পিটিএসডি ভয়ংকর একটি মানসিক রোগ

Share on Facebook

মানসিক চাপজনিত ভয়ঙ্কর একটি রোগের নাম ‘পোস্ট ট্রম্যাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (পিটিএসডি)’। যে রোগে বহু মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ভেঙে পড়ার ঘটনা চোখে দেখার পর। আফ্রিকার দেশে দেশে গৃহযুদ্ধ ও ইরাক, সিরিয়ায় জঙ্গি সন্ত্রাসের ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী হওয়ার পরেও যে রোগে আক্রান্ত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে থেকেও এই ভয়ঙ্কর মানসিক চাপজনিত রোগে আক্রান্ত হন অনেকেই। যত দিন যায়, ততই এই রোগ গ্রাস করে রোগীকে। রোগীর ব্যবহারে পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে। রোগীর ভয়, উদ্বেগ আর অনিদ্রা খুব বেড়ে যায়। যার প্রভাব রোগীর উপর থেকে যায় দীর্ঘ দিন। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে ফেরা বহু সেনা আক্রান্ত হয়েছেন এই রোগে। আফ্রিকার দেশে দেশে গৃহযুদ্ধ ও ইরাক, সিরিয়ায় জঙ্গি সন্ত্রাসের ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী হওয়ার পরেও বহু মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এই রোগে।

পিটিএসডির কয়েকটি বিশেষ লক্ষন

১) কোনো ভয়ঙ্কর ঘটনার কথা মনে করালে চুড়ান্ত অবসাদ্গ্রস্ত হয়ে পড়া
২) কোনো ভয়ঙ্কর ঘটনার কথা মনে করালে বমি পাওয়া, ঘামা বা থর থর করে কাঁপা।
৩) কোনো ভয়ঙ্কর ঘটনার কথা মনে করালে উদাসীন হয়ে পড়া
৪) কোনো ভয়ঙ্কর ঘটনার কথা ও স্মৃতি বার বার ফিরে আসা
৫) কোনো ভয়ঙ্কর ঘটনার দুঃস্বপ্নে চমকে উঠা।
৬) জীবনের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলা
৭) পরিচিত জনকে চিনতে না পারা, অনুভুতিহীন হয়ে পড়া
৮) জীবনের সদর্থক দিক সম্পর্কে ভরসা হারিয়ে ফেলা
৯) ভয়ঙ্কর ঘটনার স্মৃতি ফিরে আসে এমন জায়গা, বস্তু বা মানুষকে এড়িয়ে চলা।
১০) সেই ভয়ঙ্কর ঘটনার বহু গুরুত্বপূর্ণ অংশ মনে করতে না পারা।

পিটিএসডি সাধারণত পুরুষদের তুলনায় নারীদের বেশি প্রভাবিত করে কারণ বেশিরভাগ মহিলা পুরুষের চেয়ে পরিবর্তনের প্রতি সংবেদনশীল, তাই তারা আরও তীব্র আবেগ অনুভব করেন। পিটিএসডি সমস্ত বয়সের রোগীদের এমনকি শিশুদেরও প্রভাবিত করতে পারে। পিটিএসডি নিরাময়ের জন্য ডাক্তারী চিকিৎসার প্রয়োজন। বেশ কয়েকটি পদ্ধতি আছে এটি নিরাময়ের জন্য। রোগী্র মানসিক অবস্থা ডায়াগনসিস করার মাধ্যমে পেশাদারগণ উপযুক্ত পদ্ধতি প্রয়োগ করে থাকেন।

Leave a Reply