চীনের রেইনবো মাউন্টেইন

Share on Facebook

চীনের রেইনবো মাউন্টেইন পর্বতমালা এতই নয়নাভিরাম যে পাবলো পিকাসো ও মাইকেল এঞ্জেলোর মতো বড় চিত্রশিল্পীরাও থমকে গিয়েছিলেন এই সৌন্দর্য্য দেখে। কিভাবে এত সুন্দর হয় প্রকৃতি? পাবলো পিকাসো তার আত্মজীবনীতে লিখেছিলেন, ‘সুন্দরের কাছে গিয়ে নীরব হতে চাইলে চলে যাও চীনের রেইনবো মাউন্টেইনে।’

২০১০ সালে প্রকৃতির এই আশ্চর্য সৃষ্টিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করে ইউনেস্কো। তবে ভূ-বিজ্ঞানীদের দাবি, এই রেনবো মাউন্টেনের প্রাথমিক রঙ ছিল টকটকে লাল। রঙিন সিলিকা আর ভূগর্ভস্থ লোহা আর তামার বিক্রিয়ার ফলেই এসেছিল এই লাল রঙ। পরবর্তীকালে বিভিন্ন খনিজ পদার্থের মধ্যে বিক্রিয়া ও পরিবেশের প্রভাবে সেই লাল রঙের ওপরে পড়েছে বিভিন্ন রঙের প্রলেপ।

বর্তমানে এই রেইনবো মাউন্টেইন উত্তর-পশ্চিম চীনের অন্যতম একটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র। এটি চীনের ‘গানসু’ প্রদেশে অবস্থিত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ছুটে আসেন পর্যটকেরা এখানে। শুধু রঙের বৈচিত্র নয়, পর্যটকদের আকৃষ্ট করে বিভিন্ন আকৃতির পাথরও। তবে এখান থেকে রঙিন পাথর নিয়ে যাওয়া আইনত দণ্ডনীয়। এখানকার আরেকটি দর্শনীয় বস্তু হলো বিশালাকৃতি প্রাকৃতিক পিলারগুলি।

এছাড়াও আরও একটি জিনিস বিস্ময় জাগায় এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকদের মনে। এই ৪০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ঘাস ছাড়া অস্তিত্ব নেই অন্য কোনো উদ্ভিদ বা প্রাণীর। এর প্রাকৃতিক একটি কারণ হতে পারে এখানকার অত্যন্ত রুক্ষ ও শুষ্ক আবহাওয়া।

ড্যানজিয়া ল্যান্ডফর্মের পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে দাঁড়িয়ে নীল আকাশের নিচে রামধনু রঙের পাহাড়ি ঢেউ ছাড়া আর কিছুই দেখা এক বিরল বিস্ময়কর অভিজ্ঞতা।

তবে এই রামধনুর মতো
রাঙানো পর্বতমালা কেবল চীনেই নয়, আছে দক্ষিণ আমেরিকার পেরুতেও। ভিনিকুঙ্কা
মাউন্টেইন নামের এই পেরুর এই পর্বতমালাও রামধনুর রঙে রাঙানো প্রকৃতির এক আশ্চর্য
সৃষ্টি। এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার ভার্মিলিয়ন ক্লিফও বিখ্যাত তার
রঙিন  বালু আর পাথরের জন্য। এবং
আইসল্যান্ডের ল্যান্ডম্যানালাওগর মাউন্টেইনও প্রকৃতির আশির্বাদে বিভিন্ন রঙে
রাঙানো।

Leave a Reply