বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের পালে হাওয়া লেগেছে

Share on Facebook

দীর্ঘ প্রায় দুই বছরের কাছাকাছি অচল পড়েছিল মার্কিন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের সেভেন থ্রি সেভেন ম্যাক্স মডেলের বিমানগুলো। বন্ধ ছিল এ মডেলের নতুন বিমানের অর্ডার আর সরবরাহ। পাশাপাশি করোনা মহামারিতে পুরো বিপর্যস্ত ছিল বোয়িংসহ বিশ্বের বিভিন্ন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।

এরপর যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুমোদন দেয় সারাবিশ্বে সর্বাধিক বিক্রিত বিমান সেভেন থ্রি সেভেন ম্যাক্স মডেলের বিমানের আকাশে উড্ডয়নের অনুমোদন।

এরপর আবারো পালে হাওয়া লেগেছে বোয়িংয়ের। আকাশে উড়ছে সেভেন থ্রি সেভেন। জুলাইয়ে ক্রেতাদের কাছে ২৮টি উড়োজাহাজ সরবরাহ করেছে মার্কিন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং। সরবরাহ করা এসব উড়োজাহাজের মধ্যে বোয়িংয়ের ৭৩৭-ম্যাক্স মডেলও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

২০২০ সালের নভেম্বরে আবারো আকাশে উড্ডয়নে ফিরে আসে বোয়িংয়ের ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের বিমান। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ১৫৪টি এ মডেলের বিমান সরবরাহ করেছে বোয়িং। চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত সব মিলিয়ে বিভিন্ন মডেলের ১৮৪টি বিমান সরবরাহ করেছে বোয়িং।

বৃহত্তম এ বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জানায়, জুলাই মাসে ৩১টি বিমানের অর্ডার পেয়েছেন তারা। এরমধ্যে আছে ১৯টি ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের বিমান। ১২টি আছে বড় আকারের বিমান। এরমধ্যে জুলাইতে আবার ১৭টি বিমানের ক্রয়াদেশও বাতিল হয়েছে। এরমধ্যে ১৫টি ম্যাক্স মডেলের আর দুটি ৭৮৭ মডেলের বিমান।

রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ বাড়ায় এসব উড়োজাহাজের সরবরাহ বেড়েছে। তবে কিছু নির্মাণ ত্রুটির কারণে চার মাস ধরে প্রতিষ্ঠানটির ৭৮৭ মডেলের উড়োজাহাজের সরবরাহ আটকে আছে।

বর্তমানে করোনা মহামারির কারণে হারানো বিক্রি লক্ষ্যমাত্রা পূরণে হাজার কোটি ডলার আয় পুনরুদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বোয়িং। এছাড়া ৭৩৭-ম্যাক্স মডেলের দুটি উড়োজাহাজের গুরুতর দুর্ঘটনার কারণে বেশ কিছু ক্রয়াদেশ হারিয়েছে বোয়িং। সম্প্রতি বোয়িংয়ের মাসিক ক্রয়াদেশ ও সরবরাহের দিকে তাকালে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি মহামারি ও দুর্ঘটনাজনিত পিছিয়ে পড়া থেকে নিজেদের পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বোয়িং জানায়, জুলাইয়ে সরবরাহ করা এসব উড়োজাহাজের মধ্যে আছে ২২টি ৭৩৭-ম্যাক্স মডেলের প্রতি ডানায় এক ইঞ্জিনবিশিষ্ট উড়োজাহাজ, মার্কিন নৌবাহিনীর জন্য একটি পি-৮ মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট। সরবরাহ করা বাকি পাঁচটি ওয়াইড বডি উড়োজাহাজ, যেগুলোর প্রতি ডানায় দুটি ইঞ্জিন আছে। ওয়াইড বডি উড়োজাহাজগুলোর একটি কেসি-৪৬ রিফুয়েলিং বিমান ও চারটি কার্গো উড়োজাহাজ। ওয়াইড বডি পাঁচটি উড়োজাহাজের গ্রাহক মার্কিন বিমান বাহিনী।

বোয়িং জানায়, ৭৩৭-ম্যাক্সের সরবরাহ যেন বাড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখার পাশাপাশি তারা এই মডেলের বিমানের আরও আধুনিক সংস্করণ ও বেশি লাভজনক ৭৮৭ মডেলের যান্ত্রিক ত্রুটি সারাতে কাজ করে যাচ্ছে। ২০২০ সাল থেকে দুইবার এ মডেলের বিমানের সরবরাহ আটকে গেছে। বিভিন্ন ত্রুটির কারণে বোয়িং ৭৮৭-এর উৎপাদন কমাতে বাধ্য হয়েছে বোয়িং। যদিও মাঝে মধ্যে ক্রেতাদের কাছে মডেলটি সরবরাহ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

Leave a Reply