এই শীতে ঘুরে আসুন বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ হাওর

Share on Facebook

পূর্বে পাথারিয়া ও মাধব পাহাড় এবং পশ্চিমে ভাটেরা পাহাড় পরিবেষ্টিত হাকালুকি হাওর মৌলভীবাজার ও সিলেট জেলার পাঁচটি উপজেলায় বিস্তৃত। ছোট-বড় ২৪০ টি বিল ও ছোট-বড় ১০ টি নদী নিয়ে গঠিত হাকালুকি হাওর বর্ষাকালে প্রায় ১৮ হাজার হেক্টর এলাকায় পরিণত হয়।
এই হাওরে বাংলাদেশের মোট জলজ উদ্ভিদের অর্ধেকের বেশি এবং সঙ্কটাপন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতি পাওয়া যায়।

হাওরের আয়তন ২০ হাজার ৪০০ হেক্টর। ২৩৮টি বিল নিয়ে গঠিত হাকালুকি হাওরের বিলগুলোতে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। শীতকালে এ হাওড়কে ঘিরে পরিযায়ী পাখিদের বিচরণে মুখর হয়ে উঠে গোটা এলাকা। শীতকালে বিস্তৃত এই হাওর ধু-ধু সবুজপ্রান্তর, কোথাও বা ধান ক্ষেত এবং খানাখন্দ নিচু ভূমিতে প্রায় ২৩৮ টি বিলের সমষ্টি।

মাছের জন্য প্রসিদ্ধ হাকালুকি হাওর বাংলাদেশের সংরক্ষিত জলাভূমি। এছাড়া স্থানীয় প্রায় ১০০ প্রজাতির পাখি সারাবছর এখানে দেখা মেলে। শীত মৌসুমে এশিয়ার উত্তরাংশের সাইবেরিয়া থেকে ৪৮ প্রজাতির প্রায় ১ লাখ পাখি আসে। এসব অতিথি পাখির মধ্যে ভূতি হাঁস, গিরিয়া হাঁস, ল্যাঞ্জা হাঁস, বালি হাঁস, গুটি ঈগল, কুড়া ঈগল, রাজ সরালি, পান ভুলানি, কাস্তেচড়া, পানকৌড়ি.বেগুনী কালিম, মেটেমাথা টিটি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

বিলগুলিতে প্রায়
সারাবছরই পানি থাকে। হাওরের জলরাশির মূল প্রবাহ হলো জুরী ও পানাই নদী। এই বিলগুলি
মৎস্য সম্পদের আধার। বছরে প্রায় ২৫০০টন মাছ উৎপাদন হয়।

হাওর এলাকায় বিল
ইজারাদারদের দোচালা কুটিরগুলোয় দু‘চারজন পর্যটক থাকার জন্য চমৎকার। তবে অবশ্যই
বিল মালিকের অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। সবচেয়ে ভালো হয় বিল এলাকায় তাঁবু ফেলে রাত্রি
যাপন। জোছনা রাতে তাঁবুতে যাপন, পাখি পর্যবেক্ষণ যে কোনও
অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটককে বিমোহিত করবে।

আর বর্ষাকালে এই
হাওরই ধারণ করে এক অনবদ্য রূপ। চারদিকে শুধু পানি আর পানির খেলা, বিস্তৃত জলরাশি এ হাওরের
রূপ ঠিক যেন ভাসমান সাগর। আদিগন্তু বিস্তৃত জলরাশি। জলের মাঝে মাঝে দুই-একটি
বর্ষীয়ান হিজল, তমাল বৃক্ষ। সে এক অপরূপ দৃশ্য।

যেভাবে যাবেন-
ঢাকা থেকে বড়লেখা বাস ভাড়া (৩০০-৫০০) টাকা, বড়লেখা থেকে লোকাল সি,এন,জি করে কানোনগো বাজার জনপ্রতি ভাড়া ২০ টাকা, কানোনগো বাজার থেকে লোকাল সি,এন,জি করে কুটাউরা বাজার জনপ্রতি ভাড়া ১৫ টাকা, কুটাউরা বাজার থেকে পাখি দর্শন টাওয়ার সি.এন.জি রিজার্ভ ৫০-৮০ টাকা,অথবা পায়ে হেটে যেতে পারেন রাস্তার শেষ সীমান্তে পাখি দর্শন টাওয়ার।

Leave a Reply