চুলের প্রাকৃতিক কন্ডিশনার

Share on Facebook

রুক্ষ চুল মসৃণ করতে কন্ডিশনারের যেন বিকল্প নেই। নিয়মিত কয়েক সপ্তাহ কন্ডিশনার ব্যবহারেই ফল মিলবে। কিন্তু বোতলজাত রাসায়নিক উপাদানে ভরপুর কন্ডিশনার ব্যবহারে ভয়ও আছে। কারণ ওটা কোনো কারণে খাপ না খেলেই বিপদ। কিন্তু প্রকৃতি সবখানেই উদার। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ঘরে বসেই আপনি কন্ডিশনার তৈরি করতে পারেন। এগুলো বাজারে পাওয়া যেকোনো কন্ডিশনারের চেয়ে উত্তম বলে মত দেন বিশেষজ্ঞরা—

ভিনেগার ও ডিম কন্ডিশনার

এটা বানাতে বেশি কিছুর দরকার নেই। লাগবে ডিম, অলিভ অয়েল, মধু, ভিনেগার ও লেবুর রস। বাটিতে দুই-তিনটি ডিম ভেঙে নিতে হবে। এরপর তাতে যোগ করতে হবে দুই টেবিল চামচ ভিনেগার এবং সমপরিমাণ লেবুর রস। এবার এই মিশ্রণে দিতে হবে এক চা চামচ অলিভ অয়েল এবং এক টেবিল চামচ মধু। একে ব্লেন্ডারে দেওয়া যেতে পারে। চামচ দিয়ে নাড়লেও চলবে। এরপর পাতলা পেস্টের মতো তৈরি হবে। এই পেস্ট চুলে লাগিয়ে মাত্র ১০-১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেললেই কাজ হবে।

কলার হেয়ার মাস্ক

একটি কলা, তিন টেবিল চামচ মধু, তিন টেবিল চামচ দুধ, তিন টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং একটি ডিম লাগবে। সব উপাদান মিশিয়ে পেস্ট করতে হবে। এই পেস্ট চুলে লাগিয়ে রাখতে হবে ১৫-৩০ মিনিট। চুলের কন্ডিশনারের জন্য কলা সেরা উপকরণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এটা চুল মেরামত করে। রুক্ষ চুলের জন্য কলাই যথেষ্ট।

নারিকেল তেল ও মধু

এক টেবিল চামচ নারিকেল তেল, এক টেবিল চামচ মধু, এক টেবিল চামচ লেবুর রস, দুই টেবিল চামচ দই এবং এক টেবিল চামচ গোলাপজল লাগবে। সব উপাদান একইভাবে মেশাতে হবে। চুলে শ্যাম্পু করার পর পাতলা এই পেস্ট লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেললেই কাজ শেষ। এতে চুল বাড়েও দ্রুত।

অ্যাপল সিডার ভিনেগার

দুই টেবিল চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগারে মেশাতে হবে এক টেবিল চামচ মধু এবং দুই কাপ পানি। এগুলো একটি বাটিতে নিয়ে বেশ কিছু সময় ধরে মেশাতে হবে। চুলে শ্যাম্পু করার পর এটা মাখতে হয়। এটা আর পানিতে না ধুলেও চলবে। বরং রেখে দিতেই বলেন বিশেষজ্ঞরা।

দইয়ের কন্ডিশনার

একটি বাটিতে একটি ডিম ভেঙে নিয়ে তাতে ছয় টেবিল চামচ দই মেশাতে হবে। এবার ভালোমতো মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণ চুলে ম্যাসাজ করে ১৫-৩০ মিনিট রেখে দিন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণের প্রোটিন এবং ল্যাকটিক এসিড চুলের যত্ন নেবে।

অ্যালোভেরা কন্ডিশনার

রূপচর্চার কার্যকর এক জিনিস। চার টেবিল চামচ অ্যালোভেরার সঙ্গে এক টেবিল চামচ লেবুর রস ভালোমতো মেশাতে হবে। চুলে নেওয়ার আগে শ্যাম্পু করতে হবে। খুব বেশিক্ষণ নয়, মিনিট পাঁচেক রেখেই হালকা উষ্ণ পানিতে ধুয়ে ফেললেই উপকার মিলবে।