আপাতত ইন্টারনেট বন্ধ হচ্ছে না

Share on Facebook

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর আশ্বাসে দিনে ৩ ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ রাখার ঘোষণা থেকে সরে এসেছেন সেবাদাতারা। শনিবার সন্ধ্যায় মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি আবদুল হাকিম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে বৈঠক হবে।

“আগামীকালের ওই মিটিংয়ে কোনো সমাধান না আসলে আমরা আগামী শনিবার থেকে আবার ধর্মঘটে যাব।” বিকল্প ব্যবস্থা না করে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন থেকে ঝুলন্ত তার অপসারণের কাজ বন্ধ না করলে রোববার থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত সারা দেশে ইন্টারনেট ও কেবল টিভি সেবা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এবং কেবল অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। তাদের এই ঘোষণায় উদ্বেগ জানিয়েছিলেন ব্যাংক খাতের কর্মকর্তারা। ইন্টারনেট বন্ধ থাকলে ব্যাংক ও মোবাইলে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন সম্ভব হবে না বলে সতর্ক করেছিলেন তারা।
এদিকে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ সময় পাল্টে সকালের বদলে রাতে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার বিকালে বিষয়টির সুরাহায় উদ্যোগী হন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জাব্বার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক। উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনার পর ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসে আইএসপিএবি সভাপতি আবদুল হাকিম বলেন, “মাননীয় মন্ত্রী (মোস্তাফা জব্বার) আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন যে, তিনি আমাদের সঙ্কট নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচন করবেন। “এখন সে বৈঠকের জন্য দুই, তিন বা চার দিন যতই সময় লাগুক আমরা অপেক্ষা করব। আশা করছি, এ সপ্তাহের মধ্যেই আমরা ফলপ্রসূ সমাধান পাব।” তার কথার পর মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “আমি বলেছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা যত দ্রুত পারি সিদ্ধান্ত নেব। এখন তিনি কবে আমাদের সঙ্গে মিটিংয়ে বসেন, সেটা কিন্তু আমি এখনই বলতে পারব না।”

সভায় সারা দেশে ইন্টারনেট সেবা বিস্তৃত করার জন্য ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কের (এনটিটিএন) মূল্য নির্ধারণের দাবি তোলেন আইএসপিএবি সভাপতি আবদুল হাকিম।

তিনি বলেন, “এনটিটিএনের ফ্লোর ও সিলিং প্রাইস ঠিক করতে হবে। এনটিটিএনের বয়স ১১ বছর হয়েছে। এনটিটিএনের মূল্যটা যদি ডিক্লারেশনে আসে, আমার মনে হয় আগামী দিনগুলোতে আমাদের যে দূরত্বটা ছিল, সেটা অনেকাংশে কমে আসবে। এবং সর্বোপরি এখন পর্যন্ত ২০০০ লাইসেন্স ইস্যু করেছে বিটিআরসি। তার মানে আমরা বলতে পারি যে, রাস্তায় ২ হাজার কেবল থাকবে।

Leave a Reply