সাউদিয়ার বহরে যুক্ত হলো প্রথম বোয়িং ৭৮৭-১০ ড্রিমলাইনার

Share on Facebook

গত ৩০ সেপ্টেম্বর
জেদ্দার বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল ১-এ ড্রিমলাইনারটি গ্রহণ করে সাউদিয়া কর্তৃপক্ষ। তাদের বহরে বর্তমানে ১টি বোয়িং ৭৮৭-১০ ড্রিমলাইনার, ১৩টি বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার, ও ৩৩টি ৭৭৭-৩০০ ইআর
(এক্সপেন্ডেড রেঞ্জ) বিমান।

সৌদি অ্যারাবিয়ান
এয়ারলাইনসের মহাপরিচালক
ইঞ্জিনিয়ার সালেহ বিন নাসের আল-জাসের
বলেন, ‘অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন বিমান বহর রয়েছে আমাদের। বোয়িং ৭৮৭-৯
ড্রিমলাইনারের সঙ্গে এবার যোগ হলো বোয়িং ৭৮৭-১০ ড্রিমলাইনার, যা ভবিষ্যতে নেটওয়ার্ক বৃদ্ধির পরিকল্পনাকে অনেকদূর
এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’

ইঞ্জিনিয়ার সালেহ বিন
নাসের আল-জাসের জানান, ‘অন্যান্য অনেক বিষয়ের সঙ্গে বিমানের অভ্যন্তরের কেবিন ফিচার, লং রেঞ্জ ক্যাপাসিটি ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত সুবিধার জন্য বোয়িং ৭৮৭ আমাদের অতিথিদের কাছে
জনপ্রিয় হয়েছে।’

সাউদিয়ার বোয়িং ৭৮৭-১০ বিমানে
টু ক্লাস কনফিগারেশনে মোট ৩৫৭টি আসন আছে। এর মধ্যে ২৪টি বিজনেস ক্লাস ও ৩৩৩টি ইকোনমি লে আউট করা
আছে।

বিমান প্রস্তুতকারক
আমেরিকান প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির কমার্শিয়াল সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ইহসান মুনির  বলেন, ‘বোয়িংয়ের ও সাউদিয়ার মধ্যকার অংশদারিত্বের সম্পর্ক প্রায় ৭৫
বছরের। ৭৮৭-১০ ড্রিমলাইনার সরবরাহের মাধ্যমে আমাদের অংশীদারিত্বে আরেকটি বড়
মাইলফলক স্থাপিত
হলো। সাউদিয়াকে উন্নতমানের বিমান দিতে পেরে আমরা গর্বিত। এছাড়া ৭৮৭
ড্রিমলাইনার ও ৭৭৭ পরিবারের ভরসা ধরে রাখতে পারাটাও আমাদের জন্য সম্মানের।’

ইহসান মুনিরের আশা, ‘সাউদিয়ার বহরে ৭৮৭-১০ ড্রিমলাইনার যোগ হওয়ায় ড্রিমলাইনারের
কাছে থেকে
যাত্রীদের প্রত্যাশিত উন্নতমানের ইনফ্লাইট অভিজ্ঞতা অব্যাহত থাকবে। তাছাড়া ৭৮৭-১০
ড্রিমলাইনারের বিশেষ জ্বালানী সক্ষমতা সাউদিয়ার জন্য নতুন রুট উন্মোচন করা এবং
উল্লেখযোগ্যভাবে জ্বালানী স্রাশয় ও এর কার্বন নির্গমণ কমাতে কাজে আসবে।’

৭৮৭-১০ ড্রিমলাইনার আগের
বিমানগুলোর চাইতে ২৫ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয় করে ও কম জ্বালানি নির্গমন করে। ৬৩৪৫ নটিক্যাল মাইলের (১১,৭৫০ কি.মি.) মধ্যে এটি
বিশ্বের টুইন অ্যাইশেল রুটের ৯৫ ভাগেরও বেশি উড্ডয়ন করতে পারে।

সাউদিয়ার ১৫০টির বেশি
ন্যারো ও ওয়াইডবডি এয়ারবাস এবং বোয়িং বিমান বহর বিশ্বব্যাপী ৯৫টির বেশি শহরে যাতায়াত করে। সৌদিয়া
পৃথিবীর প্রথম ও একমাত্র
এয়ারলাইন্স যারা বিনামূল্যে সোশ্যাল মেসেজিং প্ল্যানের সুবিধা
প্রদান করে।

Leave a Reply