সৌদির টিকেটের জন্য ভিড় কমলেও বিড়ম্বনা শেষ হয়নি

Share on Facebook

কয়েক দিন আগে টোকেন দেওয়া ছাড়াও কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করে আটকেপড়া সৌদি গমনেচ্ছুদের কাছে ফ্লাইটের টিকেট হস্তান্তরে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছে এয়ারলাইন্সগুলো। তবে সময়মতো সঠিক তথ্য না পাওয়ায় দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ঢাকায় টিকেটের জন্য এসে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে অনেককে।

সৌদিতে কাজ হারানোর উদ্বেগের কারণে শুক্রবার ছুটির দিনেও মতিঝিলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বুকিং কাউন্টার এবং কারওয়ানবাজারে সৌদি এয়ারলাইন্সের বুকিং কাউন্টারের বাইরে কয়েকশ যাত্রীর ভিড় দেখা গেছে। তবে গত সপ্তাহের মতো এদিন কোনো মিছিল-হট্টগোল হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নিজের ভিসার অনুবাদ কপি দেখিয়ে বলেন, “গত ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে সৌদি এয়ারলাইন্সের বাইরে অপেক্ষা করছি। আমি টোকেনও সংগ্রহ করতে পারিনি, ফলে আমাকে কাউন্টারের দিকে যেতে দেয়নি আনসার সদস্যরা।”

তবে আগামী ৮ সেপ্টেম্বরের সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকেট পাওয়া লক্ষ্মীপুরের মোহম্মদ আলী বলেন, “গত মার্চে আমার টিকেট কাটা ছিল। কিন্তু মহামারীর কারণে ফ্লাইট বাতিল হয়ে যায়। ৪-৫ দিন আগে টোকেন সংগ্রহ করেছিলাম। তখন বলেছিল আগামী ১২ অক্টোবর এই টোকেন নিয়ে আসতে। আজকে এসে দেখি ভিড় কম। ভেতরে গেলে ওরা আগামী ৮ অক্টোবরের টিকেট বুঝিয়ে দেয়।

“মালিকের কাছ থেকে এক বছরের ছুটি নিয়ে এসেছিলাম। ভিসার মেয়াদও বেশ কয়েক মাস বাকি ছিল। কিন্তু কী থেকে কী হয় তা ভেবে এখনই চলে যাচ্ছি।”

এদিকে সৌদি এয়ারলাইন্স থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর টিকেট হাতে পেয়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার শাহীদুল। শুক্রবার মধ্যরাতেই তার সৌদি এয়ারলাইন্সের বিমানে ভ্রমণ করার কথা ছিল। কিন্তু সকালেই তার করোনাভাইরাস পরীক্ষায় ফলাফল পজিটিভ এসেছে। তাই তিনি চলে এসেছেন টিকেট বাতিল করতে।

দুপুরে মতিঝিল বকচত্বরে বলাকা ভবনের সামনে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের দুটি প্রবেশপথের কলাপসিবল গেইট বন্ধ, সেখানে পাহারায় রয়েছেন একদল পুলিশ। আগেই টোকেন সংগ্রহ করা যাত্রীদের পালা করে কাউন্টারে ডেকে নিয়ে যাচাই-বাছাই শেষে দেওয়া হচ্ছে টিকেট।

এদিকে টোকেন কিংবা আশ্বাস ছাড়াই ভবনের বাইরে লাইন ধরেছেন যাত্রীরা। তাদের একটি লাইনের শেষ প্রান্তে অবস্থান করছিলেন নরসিংদী থেকে আসা বেলায়েত হোসেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কয়েক দফায় ছুটির মেয়াদ বাড়ানোর পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর আমার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়। ওই দেশের কফিলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছু টাকার বিনিময়ে ভিসার মেয়াদ আরও এক মাস বাড়িয়ে দেন। তখন বলেছিলেন যত দ্রুত সম্ভব চলে আস।

“কিন্তু এখন বিমানের অফিসাররা বলছেন, যাদের ভিসার মেয়াদ খুবই কম তাদেরকে তারা অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। যারা টোকেন সংগ্রহ করেছিলেন তারাও ধীরে ধীরে টিকেট পাচ্ছেন। আর আমাকে বলেছে, আগামী ৮ অক্টোবর আমি যেন এখানে এসে টোকেন সংগ্রহ করি।”

Leave a Reply