পর্যটনের নতুন দিগন্ত পতেঙ্গা সি-বিচ

Share on Facebook

পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম থেকে ফিরে: দূর থেকে দেখে মনে হবে আকাশ ছুঁয়েছে সাগরের বুকেই। কখনো রোদ আবার কখনো বৃষ্টি। মাঝে মধ্যে অন্ধকারচ্ছন্ন পরিবেশ। আবার রোদে আলোকিত। সাগরের গর্জন আর নির্মল বাতাসের টানে ছুটে আসছেন হাজারো মানুষ।  

কেউ ছবি তুলছেন কেউবা হেঁটে বেড়াচ্ছেন। আবার কেউ কেউ উত্তাল সাগরের ঢেউয়ের বুকে লাফিয়ে গোসল করছেন।

কেউবা ব্যস্ত প্রিয়জনের সঙ্গে আড্ডা দিতে।

এমন মনোরম পরিবেশ চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সি-বিচের।

এ বিচের অপরূপ সৌন্দর্য মুগ্ধ করে দর্শনার্থীদের। চারদিকে সাগর পাড়জুড়েই মানুষের ঢল।

ছুটির দিন ছাড়াও প্রতিদিন হাজারো মানুষ ঘুরতে আসেন এখানে। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত এ বিচে থাকে ভ্রমণপিপাসুদের মিলন মেলা।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পতেঙ্গা বিচ। বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষা এ জনপদটি পর্যটকদের পছন্দের এক নান্দনিক স্পট। নয়নাভিরাম এ দৃশ্য দেখতেই ছুটে আসেন হাজারো মানুষ।

কক্সবাজার, কুয়াকাটার মতো পর্যটনের আরেক দিগন্ত পতেঙ্গা সি-বিচ। এখানে তৈরি করা হয়েছে নানা স্থাপনা। বিশেষ করে পর্যটকদের জন্য বাহারি রংয়ের সিসি ব্লক রয়েছে। স্পিডবোট, ঘোড়া আর ছোটগাড়িতে রয়েছে ঘোরার ব্যবস্থা। ছবি তোলার জন্য রয়েছে ভাড়াটিয়া ক্যামেরাম্যান। পর্যটকদের জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রয়েছে ভ্রাম্যমাণ খাবার দোকানও।

স্থানীয়রা জানান, আগে এখানে এতো সৌন্দর্য ছিল না, টেকসই বাঁধ দিয়ে সাজানো হয়েছে পতেঙ্গা বিচকে। এখানে এলে যেকোনো মানুষের মন জুড়িয়ে যাবে। বিশেষ করে সূর্যাস্ত ও সূর্যদয় দেখতে ছুটে আসেন মানুষ। এখানে অনেকটা আনন্দে সময় পার করেন ভ্রমণপিপাসুরা।  

ঘুরতে আসা পর্যটক শ্রাবনী, তানিয়া ও রেশমা বাংলানিউজকে বলেন, এই প্রথম পতেঙ্গা বিচে আসলাম, এখানে এসেই যেন  মন জুড়িয়ে গেল। কক্সবাজারের মতো মনে হচ্ছে। এটি যেন পর্যটনের নতুন দিগন্ত।  

বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষা পতেঙ্গায় এখন ভাঙন নেই। টেকসই বাঁধ নির্মাণের কারণে পরিণত হয়েছে পূর্ণাঙ্গ সমুদ্র সৈকত। ভবিষ্যতে আরও আকর্ষণীয় সৈকত হিসেবে পূর্ণতা পাবে এ পতেঙ্গা সি-বিচ।

Leave a Reply