স্লো ট্যুরিজমে স্বপ্ন দেখছে ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়া

Share on Facebook

‘স্লো ট্যুরিজম’ ধারায় অগ্রসর হচ্ছে ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়া। টেকসইতা এবং পরিবেশ সংরক্ষণের স্বার্থে নতুন পর্যটন পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ‘ফারি’রা মানিহিনি ২০২৭’ অনুসারে পর্যটকের সংখ্যা সীমিত করা হবে।

ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয় দ্বীপগুলিকে উচ্চমূল্যের ছোট আকারের পর্যটনের আদর্শ গন্তব্য হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নতুন পর্যটন পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বার্ষিক পর্যটকের সংখ্য তিন লাখে সীমাবদ্ধ রাখা হবে।

ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়ার আয়ের প্রধান খাত পর্যটন। পর্যটন শিল্পের টেকসইতা রক্ষায় ‘স্লো ট্যুরিজম’ বা ‘ধীর পর্যটন’কে গুরুত্ব প্রদানের কথা জানিয়েছেন তাহিতি ট্যুরিজমের নির্বাহী প্রধান জিন-মার্ক মোসেলিন। প্রসঙ্গত স্লো বা ধীর পর্যটন একটি বিকল্প পর্যটন ধারা। এই ধারাটি মূলধারার গতিশীল পর্যটনের বিপরীতে পরিবেশ সংরক্ষণ, স্থানীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতির সাথে একাত্ম হতে উদ্বুদ্ব করে। ধীর পর্যটন ধারায় পর্যটকের প্রধান লক্ষ্য থাকে বিশ্রাম, আত্ম-উন্মোচন, ব্যস্ততা হতে মুক্তি, অভিনবত্ব অন্বেষণ, সম্পৃক্ততা এবং অনুসন্ধান।

তাহিতি ট্যুরিজমের নির্বাহী প্রধান জানান, তাহিতি ভ্রমণে আদর্শ পর্যটক সংখ্যা ৩লাখের বেশি হওয়া উচিত নয়। এতে পর্যটকের অনুপাত হবে বাসিন্দা প্রতি একজন। ২০১৯ সালে প্রায় ৩লাখ পর্যটক তাহিতি ভ্রমণ করেছিল যা তাহিতির মোট জনসংখ্যার সমান। ২০২০ সালে গৃহিত প্রস্তাব অনুসারে নতুন পর্যটন পরিকল্পনায় বার্ষিক পর্যটকের সংখ্যা প্রাক-মহামারী স্তরের ঠিক নীচে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ‘ফারি’রা মানিহিনি ২০২৭’ অনুসারে তাহিতি ট্যুরিজমের ক্রুজ শিপগুলি ৭০০জনেরও কম পর্যটক বহন করবে। এই লক্ষ্যে ছোট ও মাঝারি যাত্রী বহন ক্ষমতাসম্পন্ন ক্রুজ শিপগুলিকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। বড় ক্রুজ শিপগুলিকে “প্রযুক্তিগত কেন্দ্র” হিসেবে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হবে।

২০১৯ সালে রেকর্ড সংখ্যক তিন লাখ পর্যটক ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়া ভ্রমণ করলেও পরবর্তীতে কোভিড-১৯এর কারণে পর্যটন খাত ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কোভিড পরবর্তী সময়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে দেশটি। ২০২১ সালে নব্বই হাজার পর্যটক ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়া ভ্রমণ করে যা আগের বছরের তুলনায় চারগুণ বেশী।

Leave a Reply