শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সময় আরও বাড়বে

Share on Facebook

দেশে করোনার যে পরিস্থিতি তাতে আরও সময় লাগবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে। ২৪ মে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অনির্দিষ্টকাল জনগণের আয়ের পথ বন্ধ রাখা সম্ভব নয়।’ এই কথায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরায় চালু করতে দেশব্যাপী চলমান লকডাউন আরও শিথিল করার ইঙ্গিত রয়েছে। কিন্তু যে হারে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বমুখী তাতে মনে হয় না সহসাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে। না খোলার ব্যাপারেই চিন্তা করছেন দেশের শিক্ষাব্যবস্থার দায়িত্বে থাকা দুই মন্ত্রণালয়ের নীতি-নির্ধারকরা।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিপূর্বে সেপ্টেম্বরের আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে না দেয়ার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন। সেটাকেই তারা যথাযথ দিকনির্দেশনা বলে মনে করছেন। তারপরও ২৮ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ৪ জুন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠকে বসবে। আগামী ৫ জুন পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি রয়েছে। এর পরের পদক্ষেপ নির্ধারণের জন্য হবে এই বৈঠক।

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। আর ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ আছে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেই হিসাবে আড়াই মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে টিউশন ফি আদায়ের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পাঁয়তারা করছে। কিন্তু রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকরা বলছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনই খুলে দেয়া ঠিক হবে না। কেননা, এখনও সংক্রমণ ও মৃত্যু পরিস্থিতি ঊর্ধ্বমুখী। করোনাপরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এনে প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে বড় নিবুর্দ্ধিতা ও আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত।

জানা যায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া চালিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে বিকল্প ব্যবস্থা উদ্ভাবনের চেষ্টায় আছে সরকারের দুই মন্ত্রণালয়। ইতিমধ্যে সংসদ বাংলাদেশ টিভির মাধ্যমে পাঠদানে তেমন একটা সাড়া মেলেনি। অন্তত ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থীর কাছে এটা পৌছেনি। যে ৪০ শতাংশের কাছে পৌঁছেছে তারাও এটা তেমনভাবে গ্রহণ করেনি। এ কারণে সব শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছানোর বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় চিন্তা করছে।

সংসদ ও বিটিভিসহ সব স্যাটেলাইট টেলিভিশন, বেতার ও ক্যাবল টিভির মাধ্যমে পাঠদান চালানো যায় কিনা- সেই চিন্তাও চলছে। এছাড়া অনলাইন এবং অডিও মাধ্যমে পাঠদানের ব্যবস্থা করার চিন্তাও আছে। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কেন্দ্রিক প্রকল্প এ-টু-আই বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন বলে জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র।

এ কাজে অর্থায়নের জন্য বিশ্বব্যাংকের সঙ্গেও আলোচনা চলছে বলে জানায় ওই সূত্র। তাছাড়া ইতিমধ্যে বেতারে পাঠদানের সহায়তায় ইউনেস্কো এগিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।

Leave a Reply