সারোগেসি পদ্ধতি কী?

Share on Facebook

একজন নারীর গর্ভে অন্য দম্পতির সন্তান ধারণের পদ্ধতিকে সারোগেসি বলে। সারোগেসির এই পদ্ধতি বেশ দীর্ঘকালীন। আইভিএফ পদ্ধতিতে স্ত্রী ও পুরুষের ডিম্বাণু ও শুক্রাণু দেহের বাইরে নিষিক্ত করে তা নারীর গর্ভাশয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়।

অনেক চেষ্টার পরেও যখন সন্তান লাভের আর কোন আশা থাকে না তখনই কোনো দম্পতি সারোগেসির শরণাপন্ন হতে পারেন। সারোগেসির পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। তার মধ্যে কয়েকটি হল-

১) বারবার চেষ্টা করা সত্ত্বেও গর্ভপাত হয়ে যাওয়া।

২) অসময়ে নারীর মেনোপজ বা ঋতুকাল বন্ধ হয়ে যাওয়া।

৩) আইভিএফ চিকিৎসার মাধ্যমেও গর্ভধারণ না হওয়া।

৪)জরায়ুতে অস্বাভাবিকতা দেখা যাওয়া কিংবা কোন অস্ত্রোপচারের জন্য জরায়ু যদি বাদ পড়ে থাকে।

উপরোক্ত এই কারণ গুলির মধ্যে যেকোনো একটি কারণ দেখা দিলেই দম্পত্তির সারোগেসির শরণাপন্ন হতে পারেন।

সারোগেসির প্রকারভেদঃ

সারোগেসি সাধারণত দুই রকমের হয়। একটি হচ্ছে পার্শিয়াল সারোগেসি এবং আরেকটি হচ্ছে ট্রু সারোগেসি বা আইভিএফ সারোগেসি।

১) পার্শিয়াল সারোগেসি অনেকদিন ধরেই চলে যাচ্ছে সন্তানধারণে এখানে কোন ভূমিকাই পালন করেন না মা।বাবার শুক্রাণু আর সারোগেট মায়ের ডিম্বানু থেকে জন্ম হয় শিশুর।

২) ট্রু সারোগেসি তে মায়ের ডিম্বাণু এবং বাবার শুক্রাণু নিয়ে ল্যাবে ভ্রূণ তৈরি করা হয়। এরপর সেই ভ্রূণ সারোগেট মায়ের জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করা হয়। বর্তমানে সারোগেসির এই পদ্ধতিটি বেশিরভাগ দম্পতি গ্রহণ করেন।

পার্শিয়াল সারোগেসির ক্ষেত্রে সাধারণত মহিলার ডিম্বাণু এবং গর্ভ ভাড়া নেওয়া হয়। এর ফলে এই পদ্ধতিতে সারোগেসির ক্ষেত্রে সন্তানের ওপর সারোগেট মাদারের একটি জৈবিক অধিকার থেকেই যায়। তবে ট্রু সারোগেসি পদ্ধতি অবলম্বন করলে দম্পতির পিতৃত্ব বা মাতৃত্ব নিয়ে কোনো সংশয় থাকে না। কারণ এই পদ্ধতিতে মায়ের শুক্রাণুর সাথে স্পার্ম ব্যাংকের অন্য পুরুষের শুক্রাণু কিম্বা বাবার শুক্রাণু অন্য মহিলার ডিম্বানুর সাথে নিষিক্ত করে ভ্রূণ তৈরি করা হয়।

তবে আইভিএফ পদ্ধতিতে ডিম্বাণু ও শুক্রাণু নিষিক্ত করা কে টেস্টটিউববেবী মনে করা যায় না। টেস্টটিউব বেবির ক্ষেত্রে ভ্রুণ অবস্থায় মাতৃগর্ভেই বেড়ে ওঠে শিশু। এই ক্ষেত্রে সেটি হয়না।

 

Leave a Reply