ঘুরে আসুন জাতীয় চিড়িয়াখানা

Share on Facebook

ঢাকার মিরপুরে স্থাপিত বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা। এটি বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি প্রতিষ্ঠান। ১৯৫০ সালে হাইকোর্ট চত্বরে জীবজন্তুর প্রদর্শনশালা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় চিড়িয়াখানাটি। পরবর্তীকালে ১৯৭৪ সালে বর্তমান অবস্থানে স্থানান্তরিত হয় এটি। চিড়িয়াখানাটি উদ্বোধন ও সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয় ১৯৭৪ সালের ২৩ জুন। বছরে প্রায় ৩০ লক্ষ দর্শনার্থী ঢাকা চিড়িয়াখানা পরিদর্শন করে থাকেন।

 

চিড়িয়াখায় যা যা দেখবেন

চিড়িয়াখানাতে প্রায় সব ধরনের পশু পাখিই রাখার ব্যাবস্থা করা হয়েছে, তার মাঝে কিছূ আছে কিছু নেই। আপনার দিনটাকে আনন্দময় করার সব রকম চেষ্টাই করা হয়েছে এখানে।

 

হরিন

চিড়িয়াখানাতে হরিনের অনেক খোলামেলা যায়গা আছে, আর আপনি প্রথমে প্রবেশ করেই এদের দেখা পাবেন। অনেক অনেক হরিন একসাথে। আর চিড়িয়াখানাতে হরিনের এসব যায়গা অনেক গুলি আছে, এর পরেও আপনি আরো হরিন দেখতে পাবেন। এরা খুবই নিরীহ, ডাকলে কাছে আসে, কিছু খেতে পাবার আসা করে, অনেকেই দেয়, কিন্তু দেয়া উচিত নয় খাবার।

Image result for জাতীয় চিড়িয়াখানা

বানর

তারপর একটু আগালেই আপনার চোখে পরবে বানরের বড় একটি খাঁচা। এটার ভিতর আগে অনেক বারন লাফালাফি করতো। এখন বারনের খাচার সখ্যা অনেক বেড়ে গেছে তার কারনে হয়ত বারন কমে গেছে। ছোট ছোট শিশুরা এই খাঁচার সামনে আসলে নরতেই চায় না, তাদের প্রধান আকর্ষন যেনো এখানেই।

 

পাখির খাঁচা

বানরের খাঁচা পার হবার পর আপনার চোখে পরবে একটা বড় বক জাতীয় পাখির খাঁচা। নানা ধরনের পাখির সমারহ এখানে।  আপনি নানা ধরনের সাদা কালো বক দেখতে পারবেন। কিছু কিছু আবার এক পায়ে দাড়িয়ে আছে আর ঘুমুচ্ছে সেটা ও দেখতে পারবেন।

 

সিংহের খাঁচা

তারপর একটু ডানে দেখবেন কিছু আফ্রিকান সাদা সিংহের খাঁচা। এখানে ২ টা সিংহ আঝে। তারপাশে আছে আরো ভারতীয় সিংহের খাঁচা । এখানে বেশির ভাগ সময়ই সিংহ ঘুমিয়ে কাটায়, মাঝে মাঝে আপনার কপাল ভালো হলে এদের হাটা হাটি আর হাকডাক করতে দেখতে পারেন। আপনার শত ডাকা ডাকির পরেও সিংহ কাকা একবার চোখ বোঝলে আর চোখ খুলে না।

Image result for জাতীয় চিড়িয়াখানা

 

বাঘের খাঁচা

সিংহের খাঁচা পার হবার পর আপনাদের চোখে পরবে একটা বাঘের খাঁচা। এটি হলো আমাদে জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগারের খাঁচা। এখানেও সব ঘুমাচ্ছে আরাম করে। তারা এক খাবার পেলেই শুধু হাটাহাটি করে। ডাকাডাকি করে শরিরের শক্তি নষ্ট করে না। সারাদিন শুয়ে বসে ই সময় কাটায়।

 

উটপাখি

অনেক গুলা উটপাখি আছে চিড়িয়াখানাতে, এরা এদের খাঁচার ভিতরে হাটে আর মানুষের ডাকে পায়চারি করে। কেউ কেউ আদর করে খেতে দিলে এরা তা খাবার জন্য  একেবারে কাছে চলে আসে।

Image result for জাতীয় চিড়িয়াখানায় উটপাখি

ভাল্লুুক

তারপর বাঘ আর সিংহের খাঁচার পাশেই আপনি পাবেন একটা কালো ভাল্লুকের খাঁচা। এটিতে আছে একটা রাগী কালো ভাল্লুুক। এটি সারাক্ষন নিজের মাথা দোলাতে থাকে গোল গোল করে। আর খাঁচা থেকে বের হবার পথ খুঁজতে থাকে।

 

প্রবেশ মূল্য

চিড়িয়াখানাতে প্রবেশ করতে হলে আপনাকে প্রতি জনের জন্য ৩০ টাকা মূল্যের টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। যদি সাথে ১০ বছরের ছোট কেউ থাকে তবে ২০ টাকা দামের টিকিট সংগ্রহ করে প্রবেশ করতে হবে।

 

চিড়িয়াখানার অবস্থান

ঢাকার মিরপুর ১ নাম্বার সেকশনে এর অবস্থান। ঢাকা মিরপুর ১ এর গোলচক্কর হয়ে ঢাকা কমার্স কলেজ যাবার রাস্তা ধরে সামনে গেলেই চোখে পরবে  এটি। সাথে আছে জাতীয় উদ্যান।

Leave a Reply