নতুন সব অ্যাকটিভিটি দিয়ে এখন আরও পরিপূর্ণ কক্সবাজার

Share on Facebook

সবার কাছেই ছুটি কাটানোর জন্য কোথায় যাওয়া যায়, এই প্রশ্নের উত্তরে সবার প্রথমে মাথায় চলে আসে কক্সবাজারের নাম। আসবেই–বা না কেন? সমুদ্রের গর্জনের সঙ্গে সঙ্গে এত চমৎকার পরিবেশে পরিবার নিয়ে শান্তি এবং নিরাপদভাবে ছুটিটা উপভোগ করার জন্য যা যা প্রয়োজন, তার সবকিছুই তো কক্সবাজারে আছে। আর তা ছাড়া বাংলাদেশি হিসেবে এই কক্সবাজারের প্রতি অন্য রকম একটি ভালো লাগা তো কাজ করেই, বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতটা যে এই বাংলাদেশেই!

তবে কক্সবাজারে পৌঁছানোর পর কী কী করা যায়, সেটা নিয়ে কিন্তু একটা গৎবাঁধা ধারণা মনের মধ্যে থেকেই যায়। হোটেলে চেক ইন করবেন, এরপর একটু বিশ্রাম নিয়ে চলে যাবেন সমুদ্রে পা ভেজাতে, এরপর চলে যাবেন সমুদ্রের পাশেই কোনো এক রেস্টুরেন্টে সামুদ্রিক মাছ দিয়ে খাওয়াদাওয়া করতে, এরপর রাতে সমুদ্রের গর্জন এবং চারপাশের নীরব পরিবেশটার সৌন্দর্য উপভোগ করবেন, ব্যস এর বাইরে কি আর কিছু মাথায় আসে?

বিশ্বের যেকোনো জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকতের মতো কক্সবাজারেও কিন্তু এখন অনেক বিচ অ্যাকটিভিটি সহজলভ্য। চলুন জেনে নিই কী কী করা যায় কক্সবাজারে:

লং ড্রাইভ ট্যুর

বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভটা যে এখন কক্সবাজারেই, সে ব্যাপারে কমবেশি সবাই এখন জানে। সেই মেরিন ড্রাইভ ধরেই যদি একটা লং ড্রাইভে পরিবার–পরিজন নিয়ে বের হয়ে যাওয়া যায়, তাহলে কিন্তু মন্দ হয় না! এক পাশে পাহাড়ের সৌন্দর্য এবং আরেক পাশে সাগরের বিশালতা, মন ভালো করে দেওয়ার জন্য এই লং ড্রাইভ কিন্তু অবশ্যই আপনার চেক লিস্টে রাখতে হবে।

সেই লং ড্রাইভেই হয়ে যেতে পারে একটি রামু ট্যুর! কক্সবাজারের এই অংশের সৌন্দর্য কিন্তু এখনো অনেকের কাছেই অজানা, সেই অজানা সৌন্দর্যটা উপভোগ করতেই চলে যাওয়া যেতে পারে রামুতে। অথবা যদি একবার বের হয়ে সবগুলো জায়গা একসঙ্গে ঘুরে দেখার পরিকল্পনা হয়ে থাকে, তবে সারা দিনের জন্য একটি গাড়ি ভাড়া করে মেরিন ড্রাইভের মধ্যে দিয়েই চলে যেতে পারবেন হিমছড়ি, ইনানি বিচ এবং টেকনাফ বিচের মতো জায়গাগুলোতে। যেখানে মানুষের আনাগোনা তুলনামূলক একটু কম থাকে এবং নিজেকে একটু কোলাহলমুক্ত পরিবেশে আবিষ্কার করা সম্ভব।

ইনানি বিচের সৌন্দর্য কিন্তু একদমই অন্য রকম। সামনে সাগর এবং পেছনে পাহাড়ের এই সৌন্দর্য একসঙ্গে উপভোগ করার মতো সুযোগ আর কোথাও পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। আরও বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে।

মেরিন ড্রাইভের রাস্তা ধরে আপনি একাই যদি একটি লং ড্রাইভে যেতে চান, আর সেটা যদি হয় একটি বাইকে, তবে ভেবে দেখুন তো কেমন হয়? স্বাধীনভাবে একাই বাইক নিয়ে এমন ফাঁকা রাস্তা ধরে এগিয়ে যাওয়াটা হতে পারে বেশ চমৎকার একটি ব্যাপার। আর সেই চমৎকার অভিজ্ঞতার অংশ হতে হলে এই বাইক রেন্টাল সার্ভিসটি আপনাকে এককথায় নিতেই হবে। এক পাশে পাহাড় এবং এক পাশে সাগর, মাঝখানের মেরিন ড্রাইভ দিয়ে বাতাসের পাশ কাটিয়ে ছুটে চলছেন আপনি বাইক নিয়ে! আপনার মনমতো বাইক বা স্কুটি বেছে নিয়ে নিজের মনের মতো ঘুরে বেড়াতে পারবেন কক্সবাজারের এখানে–সেখানে। আরও বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে।

টুরিস্ট ক্যারাভানে মেরিন ড্রাইভ ভ্রমণ

আপনি যদি গাড়ির বদলে একটি দোতলা টুরিস্ট ক্যারাভানে একজন টুরিস্টের মতো পুরো কক্সবাজারের মূল স্থানগুলো ঘুরে আসতে চান, সেটার জন্যও কিন্তু চমৎকার ব্যবস্থা এখন কক্সবাজারেই রয়েছে। একটি দোতলা বাসে করে মেরিন ড্রাইভ ধরে ঘুরতে ঘুরতে মজার মজার সব খাবার খাওয়া এবং সেই সঙ্গে খোলা ছাদে বই নিয়ে সমুদ্রের ঠিক পাশ দিয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশে এর আগে হয়নি। দোতলা এই টুরিস্ট ক্যারাভানে ২০ জন ধারণক্ষমতাসহ আছে ছোট লাইব্রেরি, ওয়াশরুম এবং তিন বেলা খাবারসহ চা-কফির ব্যবস্থা। বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে।

ডিপ সি এক্সপ্লোরেশন

এবার না হয় একটু অ্যাডভেঞ্চার ট্যুর নিয়ে কথা হয়ে যাক, যেটার জন্য আপনাকে হতে হবে অত্যন্ত সাহসী। বন্ধুদের নিয়ে কক্সবাজারে গিয়েছেন অ্যাডভেঞ্চারের খোঁজে, কিন্তু ভাবছেন কক্সবাজারে অ্যাডভেঞ্চারের কী আছে? চিন্তা করে দেখুন তো, বিশাল সাগরের উত্তাল ঢেউয়ে একটা মাঝারি সাইজের সাম্পানে করে আপনি এগিয়ে যাচ্ছেন একদল দক্ষ জেলের সঙ্গে। এরপর সেই সাম্পান থেকেই মাছ ধরার অসাধারণ এক সুযোগ এবং সেই সঙ্গে লাইফ জ্যাকেট গায়ে দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া সেই উত্তাল সাগরে যেখানে চারদিকে শুধু পানি আর পানি, তারই বিশালতার মধ্যে ছোট্ট একটি অংশ হয়ে আপনি ভেসে বেড়াচ্ছেন! যত দূর চোখ যায়, হয়তো চোখে আপনার সঙ্গে আসা জেলের দল এবং নিজেকে ছাড়া কাউকেই চোখে পড়বে না। আরও বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে।

রেজু খালে কায়াকিং

এবার ভিন্ন ধরনের অ্যাকটিভিটি নিয়ে কথা বলা যাক। কক্সবাজারে কায়াকিং? সাগরের মধ্যে নাকি? কক্সবাজারের পাশেই রেজু খালে যে এখন কায়াকিংয়ের সুযোগ আছে, তা বোধ হয় এখনো অনেকেই জানেন না। সাগরপাড়ে ঘুরতে ঘুরতে যদি একটু ভিন্ন ধরনের কিছু করার ইচ্ছা মনে চলেই আসে, পাশেই রেজু খালে করে আসতে পারেন কায়াকিং। চারপাশের শান্ত সেই পরিবেশে একা অথবা বন্ধুদের নিয়ে কায়াকিংয়ের অভিজ্ঞতাটা কিন্তু মন্দ হয় না! বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে।

গো যায়ান, দেশের লিডিং অনলাইন ট্রাভেল বুকিং প্ল্যাটফর্ম আপনার প্রতিটা অ্যাডভেঞ্চার এবং পরিকল্পনা মাথায় রেখেই তৈরি করেছে কক্সবাজারে একাধিক ট্যুরের ব্যবস্থা, যা আপনি সহজেই বুক করতে পারবেন এখানে। অথবা সরাসরি কল করে বুক করতে পারেন এই নম্বরে ০৯৬৭৮৩৩২২১১

Leave a Reply