ওজন কমাতে বেকিং সোডা কি আসলেও উপকারী?

Share on Facebook

বেইকিং সোডা হল একটি রাসায়নিক উপাদান, যার নাম ‘সোডিয়াম বাইকার্বোনেট’।এই সময়ে ওজন কমানোর যত পন্থা আছে তার মধ্যে বেইকিং সোডা পান করে ওজন কমানোর বিষয়টা বেশ আলোচিত। পাশাপাশি কতটা কার্যকর সেটা নিয়েও সন্দেহ আছে।

 

বেইকিং সোডা পানিতে গুলে পান করলে তা পাকস্থলির অম্লের সঙ্গে বিক্রিয়া করে এবং তৈরি করে পানি, লবণ এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড। ক্ষারীয় উপাদানের কারণে বেইকিং সোডা বমিভাব ও বদহজমের সমস্যা সমাধানে কার্যকর।স্বাভাবিক অবস্থায় পাকস্থলির পিএইচ’য়ের মাত্রা কম থাকা উচিত। তবে উচ্চমাত্রার প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলে তা ভাঙার জন্য ‘গ্যাসট্রিক’ কোষ থেকে বেশি অম্ল নিঃসরণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। একারণে পাকস্থলির উপর বাড়তি চাপ পড়ে।পাশাপাশি অ্যাসিড খাদ্যনালী দিয়ে উঠে আসতে পারে, ফলে বুক জ্বালাপোড়া ও বদহজম হয়। বেইকিং সোডা পান করা এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।

 

বদহজমের সমস্যা বেইকিং সোডা কার্যকর হলেও ওজন কমাতে এর উপকারী দিক নেই বললেই চলে। একমাত্র উপায় হল বেকিং সোডা পান করার কারণে পেট ভরা অনুভূতি অনেকক্ষণ থাকতে পারে। ফলে ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ কমবে, তবে সেটাও ক্ষণস্থায়ী।ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ অ্যাপ্লাইড ফিজিওলজি’তে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, যারা ব্যায়ামের এক ঘণ্টা আগে বেইকিং সোডা পান করবেন, তাদের ব্যায়াম করার ক্ষমতা বাড়বে। কারণ বেইকিং সোডা পান করলে পেশি ক্লান্ত হয় দেরিতে।তবে সরাসরি বেকিং সোডা খাওয়ার মাধ্যমে ওজন কমানোর কোনো ফলপ্রসূতার সুযোগ নেই।

 

বেকিং সোডা ও আপেল সাইডার ভিনেগার মিলিয়ে খেলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা উন্নত করে, পেট ভরিয়ে রাখার অনুভূতি দেয়। ফলে এটি ক্যালোরি গ্রহণ কমাতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি আপনাকে ওজন কমাতে সহায়তা করে।

 

 

Leave a Reply