ভাইরাস সতর্কতায় আবার চীন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

Share on Facebook

চীনে দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাসের বিস্তার বাড়তে থাকায় আবার মানুষ এবং গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। রাজধানী বেইজিংয়ে সতর্কতার মাত্রা বাড়িয়ে তিন থেকে দুই করা হয়েছে।

ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার বেশি ঝুঁকিতে থাকা মানুষজনকে বেইজিং থেকে বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে।

উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা এই মানুষদের মধ্যে রয়েছে কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন তারাও। নগরীর বাইরে তাদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

পৌর করপোরেশনের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম মঙ্গলবার একথা জানিয়েছে।

ট্যাক্সি, কারের মতো পরিবহনগুলোও বেইজিংয়ের বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বেইজিংয়ের কাছে হুবেই এবং শ্যংডং প্রদেশের মধ্যে দূর পাল্লার কিছু বাসও বন্ধ করা হয়েছে।

শাংহাই মাঝারি এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ কোভিড-১৯ এলাকা থেকে আসা লোকজনদেরকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখার নিয়ম চালু করেছে। বেইজিং থেকে আগতদের কোয়ারেন্টিনে রাখার নিয়ম চালু হয়েছে আরো অনেক প্রদেশে।

বেইজিংয়ে মঙ্গলবার ২৭ টি এলাকাকে মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করেছে। সেখানকার মানুষজনকে দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষার নিয়ম মেনে চলতে হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার থেকে বেইজিংয়ে নতুন শনাক্ত হওয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৬ জনে।

করোনাভাইরাসের প্রাদূর্ভাবের স্থান উহানে যে ধরনের লকডাউন দেওয়া হয়েছিল বেইজিংয়ে তেমনটি করা না হলেও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ভাইরাস মোকাবেলার চেষ্টা চলছে।

জায়গায় জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে চেকপোস্ট।শহরে ঢোকা এবং বের হওয়ার রাস্তায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চীনের অন্তত ১০ টি শহর থেকে বেইজিংয়ে ঢোকাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বেইজিংয়ের বহু স্কুল, খেলার মাঠ। প্রাথমিক স্কুলগুলো খোলার সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। শপিংমল এবং অফিসগুলোতে আবার বহাল করা হয়েছে দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা করার বিধি, বহাল হয়েছে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা।

বেইজিংয়ের বড় একটি পাইকারি বাজার থেকে সম্প্রতি নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে গত শনিবারই বাজারটি বন্ধ করা হয়।

শুধু বেইজিংই নয়, সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এর বাইরেও।লিয়াওনিং, হেবেই এবং সিচুয়ান প্রদেশে নতুন সংক্রমণ ধরা পড়ার খবর এসেছে। এছাড়া, চংকিং, সাংশি, সাংহাই এবং ফুজিয়ানেও মানুষজনের কোভিড-১৯ ধরা পড়ছে।

Leave a Reply