প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আকলু মামলা করেছে

Share on Facebook

হোয়াইট হাউসের সামনে বর্ণবাদবিরোধী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে মানবাধিকার সংগঠন দ্য আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (আকলু)। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ব্ল্যাক লাইভ ম্যাটারস (কালোদের জীবনও মূল্যবান) নামের একটি সংগঠনের পক্ষে মামলাটি করে আকলু। ফোর্বসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গত সোমবার হোয়াইট হাউসের পাশেই সেন্ট জোনস গির্জায় যান ট্রাম্প। আগের দিন রোববার রাতে এ গির্জাটিতে আগুন লেগেছিল। সেখানে গিয়ে বাইবেল হাতে ছবি তোলেন প্রেসিডেন্ট। তবে তার গির্জায় যাওয়ার পথ ‘পরিষ্কার’ করতে হোয়াইট হাউসের সামনে অবস্থান নেওয়া শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের টিয়ার শেল ছুঁড়ে ও লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এরপর ব্যাপক তোপের মুখে পড়েন ট্রাম্প। ওই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় এবার মামলার মুখে পড়লেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো রকম সতর্ক বার্তা না দিয়েই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে ‘হামলা করে’ পুলিশ। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকেরা জানিয়েছেন, সেদিনের বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ছিল। পুলিশের শক্তি প্রয়োগের কোনো প্রয়োজন ছিল না।

বৃহস্পতিবার অ্যাটর্নি জেনারেল বার বলেছেন, ঘটনার দিন তিনি হোয়াইট হাউসের সামনে নিরাপত্তা বাড়াতে ব্যক্তিগতভাবে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ট্রাম্পের ছবি তুলতে যাওয়ার পথ ‘পরিষ্কার’ করতে বিক্ষোভকারীদের ওপর শক্তি প্রয়োগের কোনো নির্দেশ তিনি পুলিশকে দেননি।

তবে অ্যাটর্নি জেনারেল বার দাবি করেছেন, বিক্ষোভকারীদের তিনবার সরে যেতে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। তারা তা না শুনে পুলিশের দিকে বিভিন্ন জিনিষ ছোঁড়া শুরু করে।

একই ধরনের প্রপাগান্ডা চালানো শুরু করেছে ট্রাম্পের নির্বাচন পরিচালনাকারী দল ও হোয়াইট হাউস। তাদের দাবি, টিয়ার গ্যাস নয়, বিক্ষোভকারীদের ওপর পিপার স্প্রে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) পিপার স্প্রেকেও টিয়ার গ্যাস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

গত ২৫ মে ৪৬ বছর বয়সী ফ্লয়েডকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, রাস্তার ওপর ফ্লয়েডকে ফেলে আট মিনিট ৪৬ সেকেন্ড তার ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে মাটিতে চেপে ধরে রেখেছেন এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ। পরে শ্বাস বন্ধ হয়ে ফ্লয়েড মারা যান। এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

Leave a Reply