ঘুরে আসুন ঢাকার পাশেই সোনাকান্দা দুর্গ

Share on Facebook

মুঘল আমলে নির্মিত একটি জল দুর্গ।এটি ১৬৫০ সালের দিকে তৎকালীন বাংলার সুবেদার মীর জুমলা কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। সোনাকান্দা দূর্গটি বাংলার বার ভূঁইয়াদের অন্যতম ঈশা খাঁ তৎকালীন সময়ে ব্যবহার করতেন। রাজা কেদার রায়ের মেয়ে স্বর্ণময়ী এসেছিলেন লাঙ্গলবন্দে পুণ্যস্নান করতে। একদল ডাকাত স্বর্ণময়ীর বজরায় হানা দেয়। প্রচুর স্বর্ণালংকারসহ স্বর্ণময়ীকে অপহরণ করে। পরে ঈশা খাঁ তাঁকে উদ্ধার করে কেদার রায়ের কাছে ফেরত পাঠাতে চান। কিন্তু মুসলমানের তাঁবুতে রাত কাটানোয় জাত গেছে_এ অভিযোগে কেদার রায় স্বর্ণময়ীকে আর ফেরত নেননি। এ খবর শুনে স্বর্ণময়ী কেল্লার তাঁবুতে দিনের পর দিন কেঁদে কেঁদে কাটিয়েছেন। আর তাই এর নাম হয় সোনার কান্দা বা সোনাকান্দা। নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দরে অবস্থিত দুর্গটি প্রত্নতত্ত্ব ও জাদুঘর অধিদপ্তরের অধীনে বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। এর প্রতিরক্ষা দেয়াল এবং শক্তিশালী কামান স্থাপনার জন্য উত্তোলিত মঞ্চটি এখনো আগের মতো আছে। এ উঁচু মঞ্চে প্রবেশের জন্য পাঁচ খাঁজবিশিষ্ট খিলানযুক্ত প্রবেশপথ রয়েছে। চতুস্কোন আকৃতির এই দূর্গটি লম্বায় ৮৬ দশমিক ৫৬ মিটার এবং প্রস্থে ৫৭ মিটার। এর চারপাশে ১ দশমিক ৬ মিটার পুরু ও ৩ দশমিক ৫ মিটার উচুঁ সুরক্ষা প্রাচীর আছে যা এখনও প্রায় অক্ষত। চতুস্কোন আকৃতির প্রতিটি কোণায় গোলাকৃতি মঞ্চ আছে। আর পশ্চিম দেওয়ালের মধ্যবর্তী স্থানে আছে দূর্গের মূল বেদী। দূর্গটিতে প্রবেশের জন্য উত্তর দিকে ১টি প্রবেশ দ্বার আছে। সারা বছর ধরেই দেশী-বিদেশী দর্শণার্থীগণ এই দূর্গটি দেখতে আসেন।

Image result for সোনাকান্দা দুর্গ

কীভাবে যাবেন

ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে মোহাম্মদপুর,মীরপুর,গুলিস্থান থেকে নরমাল/এসি বাস পাবেন নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার জন্য।  বাস থেকে নারায়ণগঞ্জ টার্মিনালে নেমে নৌকায় শীতলক্ষ্যা নদী পার হয়ে রিকশাচালককে বললেই নিয়ে যাবে সোনাকান্দা দুর্গে।

 

কোথায় থাকবেন

ঢাকার আশে পাশে হবার কারনে আপনি দিনে যেয়ে দিনেই ফিরতে পারবেন। এরপরও যদি আপনি নারায়নগঞ্জে রাত্রিযাপন করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে নারায়নগঞ্জ সদরে এসে হোটেল নিতে হবে।

Leave a Reply