১ জুন থেকে আবার চলবে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট

Share on Facebook

কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে দুই মাসের বেশি সময় যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচলে বিধিনিষেধের পর ১ জুন থেকে `সীমিত পরিসরে’ আভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল শুরুর অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে আন্তর্জাতিক রুটে নিয়মিত যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচলে বিধিনিষেধের মেয়াদ ১৫ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে সচিব মো. মহিবুল হক গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, ১ জুন থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, সৈয়দপুর রুটে আভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলবে।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান মো. মফিদুর রহমান এ বিষয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আপাতত সবগুলো আভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চালু করছি না। যেহেতু সব এয়ারপোর্ট পুরোপুরি এখনই প্রস্তুত না, ঢাকার বাইরে তিনটা এয়ারপোর্ট আপাতত প্রস্তুতি রয়েছে।

“সেই এয়ারপোর্টগুলোতে আপাতত যাবে, আর এক সপ্তাহের মধ্যে যদি প্রস্তুতি শেষ হয়, তাহলে বাকি এয়ারপোর্টগুলোতে ফ্লাইট অপারেশন চালু করা যাবে।”

বেবিচকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহেল কামরুজ্জামান বলেন, স্বাস্থ্য বিধি ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নীতিমালা অনুসরণ করে সীমিত পরিসরে ফ্লাইট চলবে আভ্যন্তরীণ রুটে।

তবে আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী পরিবহনের (শিডিউল পেসেঞ্জার ফ্লাইট) ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ ১৫ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আগের মতই বাহরাইন, ভুটান, হংকং, ভারত, কুয়েত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, ওমান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং যুক্তরাজ্যের সঙ্গে নিয়মিত ফ্লাইট চলাচলের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।

বর্তমানে চীন ছাড়া অন্য সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের নিয়মিত যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে চার্টার্ড ফ্লাইট, কার্গো ও ত্রাণবাহী ফ্লাইট, এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি অবতরণ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত আছে।

আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট এখনই না চালু করার কারণ ব্যাখ্যা করে বেবিচক চেয়ারম্যান মফিদুর রহমান বলেন, “এখনো বাংলাদেশ খুব রিস্কি জোনে আছে। অনেক দেশই বাংলাদেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে। সেজন্য আমরা আন্তর্জাতিক রুটের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তটা ১৫ জুনের পর নেব।”

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে গত ১৬ মার্চ থেকে যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপের অন্যান্য সব দেশ থেকে যাত্রী আসা বন্ধ করে বাংলাদেশ। পরে অন্যান্য দেশ এবং আভ্যন্তরীণ রুটেও নিয়মিত ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

মফিদুর রহমান বলেন, এখন আভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে এয়ারলাইন্সগুলোকে স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে।

“সামাজিক দূরত্ব ও পরিচ্ছন্নতার বিধি তাদের মেনে চলতে হবে। প্রথমত যাত্রীদের অবহিত করতে হবে কোন ধরনের যাত্রী তাদের এয়ারক্রাফটে যাতায়াত করতে পারবে। দ্বিতীয়ত তারা এয়ারক্রাফটের যাত্রী ধারণক্ষমতার ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশের বেশি যাত্রী নিতে পারবে না। আসা যাওয়ার আগে এয়ারক্রাফট স্যানিটাইজ করতে হবে। যাত্রীদের মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস দিতে হবে। যাত্রীদের বসার ক্ষেত্রে দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।”

Leave a Reply