অন্তত একবার হলেও যেসব জায়গায় ঘুরতে যাওয়া দরকার

Share on Facebook

পর্যটকরা সাধারণত প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলোতেই ঘুরতে বেশি পছন্দ করেন। বিশ্বের এমন কয়েকটি জায়গা রয়েছে যা প্রত্যেক পর্যটককে সব সময় আকর্ষণ করে থাকে। যেখানে সবাইকে জীবনে একবার হলেও যাওয়া উচিত।

 

টেরাকোটা আর্মি, চীন

১৯৭৪ সালের কথা৷ চীনের জি’আন অঞ্চলে কয়েকজন কৃষক ক্ষেতে কাজ করতে করতে মাটির তৈরি একটি মূর্তি খুঁজে পান৷ তারা তখনো জানতেন না যে, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকাটি খুঁজে পেয়েছেন৷ প্রায় ১০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে চীনের প্রথম সম্রাট কিন সিহুয়াংদির সমাধিস্তম্ভ ছিল এটি৷ এখানে টেরাকোটার এক বিশাল মানবমূর্তির বহর সম্রাটের সমাধিস্থল পাহারা দিচ্ছে৷

 

আঙ্কর ওয়াট. কম্বোডিয়া

রাজধানী নমপেন থেকে ২৪০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে মধ্যযুগীয় মন্দির আঙ্কর ওয়াট৷ জঙ্গলের মাঝখানে বালির পাথর দিয়ে তৈরি এই মন্দিরের একটি অংশ পাওয়া গেছে৷ এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় স্থাপনা৷ নবম শতাব্দী থেকে শুরু করে ১৫শ’ শতক পর্যন্ত বিস্তৃত খেমার সাম্রাজ্যের প্রতীক হয়ে আছে এটি৷

 

Image result for মাচু পিচু, পেরু

মাচু পিচু, পেরু

আন্দিজ পর্বতমালায় প্রায় পৌঁনে আট হাজার ফুট উচ্চতায় প্রাচীন ইনকা জনগোষ্ঠীর শহর মাচু পিচু৷ ১৫শ’ শতকে এই শহর নির্মাণ করেছিলেন তারা৷

 

মায়া পিরামিড, মেক্সিকো

৩ হাজার বছর আগে মধ্য অ্যামেরিকার সর্বত্র বসতি গড়েছিলেন মায়ানরা৷ বিশেষ করে মেক্সিকোর ইউকাটান উপত্যকায়৷ এখানেই আছে তাদের ১২৫ ফুট উঁচু পিরামিড অফ দ্য ম্যাজিশিয়ান৷

 

পম্পেই, ইটালি

পম্পেই প্রাচীন রোমান শহর৷ ইটালির বর্তমান নাপোলির কাছেই ছিল এই শহর৷ ৭৯ খ্রিস্টাব্দে ভিসুভিয়াসের অগ্নুৎপাতে ধ্বংস হয় শহরটি৷ অনেক অধিবাসী পালিয়ে বাঁচতে পারেননি৷ তাদের অগ্নিসমাধি হয় এখানেই৷ সেই স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছে পম্পেই৷

 

ট্রয়, তুরস্ক

ট্রয় নগরীর কথা কে না শুনেছেন৷ হেলেন আর প্যারিসের প্রেমের গল্প কে না জানেন! জার্মান প্রত্নতত্ত্ববিদ হাইনরিশ শ্লিমান কিছুতেই মাথা থেকে ট্রয়ের ভুত নামাতে পারছিলেন না৷ ঊনিশ শতকের শেষ দিকে তিনি তুরস্কের চানাকেলে প্রদেশে খনন শুরু করেন৷ তার গাইড ছিল গ্রিক দার্শনিক হোমারের ইলিয়াড৷ পরে একটি বসতি উদ্ধার করেন তিনি৷ তবে সেটি ট্রয় কিনা সে বিষয়ে আজও নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷

 

ডেলফি, গ্রিস

ডেলফির কথা শুনলেই সেইসব দৈববাণীর কথা মনে পড়ে, যাদের কথা সফোক্লিসরা লিখেছিলেন৷ গ্রিক রাজারা খুব জটিল কোনো বিষয়ের মুখোমুখি হলে অ্যাপোলোর মন্দিরের দ্বারস্থ হতেন৷ খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীতে স্থাপিত এই শহরটিই ছিল দৈববাণীতে নির্ভরশীল প্রাচীন এসব মানুষের কেন্দ্রস্থল৷

 

রোম সাম্রাজ্য

গবেষকদের ধারণা, রোমান সাম্রাজ্য জুড়ে প্রায় ২ হাজার প্রাচীন নগরীর পত্তন হয়েছিল৷ সেই নগরীর কাঠামো বলতে ছিল একটা শহরের কেন্দ্র, যেখানে ছিল গীর্জা, প্রশাসনিক ভবন, দোকান পাট এবং নাগরিক চত্বর৷ এই কাঠামোকে ‘ফোরাম’ বলা হতো৷

Image result for গিজার পিরামিড, মিশর

গিজার পিরামিড, মিশর

কায়রোর নিকটেই সাড়ে চার হাজার বছরেরও বেশি পুরোনো এই স্থাপত্যগুলো৷ ফারাওদের স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে নির্মিত হয়েছিল এই অতি আশ্চর্য সৃষ্টিগুলো৷ সবশেষ প্রযুক্তি দিয়ে গবেষণা করেও আজ পর্যন্ত এই পিরামিডের রহস্য পুরোপুরি উন্মোচন করা যায়নি৷

 

পেত্রা, জর্ডান

খ্রিস্টপূর্ব পাঁচশ’ থেকে তিনশ’ অব্দ পর্যন্ত জর্ডানের পেত্রা ছিল অন্যতম বাণিজ্য কেন্দ্র৷ এই মরুভূমির শহর আজও মন কাড়ে পর্যটকদের৷

 

লেস্কো, ফ্রান্স

বলা হয়ে থাকে, লেস্কোর গুহার ছবিগুলো খ্রিস্টের জন্মেরও ১৭ হাজার বছর আগেকার৷ হরিণ, আউরোখ ও ঘোড়ার এসব ছবি প্রাচীন মানুষদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়৷

 

স্টোনহেঙ্গে, ইংল্যান্ড

সালিসবুরির কাছে নিওলিথিক যুগের এই পাথর বৃত্তের রহস্য আজও জানা যায়নি৷ কেউ বলেন কাল্ট, কেউ বলেন মন্দির, পর্যবেক্ষণাগার৷

 

Leave a Reply