ডায়বেটিস রোগের লক্ষন

Share on Facebook

খালি পেটে আপনার রক্তে সুগারের মাত্রা ৫.৫ পয়েন্টের (mmol/l) আশেপাশে থাকা ভালো। যদি ৫.৫ থেকে ৬.৯ পয়েন্টের মধ্যে থাকে, এই অবস্থাকে বলে প্রি-ডায়াবেটিস। যদি ৭ পয়েন্টের উপরে চলে যায়, আমরা তাকে ডায়াবেটিস বলি।

ডায়াবেটিস একধরনের মেটাবলিক ডিজঅর্ডার। শরীরে ইনসুলিন আছে, কিন্তু কাজ করতে পারছে না। কিংবা ইনসুলিন একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা সাধারণত চার ধরনের ডায়াবেটিসের কথা বলি। টাইপ-১, টাইপ-২, জেস্টেশনাল এবং অন্যান্য। টাইপ-১ মানে হলো, যেভাবেই হোক, যাঁদের শরীরে ইনসুলিন নষ্ট হয়ে গেছে, তাঁদের যদি আলাদা করে ইনসুলিন দেওয়া না হয়, তাহলে তাঁরা মারা যেতে পারেন। আমরা যখন বাইরের নানা ধরনের খাবার খাই, ফাস্ট ফুড খাই, তখন শরীরে একধরনের পরিবর্তন আসে। দেখা যায়, শরীরে ইনসুলিন আছে, কিন্তু সেটা কাজ করতে পারছে না। তখন আমরা যে খাবারই খাই, সেটার গ্লুকোজ জমে যায়। এটা টাইপ-২ ডায়াবেটিস।

খালি পেটে ডায়াবেটিস কত থাকে?: খালি পেটে আপনার রক্তে সুগারের মাত্রা ৫.৫ পয়েন্টের (mmol/l) আশেপাশে থাকা ভালো। যদি ৫.৫ থেকে ৬.৯ পয়েন্টের মধ্যে থাকে, এই অবস্থাকে বলে প্রি-ডায়াবেটিস। যদি ৭ পয়েন্টের উপরে চলে যায়, আমরা তাকে ডায়াবেটিস বলি।

ডায়াবেটিস নির্ণয়:  মানুষের রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ সাধারণত ৩.৩ থেকে ৬.৯ মিলি.মোল/লি আর খাবার পর <৭.৮ মিলি.মোল/লি। কিন্তু যদি গ্লুকোজের পরিমাণ অভুক্ত অবস্থায় ৭ মিলি.মোল/লি আর খাবার পর >১১ মিলি.মোল/লি পাওয়া যায়, তবে তার ডায়াবেটিস আছে বলে ধরে নেওয়া হয়।

ধরন: বহুমূত্র রোগ বা ডায়াবেটিস বললে সাধারাণতঃ ডায়াবেটিস মেলিটাস বোঝায়। তবে ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস নামে আরেকটি রোগ আছে যাতে মূত্র উৎপাদন বেশি হয় কিন্তু তা ADH অ্যান্টি ডাইইউরেটিক হরমোন নামে অন্য একটি হর্মোনের উৎপাদনের অভাব বা ক্রিয়ার অভাবে হয়ে থাকে এবং মূত্রাধিক্য এবং তার জন্য অতিতৃষ্ণা এই দুটি উপসর্গের মিল ছাড়া এই রোগটির সঙ্গে “ডায়াবেটিস মেলাইটাস”-এর কোন সম্পর্ক নেই। এ দুটির মধ্যে ডায়াবেটিস মেলাইটাসের প্রকোপ অনেক বেশি। ডায়াবেটিস মেলাইটাস আবার দু’রকম হতে পারে। যথাঃ টাইপ-১ বা ইনস্যুলিন নির্ভরশীল এবং টাইপ-২ বা ইনস্যুলিন নিরপেক্ষ ডায়াবেটিস।

*ডায়াবেটিসের সাধারণ লক্ষণাদি:

  • ঘন ঘন প্রস্রাব। এ কারণে এ রোগটির নাম বহুমূত্র রোগ ;
  • অধিক তৃষ্ণা এবং মুখ শুকিয়ে যাওয়া ;
  • অতিশয় দুর্বলতা ;
  • সার্বক্ষণিক ক্ষুধা ;
  • স্বল্প সময়ে দেহের ওজন হ্রাস ;
  • চোখে ঝাপসা দেখা ;
  • ঘন ঘন সংক্রমণ।

*ডায়াবেটিসের বৈশিষ্ট্য ও বিভিন্ন জটিলতা

  • অতিরিক্ত মেদ এ রোগের অন্যতম কারণ ;
  • উপসর্গহীনতা বা অসচেতনতার কারণে চিকিৎসার অভাব ;
  • কিডনি বা বৃক্কের অক্ষমতার অন্যতম মূল কারণ ডায়াবেটিস ;
  • অন্ধত্ব বা দৃষ্টিবিচ্যূতির অন্যতম মূল কারণ ডায়াবেটিস ;
  • বিনা দুর্ঘটনায় অঙ্গচ্ছেদের অন্যতম মূল কারণ ডায়াবেটিস।

*ডায়াবেটিসের চিকিৎসা:

  • ইনসুলিন
  • অ্যান্টিডায়াবেটিক ওষুধ ( মুখে খাওয়ার ওষুধ )
  • জীবনধারার পরিবর্তন: নিয়মিত ব্যায়াম, খাদ্য গ্রহণে সচেতনতা, অসুখ সম্বন্ধে রোগীর প্রয়োজনীয় ধারণা।

Leave a Reply