বান্দরবান ভ্রমণে তিন সমিতির সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ মূল্যছাড়

Share on Facebook

দেশের পর্যটন ব্যবসায়ীরা কঠিন সময় পার করছেন। চলতি পর্যটন মৌসুমে পর্যটন গন্তব্যগুলিতে স্বাভাবিকের তুলনায় পর্যটকের সংখ্যা অত্যন্ত কম। কোভিড-১৯এর প্রভাব না কাটতেই রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা পর্যটন খাতে সংক্রমিতে হয়েছে। তাই পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য পর্যটন ব্যবসায়ীরা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। অব্যাহত চেষ্টার অংশ হিসেবে এবার পর্যটন গন্তব্য বান্দরবানের পর্যটন ব্যবসায়ীরা ৩০শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড় ঘোষণা করেছেন।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বান্দরবান প্রেসক্লাব মিলনায়তনে হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতি, মাইক্রোবাস-জিপ-পিকআপ মালিক ও রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির নেতাদের যৌথ সভাশেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি অমল কান্তি দাশ এক লিখিত বক্তব্যে এই মূল্যছাড় ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মাইক্রোবাস-জিপ-পিকআপ মালিক সমিতির সভাপতি নাছিরুল আলম, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি গিয়াছ উদ্দিন ও তিন সংগঠনের নেতারা।

অমল কান্তি দাশ বলেন, প্রতিবছর শীতের মৌসুমে বান্দরবান জেলা পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকে। পর্যটন ব্যাবসায়ীরা ব্যস্ত সময় কাটান। কিন্তু কোভিড-১৯-এর পর থেকে পর্যটকের সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমেছে। এ বছর পর্যটকসংখ্যা আরও কমেছে। অথচ ৮০টি হোটেল, মোটেল, অবকাশযাপনকেন্দ্র এবং ৪ শতাধিক মাইক্রোবাস, জিপ ও পিকআপ বা চাঁদের গাড়ি পর্যটকদের সেবাদানের জন্য প্রস্তুত থাকলেও আশানুরূপ পর্যটক আসছেন না। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে যেকোনো দেশি-বিদেশি পর্যটক বান্দরবান ভ্রমণে এলে আবাসনে ৩০ শতাংশ, যানবাহনে ২০ শতাংশ ও রেস্তোরাঁয় ১০ শতাংশ মূল্যছাড় লাভ করবেন।

নাছিরুল আলম বলেন, বান্দরবানে পর্যটন খাতে কর্মসংস্থানের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে আবাসিক হোটেলগুলোতে প্রায় ২ হাজার ৫০০, যানবাহনে ১ হাজার ২০০, রেস্তোরাঁয় ১ হাজার ৫০০ মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। এ ছাড়া কমিউনিটি পর্যটনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কয়েক শ পরিবারের আয় কমেছে। জেলায় পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার পর্যটক ভ্রমণে আসেন। একজন পর্যটক থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ১১ জন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপকৃত হতে পারেন। সেই হিসাবে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ৫৫ হাজার মানুষের আয় কমে গেছে। অনেকে আয়শূন্য হয়ে পড়েছেন।

রুমা ও রোয়াংছড়িতে শিগগিরই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে জেলা প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে জানিয়ে তিন সমিতির নেতারা বলেন, ওই দুই উপজেলা ছাড়া অন্য পাঁচটি উপজেলায় ভ্রমণে বাধা নেই। সব জায়গায় পর্যটকেরা নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারেন।

Leave a Reply