মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন বন্ধে ‘বিএবি’র সিদ্ধান্ত দূঃখজনক ও অযৌক্তিক : বিটিএএমএফ

Share on Facebook

দেশের ব্যাংকগুলোর মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ব্যাংক (বিএবি) কর্তৃক পত্র-পত্রিকা ও মিডিয়াগুলোতে ব্যাংকের বিজ্ঞাপন বন্ধের ঘোষণার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশের ট্যুরিজম ও এভিয়েশন সংশ্লিষ্ট পত্র-পত্রিকা ও মিডিয়াগুলোর মালিকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ ট্যুরিজম এ্যান্ড এভিয়েশন মিডিয়া ফোরাম (বিটিএমএফ)’। একইসাথে বিএবি’র এই ঘোষণা প্রত্যাহারেরও দাবী জানায় বিটিএএমএফ। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট কাজী রহিম শাহরিয়ার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবী জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যাংক একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান। ব্যাংকগুলো গ্রাহকদেরকে যেসব সেবা দেবেন তা তুলে ধরতে সহযোগি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মিডিয়াগুলো। অর্থাৎ গণমাধ্যম ও ব্যাংক একে অন্যের সহযোগিও বটে। ব্যাংকগুলো তাদের নতুন কোনো সেবা চালু করলে সে সম্পর্কিত সংবাদ মিডিয়া প্রচার করে। কোনো ব্যাংক নিজস্ব প্রয়োজনে বিজ্ঞাপন দেবে কি দেবে না, তা তারা নিজেরাই ঠিক করবে। সেখানে বিএবি’র বাধা দেওয়াটা অযৌক্তিক বলে মনে করছে বিটিএএমএফ। আমরা মনে করি, এ ধরণের সিদ্ধান্ত মিডিয়ার স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করবে। ব্যাংকের সঙ্গে মিডিয়ার দূরত্ব তৈরি করবে। করোনা সংকটে গণমাধ্যম যখন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, তখন বিএবি’র এ ধরণের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত দূঃখজনক।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, করোনা পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত সব মিডিয়া হাউস। করোনা মোকাবেলায় সরকার যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা জনগণের কাছে তুলে ধরতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন গণমাধ্যম কর্মীরা। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ইতোমধ্যেই তিন শতাধিক মিডিয়াকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুবরণ করেছেন অনেকে। করোনা ভাইরাসের কারণে অন্য অনেক খাতের মতো মিডিয়ার আয়ও ক্রমেই সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। অনেক মিডিয়া বন্ধ হয়ে গেছে। যে কোনো মিডিয়ার মূল আয় বিজ্ঞাপন। অথচ করোনার কারণে বিজ্ঞাপনের প্রবাহ আশংকাজনক হারে কমে গেছে। এজন্য প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে চলমান রাখার ক্ষেত্রে চরম সংকটে পড়েছে প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াগুলো। ট্যুরিজম ও এভিয়েশন সংশ্লিষ্ট পত্র-পত্রিকা ও মিডিয়াগুলোর বিজ্ঞাপনও শূণ্যের কোঠায় নেমে এসেছে। মিডিয়াগুলোর গ্রাহক আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। ফলে মারাত্মক আর্থিক লোকসান গুনতে হচ্ছে এসব মিডিয়াগুলোকে। মিডিয়া কর্মীদের মাসিক বেতন, অফিস ভাড়া, ব্যবস্থাপনা ব্যয় ইত্যাদি ক্ষেত্রে এসব মিডিয়া কোনো সরকারী সুবিধা পাচ্ছে না। বর্তমান করোনা সংকটে সব খাতই প্রণোদনা, সহায়তা বা ছাড় পাচ্ছে। অথচ মিডিয়াগুলো তা পাচ্ছে না। এমন বাস্তবতায় এই সংকট উত্তরণে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সরকারকেও এগিয়ে আসতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পর্যটন শিল্পের পণ্য সমূহকে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে তুলে ধরা এবং উক্ত পণ্যের বাজার সৃষ্টি করতে পর্যটন সংশ্লিষ্ট মিডিয়াগুলোতে বিজ্ঞাপন প্রদান করতে হবে। দেশের ট্যুরিজম ও এভিয়েশন বিষয়ক মিডিয়া ও এর কর্মীদের যাবতীয় সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারের প্রতি দাবী জানায় বিটিএএমএফ।

Leave a Reply