ইন দ্যা মোমেন্ট” নামে এক কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

এই কর্মসূচির আওতায় অতিথিদের রিসোর্টের সুইমিং পুলে স্মার্টফোন না আনার অনুরোধ করা হচ্ছে। সুইমিং পুলের পাশাপাশি রিসোর্টে অবস্থানকালের পুরোটা সময়ই অতিথিদের মোবাইল ব্যবহার না করারও পরামর্শ দিচ্ছে রিসোর্টটি। তবে অতিথিদের সময় কাটাতে কিছু অযান্ত্রিক বিনোদনের ব্যবস্থা রেখেছে তারা।

সাধারণত আগত অতিথিদের তোলা ছবি, চেক ইন ইত্যাদি দিয়ে কোনো হোটেল বা রিসোর্ট খুব সহজেই নিজের ব্র্যান্ড পরিচিতি পায়। এরকম গতানুগতিক ধারণার বাইরে গিয়ে আয়ানা রিসোর্টে স্মার্টফোন নিষিদ্ধ করেছে। বিশেষ করে সুইমিং পুলের আশপাশে স্মার্টফোনসহ যেকোনো ইলেকট্রনিক যন্ত্রই নিষিদ্ধ করেছে। এমন এই উদ্যোগ সম্পর্কে রিসোর্টটির পক্ষ থেকে বলা হয়, আমরা অতিথিদের এমন কিছু মুহূর্ত দিতে চাই যে সময়ে তারা নিজেদের অবকাশ অযান্ত্রিক উপায়ে এখানে উপভোগ করবেন।

রিসোর্টে অবস্থানকালীন সময়টা আনন্দ কাটানোর জন্য অযান্ত্রিক কিছু বিনোদনের ব্যবস্থা রেখেছে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ। যেমন কার্ড খেলা, লুডু খেলা ও দাবা খেলার জন্য আছে চুম্বকীয় বোর্ড। এছাড়াও বই বা ম্যাগাজিন পড়ার পাশাপাশি আছে সূর্যস্নানের সুবিধাও।

সাম্প্রতিক সময়ে বিপণন প্রতিষ্ঠান ওয়ান পোল প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দেখা যায়, প্রায় ৫৩ শতাংশ মার্কিন পর্যটক ভ্রমণের সময়ও মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। ২০ শতাংশ পর্যটক প্রতি ঘণ্টায় অন্তত একবার মোবাইল ব্যবহার করেন। আর অন্তত ১৮ শতাংশ পর্যটক ব্যবহার করেন প্রতি ঘণ্টায় দু’বার।

সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সুইমিং পুল এবং এর আশপাশে স্মার্টফোনসহ আইপড, ডিজিটাল ক্যামেরা থেকে শুরু করে ট্যাবের মতো ডিভাইস কিছুই নিয়ে আসতে পারবেন না অতিথিরা। তারা চাইলে এসব ডিভাইসে রিসোর্টের লকারে নিরাপদে জমা রাখতে পারেন।

Leave a Reply