পাম ফলের গুনাগুন ও স্বাস্থ্য উপকারিতা

Share on Facebook

পাম ফল থেকে তেল পাওয়া যায় তাকে পাম ওয়েল বলে। বাংলাদেশের বৃক্ষ না হলেও এটি এখন বাংলাদেশে চাষ করা হচ্ছে।

পাম গাছ এখন বাংলাদেশের একটি পরিচিত বৃক্ষ। এই ফলের চাষ বাংলাদেশের আবহাওয়ার জন্য উপযোগী ও পরিবেশ বান্ধব।

এই গাছ এক প্রকার বৃক্ষ জাতীয় ফুলেল উদ্ভিদ। পৃথিবীতে বিভিন্ন জাতের প্রায় ২৬০০ প্রজাতির পাম গাছ দেখা যায়।

পাম ফল থেকে পাম তেল নিষ্কাশন করা হয়। পাম গাছের পাতা জমিতে সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

বাংলাদেশে একটি চার/পাঁচ বৎসর বয়সী পাম গাছ থেকে বছরে ন্যূনপক্ষে ৪০ কেজি পামওয়েল পাওয়া যায়।

একটি পাম গাছ থেকে একটানা ২৫/৩০ বছর পর্যন্ত তেল পাওয়া যায়।

পাম ফল থেকে পামওয়েল আহরণের সময় যে পুষ্টি সমৃদ্ধ পূর্ণ ব্যবহার যোগ্য বর্জ্য পাওয়া যায়, তাই পামঅয়েল বাগানের সার হিসেবে ব্যবহার হয়।

রাসায়নিক, কীটনাশকের ব্যবহার হ্রাস করার জন্য পাম গাছের রোগ বালাই নিয়ন্ত্রণের কাজে জৈব পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

পাকা পাম ফল সংগ্রহ করে পানিতে সিদ্ধ করে দেশীয় পদ্ধতিতে পাম অয়েল সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।

পাম ফল এর বিভিন্ন ধরণের ‍উপকারি দিক রয়েছে। এখন এর ভেষজ দিক গুলো সম্পর্কে জানব-

উপাদানঃ

পাম গাছের ১ টন শুকনা পাতা মাটিতে ৭.৫ কেজি নাইট্রোজেন, ১.০৬ কেজি ফসফরাস, ৯.৮১ কেজি পটাসিয়াম ও ২.৭৯ কেজি ম্যাগনেসিয়াম ফিরিয়ে দেয়। এজন্য বলা যায় পাম গাছ পরিবেশের জন্য অত্যন্ত উপকারী ও পরিবেশ বান্ধব।

উপকারিতাঃ

পাম ফল থেকে যে তেল পাওয়া যায় তা কোলেস্টেরল মুক্ত ভোজ্য তেল।

এই তেল ব্যবহারে রক্তের মোট কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে না।

তবে ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পায় এবং উপকারী এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায় ।

রক্তের জমাট বাধার প্রবণতা হ্রাস করে পাম অয়েল যার ফলশ্রতিতে হৃদরোগের ঝুকি হ্রাস পায়।

পাম তেল ধমনীতে প্লাক গঠনে সহায়তা করে না।

ক্যান্সার রোধে সহায়তা করে থাকে পাম তেল ।

পাম তেলের জারণরোধী ভূমিকার কারনে পাম তেল দেহের কোষগুলোর বয়ো বৃদ্ধি প্রক্রিয়া প্রতিহত করে।

Leave a Reply