এমবাপের চোখে ব্যালন ডি’অর পাচ্ছেন করিম বেনজেমা

Share on Facebook

ব্যালন ডি’অরের জন্য যে ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে পিএসজি ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপের নামও। এই ক্লাবটিতে খেলেন এমবাপে, নেইমার এবং মেসির মত ফুটবলার। কিন্তু তিন গ্রেট ফুটবলারের মধ্যে সেরা ৩০-এ জায়গা পেয়েছেন কেবল এমবাপে। বাকি দু’জন তথা মেসি এবং নেইমার ছিটকে পড়েছেন সেরা ৩০ এর তালিকা থেকে।

ব্যালন ডি’অরে ৩০জনের তালিকায় ৬জন করে ফুটবলার রয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ, লিভারপুল এবং ম্যানচেস্টার সিটির। তবে, যত জনেরই নাম আসুক না কেন, এবার ব্যালন ডি’অর উঠতে যাচ্ছে রিয়াল ফুটবলার করিম বেনজেমার হাতে- এটা অনেকটাই নিশ্চিত।

ব্যালন ডি’অর নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন পিএসজি ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপে এবং এই মতামত জানাতে গিয়ে খানিকটা আফসোসই ঝরে পড়লো ফ্রান্সের এই বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলারের কণ্ঠ থেকে। তার মনে, রিয়াল মাদ্রিদ হচ্ছে- ব্যালন ডি’অর মেশিন। অর্থ্যাৎ, তার মনোভাবটা এমন, ‘রিয়ালে যেতে পারলে ব্যালন ডি’অরটা জয়ের সম্ভাবনা আমারও ছিল।’

এমবাপে জানালেন, করিম বেনজেমাই এবার ব্যালন ডি’অর জয়ের অন্যতম দাবিদার। শুধু বেনজেমার কথাই নয়, এমবাপের মতে- রিয়ালের বেশ কয়েকজন ফুটবলার রয়েছেন, যারা ব্যালন ডি’অর জয়ের দাবিদার কিংবা যোগ্যতা রাখেন।

তবে, সেরা তিনের মধ্যে নিজের সঙ্গে করিম বেনজেমা এবং লিভারপুল থেকে বায়ার্নে যোগ দেয়া সাদিও মানের কথাই উল্লেখ করলেন কিলিয়ান এমবাপে।

তিনি বলেন, ‘বেনজেমা এই ৩৪ বছর বয়সে এসে যেভাবে মৌসুমটা শেষ করলেন, তা সত্যিই অবিশ্বাস্য। রিয়াল মাদ্রিদকে আরও একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা এনে দেয়ার সবচেয়ে বড় কারিগর ছিলেন তিনি।’

এমনকি চরম একটি কথাও বলে ফেলেছেন এমবাপে। তিনি বলেন, ‘যদি বেনজেমা এবারের পুরস্কারটি জিততে না পারেন, তাহলে সারাজীবনের জন্য ব্যালন ডি’অরের ওপর আমি আস্থা হারিয়ে ফেলবো।’

রিয়াল মাদ্রিদের শ্রেষ্ঠত্বের কথা স্বীকার করে এমবাপে বলেন, ‘আমি স্বীকার করছি, রিয়াল মাদ্রিদ হচ্ছে একটি ব্যালন ডি’অর মেশিন।’ অথচ, এই রিয়াল মাদ্রিদেই যাওয়ার সবচেয়ে বড় সম্ভাবনা ছিল এমবাপের। নিজের হাতেই সেই সম্ভাবনা শেষ করে দিয়েছেন তিনি।

এমবাপে আশাবাদী, একদিন না একদিন তিনি এই পুরস্কারটি জিততে পারবেন। ফরাসি এই ফুটবলার বলেন, ‘এটা গুরুত্বপূর্ণ, মাঠে নিজের মাথা উঁচু রাখতে পারা। তবে, আমি নিশ্চিত একদিন না একদিন এই পুরস্কারটি আমি জিততে পারবো এবং এটা পিএসজিতে থেকেই।’

Leave a Reply