সামনের সপ্তাহ থেকে ইউএস বাংলার কার্গো ফ্লাইট চলবে

Share on Facebook

ইউএস
বাংলা এয়ারলাইন্স আগামী সপ্তাহে কার্গো ফ্লাইট চালানো রকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । সিভিল এভিয়েশন
বলছে করোনা দুর্যোগে দেশের আমদানী-রপ্তানী সচল রাখার জন্য কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেয়া হয়েছে। ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ বলছে করোনাভাইরাসের সংকটের সময় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী আনতে ভূমিকা রাখতে চান তারা ।

করোনাভাইরাসের
কারণে বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের আকাশপথের যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ। একমাত্র ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইট সপ্তাহে প্রতি শনিবার ঢাকা-গুয়াংজু রুটে পরিচালনা করছে।

আবেদনের
প্রেক্ষিতে জরুরী পণ্য পরিবহনে সিভিল এভিয়েশন কার্গো ফ্লাইটের অনুমতি অনুমোতি দেয় বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস বাংলাকে। চীন ছাড়াও বাংলাদেশের সাথে কার্গো পরিবহনে যেসব দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি আছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস সেসব দেশে কার্গো পরিবহন করতে পারবে।

সিভিল
এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ মফিদুর রহমান বলেন, আমরা একটি এয়ার লাইন্সকে প্যাসেঞ্জারের পরিবর্তে কার্গো অপারেশনের অনুমতি দিয়েছি।এতে কিছু আন্তর্জাতিক আইন এবং বিধিমালা আছে।এগুলো মেনেই আমরা তাদের অনুমোদন দিয়েছি।

ইউএস
বাংলা কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী আমদানী ছাড়াও জরুরি রপ্তানি পণ্য সামগ্রী বিশেষ করে গার্মেন্টস পণ্য, পচনশীল দ্রব্য শাক-সবজি ইত্যাদি বিদেশে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও তাদের র্কাগোবিমান ব্যবহার করতে চায় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস।

ইউএস
বাংলা এয়ারলাইনসের জিএম(পাবলিক রিলেশনস) কামরুল ইসলাম বলেন, করোনার সার্বিক অবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত বিশেষ করে চিকিৎসকদের জন্য পিপিই, মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, স্যানিটাইজারসহ যেসব চিকিৎসা সামগ্রি আছে সেসব পণ্য আমদানির জন্যই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আমাদের প্রচুর ডিমান্ডও আছে। আমরা এসব পণ্য আমদানিতে যাতে সহায়তা করতে পারি তাই আমরা কার্গো সার্ভিস চালু করছি।

ইউএস
বাংলার চারটা বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট, প্রতিটির কার্গো কম্পাউন্ডে প্রায় ২০ টন ওজনের
মালামাল ধারন ক্ষমতা রয়েছে।

Leave a Reply