সবচেয়ে গভীর সুইমিংপুলের নিচে হোটেল ও গুহা!

Share on Facebook

কোনো রিসোর্টে বা আবাসিক হোটেল ঘুরতে গেলে এখন সবাই সুইমিং পুলের সন্ধান করে। ছোট-বড় সবাই সুইমিংপুলে সাঁতার কাটতে পছন্দ করেন। সাধারণত সুইমিংপুলগুলো অগভীর হওয়ায় পানিতে ডুবে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে না।

জানলে অবাক হবেন সম্প্রতি পোল্যান্ডে তৈরি করা হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে গভীরতম সুইমিংপুল। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, এ সুইমিংপুলের নিচে আছে আস্ত একটি হোটেল, ডুবো টানেল এবং গুহা। পেশাদার স্কুবা ডাইভারদের জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণের স্থান হিসেবে এ পুলটি ব্যবহৃত হবে।

এটিই বিশ্বের প্রথম সুইমিংপুল, যার গভীরতা ১৪৮ ফুট দীর্ঘ। একটি বড় পুলের পানির চেয়েও ২৭ গুণ বেশি পানি ধরে রাখতে সক্ষম এ পুলটি। স্কুবা ডাইভাররা সাধারণতা পানির নিচে ডুব দিয়ে মানুষ উদ্ধার থেকে শুরু করে জাহাজ বা বিভিন্ন প্রাচীন নিদর্শন খুঁজে থাকেন।

এ ছাড়াও তারা পানির নিচের জীব-বৈচিত্রের উপর নজর রাখেন। সর্বোপরী স্কুবা ডাইভারদের অনেক প্রশিক্ষিত ও অভিজ্ঞ হতে হয়। আর এ কারণেই পোল্যান্ডে তৈরি এ সুইমিং পুলটি শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

 

পোলিশ ডাইভিং প্রশিক্ষক প্রজেমিস্লা ক্যাকপ্রজাক বলেন, ‘এ সুইমিং পুলে কোনো মাছ বা প্রবাল প্রাচীর নেই। যদিও এটি সমুদ্রের বিকল্প নয়, তবে প্রাথমিকভাবে স্কুবা ডাইভারদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য অবশ্যই একটি ভালো স্থান এটি। বলা চলে, এটি ডাইভারের জন্য কিন্ডারগার্টেন!’

তিনি আরও জানান, ফায়ার ব্রিগেড এবং সেনাবাহিনীও প্রশিক্ষণের জন্য পুলটি ব্যবহার করতে পারবে। এ সুইমিংপুলের নিচে অনেক কঠিন সব প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা আছে। এ কারণে তারা বিভিন্ন সরঞ্জামের পরীক্ষা করাও শিখতে পারবে। বিশ্বে এটিই প্রথম সুইমিংপুল, যেটি ব্যবহৃত হবে প্রশিক্ষণের জন্য। পাশাপাশি পর্যটকরা চাইলে ভিন্নধর্মী এ সুইমিংপুলের পানিতে সাঁতার কেটে আনন্দ পাবেন।’

 

পোল্যান্ডের সুন্দর এক শহর মিজকসোনোতে চালু হয়েছে এ সুইমিংপুলটি। এটি তৈরিতে প্রায় ১১০০ টন ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছে। বর্তমানে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে সুইমিংপুলটি। এটি তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ১০ দশমিক ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার! এ প্রকল্পটি শেষ করতে দুই বছরেরও বেশি সময় লেগেছে।

এ সুইমিংপুলের নিচে আন্ডার ওয়াটার হোটেল নির্মিত হয়েছে। যেখানে অতিথিরা পানির ৫ মিটার গভীরের ঘরে থেবে চারপাশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। এরই মধ্যে ডুবুরিরা এ সুইমিংপুলে ছোট একটি ভাঙা জাহাজ পানিতে ডুবিয়ে প্রশিক্ষণের কাজ শুরু করেছেন। দর্শকরা ডুবুরির সহযোগিতায় পানির তলদেশে ঘুরতে যেতে পারবেন।

 

 

 

Leave a Reply