করোনায় বড় মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে বিশ্ব : জাতিসংঘ

Share on Facebook

মরণঘাতি করোনা ভাইরাসের প্রদুর্ভাবে বিশ্বজুড়ে আজ হাহাকার। চারিদিকে আজ শুধু মৃত্যু, রোগ আর চাকরি হারানোর চিৎকার। করোনাভাইরাস মহামারি এমন এক সংকট তৈরি করেছে যা নজিরবিহীন। লকডাউনের কারণে কাজ হারিয়ে ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তায় দিশেহারা বহু মানুষ। এ পরিস্থিতি বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষকে জটিল মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।

করোনাভাইরাসের মহামারি বিশ্বজুড়ে বড় ধরনের মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। মহামারির কারণে সৃষ্ট মানসিক দুর্ভোগ সামাল দিতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটি।

নিউ ইয়র্কে এক পলিসি ব্রিফিং উদ্বোধনের সময় জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, দশকের পর দশক ধরে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা খাতকে অবহেলা করা হয়েছে আর বিনিয়োগ করা হয়েছে কম। ফলে কোভিড-১৯ মহামারি পরিবার এবং সম্প্রদায়ের ওপর অতিরিক্ত মানসিক চাপ তৈরি করছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি’র এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুসারে চীনের উচান শহর থেকে গত বছরের শেষ দিকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্ব জুড়ে ৪৩ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রায় তিন লাখ মানুষের।

জাতিসংঘের পলিসি ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, মহামারির শুরুর দিকে মানসিক স্বাস্থ্যের সুরক্ষাই মূল উদ্বেগ ছিলো। তবে বর্তমানে বিশ্বের জনসংখ্যার বড় একটি অংশের ওপর অতিরিক্ত মানসিক চাপ তৈরি করছে এই মহামারি।

ওই ব্রিফিং উদ্বোধন করে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘মহামারি নিয়ন্ত্রণে চলে আসার পরেও দুঃখ, উদ্বেগ আর হতাশা মানুষ ও জনগোষ্ঠীকে আক্রান্ত করতে থাকবে।’ নিজের বা প্রিয় জনের করোনা সংক্রমণ কিংবা এতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কা থেকে সৃষ্ট মানসিক চাপকে গুরুত্ব দেওয়া হয় জাতিসংঘের ওই ব্রিফিংয়ে। এছাড়া, মহামারির কারণে জীবিকা হারিয়ে ফেলা কিংবা হারানোর ঝুঁকিতে থাকা, প্রিয়জনদের কাছ থেকে দূরে থাকা কিংবা কঠোর লকডাউন পরিস্থিতি মেনে চলার কারণে বহু মানুষের ওপর তৈরি হওয়া মানসিক চাপের ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয় এতে।

Leave a Reply