অবিলম্বে হোটেল-রেস্তোঁরা শ্রমিকদের মজুরি পুণঃনির্ধারণে নতুন মজুরি বোর্ড গঠনের দাবি

Share on Facebook

২০অক্টোবর‘২১, ১৮ তম শেফ ডে স্মরণে “বাংলাদেশ ট্যুরিজম এন্ড হোটেলস ওয়ার্কার্স এমপ্লয়িজ ফেডারেশন” গতকাল ২১ অক্টোবর’২১, দুপুর-১২টায় হোটেল- রেস্তোঁরা শ্রমিকদের মজুরি পুণঃনির্ধারণে নতুন মজুরি বোর্ড গঠন এবং পর্যটন কে মজুরি বোর্ডের শিল্প তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করে পর্যটন কর্মীদের মজুরি কাঠামো প্রণয়নের দাবিতে ‘নিম্নতম মজুরি বোর্ড’ এর চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে।
স্মারকলিপি প্রদানের পূর্বে নিম্নতম মজুরি বোর্ড কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মর্যাদাপূর্ণ ন্যায্য মজুরি, সামাজিক মর্যাদাসহ শ্রম অধিকার নিশ্চিত করতে সংগাম গড়ে তোলায় হোক শেফ দিবসের প্রত্যয়- এই আহবান নিয়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন সংগঠনের আহবায়ক রাশেদুর রহমান রাশেদ এবং সদস্য সচিব আহসান হাবিব বুলবুল। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম আহবায়ক খালেকুজ্জামান লিপন, সাহিদুল ইসলাম শাহিদ, মহিউদ্দিন রিমেল, নির্বাহী শেফ জালাল আহমেদ, কক্সবাজার জেলা কমিটির কার্যকরী সভাপতি আব্দুস সামাদ শেফ, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ শফি, প্রচার সম্পাদক আব্দুল মান্নান, ঢাকা নগর সদস্য সচিব আল আমিন শিমুল, নির্বাহী সদস্য সুদর্শী চাকমা, মো: কায়েস, সংহতি জালিয়ে বক্তব্য রাখেন শাহাদাৎ শেফ প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রমজীবী মানুষের রক্ত ঘামে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকলেও রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব যাদের হাতে, শ্রমজীবী মানুষের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে যাদের বেতন হয় সেই কর্তা বাক্তিরা শ্রমজীবী মানুষের সুরক্ষায় কার্যত কোন ভূমিকা পালন করেনা। সর্বশেষ মজুরি ঘোষণার পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হতে আর মাত্র ৪ মাস বাকি থাকা সত্ত্বেও, দ্রব্যমূল্যের গগণচুম্বি উর্দ্ধগতির বিপরীতে নামমাত্র মজুরিতে লক্ষ লক্ষ হোটেল-রেস্তোঁরা শ্রমিকদের জীবন ওষ্ঠাগত হয়ে উঠলেও এই শ্রমিকদের মজুরি পুণঃনির্ধরণের জন্য কোন উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছেনা। নিত্যপণ্যের বাজারমূল্য, মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ বিবেচনায় নিয়ে জাতীয় শ্রমিক আন্দোলনের সংস্থা শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ- স্কপ ইতিমধ্যে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি উত্থাপন করেছেন। হোটেল-রেস্তোঁরা শ্রমিকদের জন্য নতুন মজুরি বোর্ড গঠন করে স্কপের মজুরি দাবির ভিত্তিতে অনতিবিলম্বে নতুন মজুরি ঘোষণা করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, প্রকৃতি ও পরিবেশগত পরিবর্তন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। সরকারের শ্রম সংক্রান্ত দপ্তর সমূহের দায়িত্ব নতুন ধরনের কাজে নিয়োজিত কর্মীসহ প্রতিটি শ্রমিক-কর্মচারীর সুরক্ষা নিশ্চিত করা। কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান এবং বিকাশমান খাত পর্যটন কে শ্রম আইন এবং মজুরি বোর্ডের শিল্প তালিকায় অন্তর্ভূক্ত না করায় এই খাতের লক্ষ লক্ষ শ্রমিক ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, পরোক্ষভাবে শিকার হচ্ছে বাধ্যতামুলক শ্রমে নিয়োজিত থাকতে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের শিল্প তালিকায় পর্যটন কে অন্তর্ভূক্ত করে পর্যটন কর্মীদের জন্য মজুরি কাঠামো ঘোষণা করতে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সুস্থ-পূর্ণ কর্মক্ষম মানব সম্পদ দেশের শিল্পের বিকাশ বা উৎপাদন প্রবৃদ্ধির পূর্ব শর্ত। আর ন্যায্য মজুরি ছাড়া, পুষ্টিকর খাদ্যের নিশ্চয়তা ছাড়া কিভাবে সুস্থ শ্রম শক্তির নিয়মিত সরবরাহ অব্যাহত থাকবে। তাই দেশের শিল্প সম্পর্ক স্থিতিশীল রাখা এবং উৎপাদন প্রবৃদ্ধি বা উৎপাদনশীলতার বিকাশে মজুরি বোর্ডের ভুমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আজকের স্মারকলিপি প্রদানের এই কর্মসুচী মজুরি বোর্ড কে তাদের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। অবিলম্বে হোটেল- রেস্তোঁরা শ্রমিকদের জন্য নতুন মজুরি বোর্ড গঠন করে নিম্নতম মজুরি ২০ হাজার টাকার ভিত্তিতে নতুন মজুরি ঘোষণা এবং পর্যটন কে শিল্প তালিকায় অন্তর্ভূক্ত ও পর্যটন কর্মীদের জন্য মর্যাদাপূর্ণ মজুরি কাঠামো নির্ধারণের দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে দাবি আদায়ে ঘেড়াওসহ বৃহত্তর কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।

নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর দাখিলকৃত স্মারকলিপি

তারিখ: ২১ অক্টোবর ২০২১

বরাবর,
মাননীয় চেয়ারম্যান
নিম্নতম মজুরি বোর্ড
২২/১, তোপখানা রোড, সেগুনবাগিচা
ঢাকা- ১০০০

বিষয়ঃ হোটেল- রেস্তোঁরা শ্রমিকদের মজুরি পুণঃনির্ধারণে মজুরি বোর্ড গঠন এবং পর্যটন কে শিল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্তকরণ ও পর্যটন কর্মীদের মজুরি কাঠামো প্রণয়নের দাবিতে স্মারকলিপি।

প্রিয় মহোদয়,
আপনি নিশ্চয় জানেন যে করোনা মহামারীতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শ্রমজীবী মানুষ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে খাতের শ্রমিকরা হোটেল-রেস্তোঁরা আর পর্যটন তার মধ্যে অন্যতম। সড়ক পরিবহনের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছে পর্যটন-হোটেল-রেস্তোঁরা শিল্পে। প্রায় ৪৫ লক্ষ শ্রমিকের এই কর্মক্ষেত্রের হোটেল- রেস্তোঁরা শ্রমিকদের জন্য সর্বশেষ মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে ২০১৬ সালের আগষ্ট মাসে যা ২০১৭ সালের মার্চ মাসে চুড়ান্ত গেজেট হিসাবে প্রকাশিত হয়। বিভাগীয় শহর, জেলা শহর এবং উপজেলা শহর বিবেচনায় রেস্তোঁরা শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি যথাক্রমে ৩০০০, ২৪০০ এবং ২১৫০ টাকা মুল মজুরি যা বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও যাতায়াত ভাতাসহ সাকুল্যে যথাক্রমে ৫৪০০, ৪২৮০ ও ৩৭১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আমরা বিনয়ের সাথে প্রশ্ন রাখতে চাই যে, শ্রম আইনের ১৪১ নং ধারায় উল্লেখিত শ্রমিকের মজুরি নির্ধারণে বিবেচ্য মানদন্ডসমুহ কি শুধুই কথার কথা? ব্যক্তি শ্রমিকের উপর নির্ভরশীলদের প্রতি বা পরিবারের সদস্যদের প্রতি কি তার কোন দায় নেই? যদি থাকে, ঘোষিত মজুরি কাঠামোতে কি তার কোন প্রতিফলন আছে?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হিসাব অনুসারে দৈনিক ১০ ঘণ্টা কাজ করে এমন একজন শ্রমিকের গড়ে ৩০০০ কিলোক্যালরি তাপ লাগে আর ৩০০০ কিলোক্যালরি তাপ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্যের বর্তমান বাজার মূল্য ১২৫ টাকার বেশী।
বাজারে প্রাপ্ত সস্তা খাবার দিয়েও যদি একজন শ্রমিক তার শক্তি ও পুষ্টি রক্ষা করতে চায়, তাহলে প্রতিদিন খরচ হবে :
খাবারের নাম ক্যালরি বাজার মূল্য (টাকা)
১. চাল/৫০০ গ্রাম ১৮০০ক্যলরি ২৫.০০টাকা
২. আটা/৫০ গ্রাম ২০০ক্যলরি ১.৭৫টাকা
৩. ডাল (মসুর নয়, ছোলা)/৬০ গ্রাম ২০০ক্যলরি ৮.৪০টাকা
৪. তেল (সয়াবিন)/৫০ মিলিলিটার ৪৫০ক্যলরি ৮.০০টাকা
৫. ডিম/১টি ৭০ক্যলরি ১০.০০টাকা
৬. মাছ/৬০ গ্রাম ৮০ক্যলরি ১২.০০টাকা
৭. আলু/১০০ গ্রাম ১০০ক্যলরি ২.৫০টাকা
৮. শাক-সবজি/১৫০ গ্রাম ৫০ক্যলরি ৭.৫০টাকা
৯. কাঁচা মরিচ, মশল্লা, হলুদ ১০.০০টাকা
১০. ফল/১টি কলা বা আমড়া ৫০ক্যলরি ১০.০০টাকা
১১. রান্নার খরচ ২০.০০টাকা
১২. চা/দিনে ২ কাপ ১০.০০টাকা
সর্বমোট ৩০০০ কিলোক্যালরি ১২৫.১৫ টাকা
গড়ে ১২৫ টাকা প্রতিদিন খরচ ধরলে ৪ জনের পরিবারের খরচ কত? আর যুক্তিসংগত অথবা মানবিক মর্যাদা রক্ষা করার মত মজুরি হতে হলে শ্রমিকদের তিন বেলা মান সম্পন্ন খাবার, বাসস্থান এর সাথে পোশাক-পরিচ্ছদ, অসুস্থ্য হলে চিকিৎসা, সন্তানের শিক্ষা, অতিথি আপ্যায়ন, বিনোদন, বৃদ্ধ বয়সের সঞ্চয়কে বিবেচনায় নিতে হবে। তা না হলে তা মানবিক জীবন হবে না। তাহলে হোটেল-রেস্তোঁরা শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত বর্তমান মজুরি কি শ্রমিকদের সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান মজুরি বোর্ডকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছেনা? খসড়া সুপারিশের বিবেচনায় হোটেল-রেস্তোঁরা শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত সর্বশেষ মজুরির মেয়াদ ইতিমধ্যে ৫ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে আর চুড়ান্ত গেজেটের সময় বিবেচনায় নির্ধারিত ৫ বছরের মেয়দ অতিক্রান্ত হতে ৪ মাস সময়ও বাকী নেই। তাই অবিলম্বে হোটেল-রেস্তোঁরা শ্রমিকদের মজুরি পুণঃনির্ধারণের জন্য নতুন মজুরি বোর্ড গঠন করা জরুরী।
বাংলাদেশের বিকাশমান অর্থনীতির অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত পর্যটন শিল্প। দেশের জিডিপি’তে প্রায় সাড়ে ৪ শতাংশ অবদান রাখে পর্যটন শিল্প। নৈসর্গীক রুপের ভান্ডার বাংলাদেশে পর্যটন শিল্প শুধু আভ্যন্তরিন ক্ষেত্রেই নয় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেও ভূমিকা রাখছে। পরিকল্পিত পদক্ষেপ পর্যটন শিল্পকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান খাতে পরিণত করতে পারে। কিন্তু পর্যটন শিল্পের প্রাণ পর্যটন কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা ছাড়া পর্যটন শিল্পের বিকাশ সম্ভাবনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অথচ মজুরি বোর্ডের তালিকায় উল্লেখিত ৪২ টি শিল্প খাতের মধ্যে ১১৯ টি উপখাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৪৫ লক্ষ শ্রমিক-কর্মচারীর কর্মক্ষেত্র পর্যটন শিল্প খাতের নামটি অনুপস্থিত। যা পর্যটন শিল্পে কর্মরত লক্ষ লক্ষ শ্রমিককে ন্যায্য মজুরি পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে, তারা নামমাত্র মজুরিতে কাজ করতে এবং অতিরিক্ত সময় শ্রম দিতে বাধ্য হচ্ছে। পর্যটন কর্মীরা দেশের পক্ষে দুতের ভূমিকা পালন করে। তাই পর্যটন কর্মীদের সুরক্ষা আর জীবনমান উন্নয়ন দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে ভূমিকা রাখবে।
জনাব,
ইতিমধ্যে শ্রমিকদের পক্ষে জাতীয় পর্যায়ে অন্দোলনের সংস্থা “শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ-স্কপ” বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষের নিত্য ব্যবহার্য পণ্যের বর্তমান বাজার মূল্য বিবেচনায় নিয়ে মালিকানা নির্বিশেষে সকল শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য নিম্নতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে। আর মজুরি বোর্ড গঠনের পরও মজুরি নির্ধরণ করতে আইন অনুসারে ৬ মাসের বিধান থাকলেও তার বেশি সময় নেওয়া হয়। তাই অবিলম্বে নতুন মজুরি বোর্ড গঠন করে শ্রম আইনের ১৪১ নং ধারায় উল্লেখিত মানদন্ড এবং “শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ-স্কপ” এর দাবির আলোকে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকার ভিত্তিতে হোটেল-রেস্তোঁরা শ্রমিকদের মজুরি পুণঃনির্ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
প্রকৃতি, পরিবেশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পরিবর্তনের ফলে কাজের ধরণ পরিবর্তনের সাথে সাথে শ্রমের নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরী হচ্ছে। নতুন এই সকল কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত রাষ্ট্রিয় সংস্থাসমূহের দায়িত্ব্। তার অংশ হিসাবেই ইতিমধ্যে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের শিল্প তালিকায় “সিকিউরিটি সার্ভিস” কে নতুন ভাবে যুক্ত করা হয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করি বাংলাদেশের কর্মক্ষেত্রের একটি বিকাশমান খাত “পর্যটন” কে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের শিল্প তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করে পর্যটন কর্মীদের জন্য একটি মর্যাদাপূর্ণ মজুরি কাঠামো নির্ধারণের ব্যবস্থা করবেন। পর্যটন শিল্পের ১১৯ টি খাতের কর্মীদের মজুরি কাঠামো নির্ধারণে মজুরি বোর্ডের প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যেকোন তথ্য সরবরাহ করতে আমাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকবে।
মহোদয়,
ন্যায্য মজুরি যেমন শ্রমিক-কর্মচারীদের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ায়, অর্থনীতির গতিশীলতা সৃষ্টি করে, নতুন নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠার ক্ষেত্র তৈরী করে, মালিকের উচ্চ মুনাফা তেমনি বৈষম্য বাড়ায়, বাজার সংকোচন করে, সম্পদ পাচার করে। তাই ন্যায্য মজুরির এ দাবি শ্রমিক স্বার্থের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জীবনমান বৃদ্ধির সাথেও যুক্ত। কিন্তু মজুরি বৃদ্ধির সাথে সাথে রেশন ব্যবস্থা চালু, বাসস্থান এর ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য সুবিধা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেয়াও জরুরী। তা না হলে বর্ধিত মজুরি আবার বর্ধিত দ্রব্যমূল্য -বাড়িভাড়া, চিকিৎসা খরচের কারণে হাওয়া হয়ে যাবে।
অতএব করোনার অজুহাতে আয় কমে যাওয়ার এবং নিত্য পন্যের উর্দ্ধমূল্যে জীবন অতিষ্ট হয়ে পড়া পর্যটন ও হোটল- রেস্তোঁরা কর্মীদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ‘বাংলাদেশ ট্যুরিজম এন্ড হোটেলস ওয়ার্কার্স এমপ্লয়িজ ফেডারেশন’ ‘নিম্নতম মজুরি বোর্ড’ এর কাছে সুপারিশ করছে।

Leave a Reply